পরিবারের বক্তব্য, ছোট থেকেই মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন সুপর্ণা শীল। প্রায় প্রতিদিনই তিনি ভোর সাড়ে তিনটা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতেন। যেমনটা বেরিয়েছিলেন ১১ তারিখ। আবার ঠিক সময়মতো বাড়িও ফিরে আসতেন।
প্রায়ই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেত, ফিরেও আসত, কিন্তু…’, কাশী বোসে উদ্ধার হওয়া মহিলার দেহ চিনতে পেরেই আক্ষেপ পরিবারের
শোকের ছায়া পরিবারে
কলকাতা: হঠাৎ মাটি খুঁড়তেই উঠে এসেছিল মহিলার পচা গলা দেহ। শনিবার বিকালে এ ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল কাশী বোস লেনে। যদিও তাঁর মৃত্যু নিয়ে শুরু থেকেই ঘনাচ্ছিল রহস্য। জানা যায়নি পরিচয়ও। অবশেষে এদিন সকালে সামনে আসে পরিচয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই মহিলার নাম সুপর্ণা শীল। শ্যামপুকুর এলাকার বাসিন্দা ৪৫ বছরের ওই মহিলা মানসিক সমস্যাগ্রস্থ ছিলেন বলেও জানা যাচ্ছে।
পরিবারের বক্তব্য, ছোট থেকেই মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন সুপর্ণা শীল। প্রায় প্রতিদিনই তিনি ভোর সাড়ে তিনটা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতেন। যেমনটা বেরিয়েছিলেন ১১ তারিখ। আবার ঠিক সময়মতো বাড়িও ফিরে আসতেন। তবে এবারে ফিরে না আসায় পরিবারের তরফ থেকে প্রাথমিকভাবে খোঁজাখুঁজি শুরু হলেও অতটা গা করেনি পরিবারের লোকজন। কারণ সুপর্ণা শীল যেখানেই যেতেন ঠিক ফিরে আসতেন দাবি পরিবারের। এবারেও ভেবেছিলেন তেমনটাই হবে। কিন্তু, কে জানতো আর হবে না বাড়ি ফেরা।
পরিবারের এক মহিলা বলছেন, “ওরকম তো মাঝেমাঝেই হয়। বাড়ি থেকে চলে যায়। আবার চলে আসে। এবার যে ফিরবে না কী করে জানব। আমরা ১১ তারিখের পর থেকেই খোঁজ করছিলাম। কিন্তু পাইনি। শনিবার বিকালে কাশী বোস লেনে দেহ উদ্ধারের পরেই আমরা থানায় যাই। পুলিশকে সবটা খুলে বলি। তারপর তো দেহ দেখে আমরা চিনতে পারি।”
আর এক সদস্য বলছেন, “রাত সাড়ে তিনটে থেকে ৪টে নাগাদ প্রায়ই বাড়ি থেকে বের হতেই। এরকম ঘটনা আগেও হয়েছে তিন থেকে চার বার। দু থেকে তিনদিন পর্যন্ত বাড়িতে ছিলেন না। তারপর ফের ফিরে আসে। একটা নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করে। কিন্তু এবার যে আসবে না আর সেটা বুঝতে পারিনি।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours