জেলা উপস্বাস্থ্য আধিকারিক সুবর্ণ গোস্বামীর কথায়, "আমরা গ্রামে গোডাউনেও যাই। পুলিশ, ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকরাও ছিলেন। আমি নিজে ছিলাম। চক্ষু চড়ক গাছ। কুইন্টাল কুইন্টাল ল্যাংচা গত এক মাস ধরে ভেজে রাখা। ছত্রাক পড়ে গিয়েছে ল্যাংচায়। সেগুলি খেলে অবধারিত মানুষ অসুস্থ হবেন। ল্যাংচা ভাঙছি, ভিতরে ছত্রাক। প্রতিটা এরকম। তিন কুইন্টাল ল্যাংচা বাজেয়াপ্ত করতে হয়েছে।"
: শক্তিগড়ের ল্যাংচা হাবে হুলুস্থুল! মাটির নিচে পুঁতে দেওয়া হচ্ছে কয়েক কুইন্টাল ল্যাংচা
ল্যাংচা ভেজে রাখা হয়েছে।
পূর্ব বর্ধমান: আবারও ল্যাংচা হাবে অভিযান। আর এবার সাংঘাতিক দৃশ্য উঠে এল। ল্যাংচার গায়ে সাদা ছত্রাক। এরকমই প্রায় তিন কুইন্টাল ল্যাংচা নষ্ট করল প্রশাসন। শনিবারের এই ঘটনায় রীতিমতো হুলুস্থুল কাণ্ড শক্তিগড়ের ল্যাংচা হাব চত্বরে। পূর্ব বর্ধমানের ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে শক্তিগড়ের ল্যাংচা হাবে অভিযানে গিয়ে তিন কুইন্ট্যাল আগে থেকে তৈরি ল্যাংচা বাতিল করল প্রশাসন। এদিনের অভিযানে ছিল জেলা স্বাস্থ্য দফতর, খাদ্য বিভাগ, ক্রেতা সুরক্ষা বিভাগ এবং পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। বেশ কয়েকজনের নামে অভিযোগও দায়ের হয়।
জেলা উপস্বাস্থ্য আধিকারিক সুবর্ণ গোস্বামী ছিলেন এদিনের অভিযানে। তাঁর বক্তব্য রীতিমতো চোখ কপালে তোলার মতো। শক্তিগড়ের ল্যাংচার খ্যাতি সকলের মুখে মুখে ফেরে। শক্তিগড়ের ল্যাংচা খেতে বহু দূর থেকে মানুষ যান। অথচ সেই ল্যাংচা গড়ে এ হেন সাংঘাতিক অভিযোগ। দু’দিন আগেই ল্যাংচা হাবে অভিযান চলে। সেই সময়ই সতর্ক করেছিল প্রশাসন।
সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, “গত পরশুর পর আজও আমরা শক্তিগড়ে ল্যাংচার যে হাব, সেখানে গিয়েছিলাম। একটা দু’টো বাদ দিয়ে অধিকাংশ দোকানের অবস্থা খুব খারাপ। খাবার তৈরির ঘর চূড়ান্ত অস্বাস্থ্যকর। রান্নাঘরে কালিঝুল, কোনওদিন পরিষ্কার হয়নি। আরশোলা, পোকামাকড় রয়েছে। খাবার ঢাকা নয়।” এ তো কিছুই নয়। এরপর স্বাস্থ্য আধিকারিক যা বললেন, তাতে গা গুলিয়ে উঠবে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours