শুক্রবার সকালে চণ্ডীতলার নৈটি গ্রাম পঞ্চায়েতের এক কর্মী পঞ্চায়েতের অফিসে গিয়ে দেখতে পান, গেটের তালা ভাঙা। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। খবর পেয়ে যান পঞ্চায়েত প্রধান ও পঞ্চায়েতের অন্যান্য সদস্যরা।

চোর এল, আলমারি ভাঙল, অথচ চুরি হল না! টাকা, ল্যাপটপ, ফাইল ছুঁয়েও দেখল না চোর
ভাঙা আলমারি


চণ্ডীতলা: তালা ভাঙা হল, আলমারি ভাঙা হল। অথচ যা ছিল তার কিছুই নিল না চোর! চোরদের আজব কাণ্ড চণ্ডীতলায়। গুচ্ছ গুচ্ছ ফাইল যেটা, যেখানে ছিল, সেখানেই আছে। ল্যাপটপ বা নগদ টাকা, সব যেমন ছিল, তেমনই আছে। নৈটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘরে ঢুকলেও ১১টা আলমারি, লকার, ড্রয়ার ভেঙেও কিছুই নেয়নি চোর।

শুক্রবার সকালে চণ্ডীতলার নৈটি গ্রাম পঞ্চায়েতের এক কর্মী পঞ্চায়েতের অফিসে গিয়ে দেখতে পান, গেটের তালা ভাঙা। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। খবর পেয়ে যান পঞ্চায়েত প্রধান ও পঞ্চায়েতের অন্যান্য সদস্যরা।

চণ্ডীতলার নৈটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তাপস মান্না জানান, পঞ্চায়েতের এক মহিলা কর্মী প্রথম দেখতে পান যে অফিসের তালা ভাঙা। এরপর গিয়ে দেখেন, পঞ্চায়েতের ১১টি আলমারি ভাঙা, তার লকার ভাঙা, টেবিলের ড্রয়ার পর্যন্ত ভাঙা। জিনিসপত্র চারপাশে ছড়ানো। অল্প কিছু টাকা ছিল পঞ্চায়েতে। সে টাকা কেউ সরায়নি। পঞ্চায়েতের ল্যাপটপ, ফাইল পত্র সব যেমন ছিল তেমনই আছে। কিছুই খোয়া যায়নি। প্রধান বলেন, “তাহলে কী উদ্দেশ্য ছিল চোরের, কেন এসেছিল সেটাই বোঝা যাচ্ছে না। পঞ্চায়েতের সিসি ক্যামেরাগুলো অকেজো হয়ে আছে গত কয়েকদিন ধরে, যার ফলে বোঝার উপায় নেই, চোর একজন নাকি একাধিক।”

একইভাবে চণ্ডীতলার জনাইয়ের আরও দুটি স্কুলে তালা ভেঙে ঢুকে আলমারি ভাঙা হয়েছে। বাঁকাগাছা প্রাথমিক স্কুল ও জনাই ভগবান দেবী গোয়েঙ্কা গার্লস হাইস্কুলে ওই ঘটনা ঘটে। গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা প্রাপ্তি মুখোপাধ্যায় বলেন, “স্কুলের ১২টি আলমারি ও তার লকার ভেঙেছে কেউ বা কারা। চুরি বলতে সিসিটিভির দুটো হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে গিয়েছে, তার বেশি কিছু নয়।” ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চণ্ডীতলা থানার পুলিশ।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours