এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝেই বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফিরতে শুরু করেছে ভারতীয় পড়ুয়ারা। মূলত এমবিবিএস অর্থাৎ ডাক্তারি পড়তে গিয়েছিলেন বাংলাদেশে। ওপার বাংলার পরিস্থিতি ক্রমাগত অবনতি হতেই ভারতীয় পড়ুয়ারা দেশে ফিরতে শুরু করেছেন।
'আতঙ্ক তাড়া করছে সবসময়, এই বুঝি...', অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ ছাড়লেন প্রায় হাজার পড়ুয়া
বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফিরলেন পড়ুয়ারা।
অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে পরিস্থিতি। গোটা দেশে জারি করা হয়েছে কার্ফু। বন্ধ ইন্টারনেট। কোটা আন্দোলনের জেরে সংঘর্ষে প্রাণ গিয়েছে কমপক্ষে ১০৫ জনের। আতঙ্কিত পড়ুয়া থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। শুধু বাংলাদেশীরাই নয়, বহু ভারতীয় পড়ুয়াও রয়েছেন বাংলাদেশে। ক্ষোভের আগুনের আঁচ থেকে বাঁচতে তারা যেকোনও উপায়ে ফিরে আসছেন দেশে। জানা গিয়েছে, শুক্রবারই ৭০০-রও বেশি ভারতীয় পড়ুয়া উত্তর-পূর্বের সীমান্ত পার করে ভারতে চলে এসেছেন।
বিগত তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বিক্ষোভের আগুন জ্বলছে বাংলাদেশ। কোটা বা সংরক্ষণ প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনে পথে নেমেছে পড়ুয়ারা। যোগ দিয়েছে সাধারণ মানুষ। বিক্ষোভ সামলাতে পুলিশের পাশাপাশি সেনাও নামিয়েছে সরকার। দুই পক্ষের সংঘর্ষে ক্রমেই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। গত সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তুমুল অশান্তি হয়। পরেরদিন পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় ৬ জনের। এরপরই সরকারের তরফে দেশের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। শুক্রবার হাসিনা সরকারের তরফে গোটা দেশেই কার্ফু জারি করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। নামানো হয় সেনা।
এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝেই বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফিরতে শুরু করেছে ভারতীয় পড়ুয়ারা। মূলত এমবিবিএস অর্থাৎ ডাক্তারি পড়তে গিয়েছিলেন বাংলাদেশে। ওপার বাংলার পরিস্থিতি ক্রমাগত অবনতি হতেই ভারতীয় পড়ুয়ারা দেশে ফিরতে শুরু করেছেন। এখনও পর্যন্ত ৭৭৮ জন পড়ুয়া দেশে ফিরে এসেছেন। আরও ২০০ পড়ুয়া বিমানে ফিরেছেন। এখনও বাংলাদেশে আটকে ৪০০০-রও বেশি পড়ুয়া। তাদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, ত্রিপুরার আগরতলার কাছে আখুরা বন্দর ও মেঘালয়ের ডাউকি দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফিরে আসছেন পড়ুয়ারা। মূলত উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা, মেঘালয়, জম্মু-কাশ্মীরের পড়ুয়ারাই বাংলাদেশে পড়তে গিয়েছিলেন। তারাই দেশে ফিরে আসছেন। পড়ুয়ারা জানিয়েছেন, ট্যাক্সি করে ৬ ঘণ্টার পথ পেরিয়ে সীমান্তে পৌঁছেছেন। বাংলাদেশোর নিরাপত্তা বাহিনী তাদের এসকর্ট করে পৌঁছে দিয়েছেন।
মেঘালয়ে আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ২০০-রও বেশি পড়ুয়া সীমান্ত পার করে দেশে এসেছেন। ভূটান ও নেপালেরও বহু পড়ুয়া আপাতত ভারতে চলে এসেছেন। ভারত সরকার নিয়মিত বাংলাদেশ হাই কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। বাংলাদেশ ল্যান্ড-পোর্ট অথারিটির সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে, যাতে ভারতীয় পড়ুয়ারা সুরক্ষিতভাবে দেশে ফিরে আসতে পারেন।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours