কংগ্রেসের গড় বলে পরিচিত বহরমপুরেও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ইউসুফ পাঠানের কাছে হেরে গিয়েছেন কংগ্রেসের পাঁচবারের সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। এবার নির্বাচনী পরাজয়ের কারণ এবং পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বে রদবদল নিয়ে সনিয়া গান্ধীর বাসভবনে বৈঠকে বসলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। 

 নিজের গড় অধীর কেন বাঁচাতে পারলেন না? সনিয়ার কাছে দিলেন ব্যাখ্যা
ফাইল চিত্র

লোকসভা নির্বাচনে তুলনামূলকভাবে ভাল ফল করেছে কংগ্রেস। কিন্তু বাংলায় শোচনীয় ফল কংগ্রেসের। এমনকী, কংগ্রেসের গড় বলে পরিচিত বহরমপুরেও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ইউসুফ পাঠানের কাছে হেরে গিয়েছেন কংগ্রেসের পাঁচবারের সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। এবার নির্বাচনী পরাজয়ের কারণ এবং পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বে রদবদল নিয়ে সনিয়া গান্ধীর বাসভবনে বৈঠকে বসলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী।

সূত্রের খবর, কী কারণে নিজের গড়ে পরাজয়, তা নিয়ে সনিয়া গান্ধীর কাছে ব্যাখ্যা দিয়েছেন অধীর চৌধুরী। পরাজয়ের নেপথ্যে তৃণমূলের সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের চেষ্টাকেই দায়ী করেছেন অধীর, এমনটাই সূত্রের খবর।

এছাড়া, প্রদেশ কংগ্রেসের নেতৃত্বে রদবদলের ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে খবর। তবে অধীরের এই ব্য়াখ্যায় সনিয়া গান্ধী আদৌ সন্তুষ্ট কি না, বা এর ভিত্তিতে কী পদক্ষেপ করবেন, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের পর প্রথম প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির বৈঠকে যোগ দিলেও, সম্পূর্ণ চুপ ছিলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। একটিও শব্দ খরচ করেননি তিনি। কংগ্রেসের একাংশের মত, শুধুমাত্র অধীর চৌধুরীর কারণেই বাংলায় ইন্ডিয়া জোট হয়নি। কংগ্রেস ও সিপিআইএম কেবল জোট সমঝোতায় লড়েছে। সেখানে একাই লড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস এবং দুর্দান্ত ফলও করেছে।

লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর হার মাথা পেতে নিলেও, হারের কারণ হিসাবে দুষেছিলেন তৃণমূলকে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের রাজনীতি করা, বাইরে থেকে প্রার্থী এনে দাঁড় করানোর মতো অভিযোগ তুলেছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, বিজেপিকে হারানো নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্য ছিল অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে হারানো। সেই কারণেই লোকসভা নির্বাচনের ষষ্ঠ লড়াইয়ে হেরে গিয়েছেন তিনি।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours