২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মাথাভাঙা শহর তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বিশ্বজিৎ রায় এই বিতর্কিত মন্তব্য করেন। শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের একটি পথসভায় তৃণমূলের শহর ব্লক সভাপতি বিশ্বজিৎ রায়ের বিতর্কিত মন্তব্য ব্যাপক আলোড়ন ফেলেছে শহরে।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে এখন হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছেন তৃণমূল নেতারা?
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে হুঁশিয়ারি তৃণমূল নেতা।
দিনহাটার পর এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধের হুঁশিয়ারি মাথাভাঙার তৃণমূল ব্লক সভাপতির। লোকসভা ভোটে মাথাভাঙায় সব ওয়ার্ডে তৃণমূলের হার হয়েছে। তাতেই কি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে কোপ পড়তে চলেছে বলে হুঁশিয়ারি দিলেন ব্লক তৃণমূল সভাপতি? তৃণমূলে থেকে সব সুযোগ সুবিধা নিয়ে বিজেপিকে ভোট দিয়েছে যারা, আগামিদিনে তাদের চিহ্নিত করে সরকারি প্রকল্প বন্ধের হুঁশিয়ারি দেন মাথাভাঙার তৃণমূল ব্লক সভাপতি বিশ্বজিৎ রায়।
২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মাথাভাঙা শহর তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বিশ্বজিৎ রায় এই বিতর্কিত মন্তব্য করেন। শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের একটি পথসভায় তৃণমূলের শহর ব্লক সভাপতি বিশ্বজিৎ রায়ের বিতর্কিত মন্তব্য ব্যাপক আলোড়ন ফেলেছে শহরে।
১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভা থেকে দিনহাটা ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি দীপক কুমার ভট্টাচার্যকে ঠিক এরকমই কথা বলতে শোনা গিয়েছিল। এবার মাথাভাঙা নেতার মুখেও একই কথা। বিশ্বজিৎ রায়কে ওই সভায় বলতে শোনা গিয়েছে, “যারা বেইমানি করে তাদের শিক্ষা দিতে হবে। সারা বছর তৃণমূলের খেয়েদেয়ে ভোটের সময় বেইমানি করলে শক্ত হাতে দমন করতে হবে। প্রয়োজনে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দিতে হবে। এটাই আমাদের উদ্দেশ্য হবে আগামিদিনে।”
পাল্টা বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি মনোজ ঘোষ বলেন, এই প্রকল্পগুলি তো মানুষের করের টাকায়। আর এটা তো তৃণমূল দেয় না। সরকার দেয়। সরকার তো সকলের। তাই সকলেরই তা পাওয়ার অধিকারী আছে। কী করে এটা বলতে পারে? মনোজ ঘোষ বলেন, “তাহলে সরকার কাগজে লিখে দিক তৃণমূলে ভোট দিলে এই প্রকল্প পাওয়া যাবে। না হলে নয়।”
এ বিষয়ে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “যেমন ঝাড় তেমনই তো বাঁশ হবে। এই যে কেন্দ্রের সরকার যদি বলে যারা বিজেপিকে ভোট দেয়নি আধার কার্ড বাতিল করে দেব, ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড বাতিল করে দেব। সেটাও যেমন শুনতে ভাল লাগে না বা সম্ভব নয়। এটাও তেমনই সম্ভব নয়।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours