এ দিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন ধনিয়াখালির তৃণমূল বিধায়ক অসীমা পাত্র। যোগদানকারীদের হাতে বিজেপি-র পতাকা তুলে দেন তিনি। বিধায়ক অসীম পাত্র বলেন, "ধনিয়াখালি বিধানসভার প্রায় আড়াইশো জন বিজেপি কর্মী এ দিন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।"
রচনার কেন্দ্রে আবার বড় 'জয়' তৃণমূলের, ফের ঘুরল খেলা
ধনিয়াখালিতে যোগদান
লোকসভা নির্বাচন মিটে গিয়েছে। তবু এখনও দলবদল অব্যাহত। এবার হুগলির ধনিয়াখালিতে বিজেপিতে বড় ভাঙন। তৃণমূলের যোগ দিলেন ২৫০ জন বিজেপি নেতা কর্মী। শনিবার সন্ধ্যায় ধনিয়াখালি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি জনসভার আয়োজন করা হয়। সেই সভা থেকেই তৃণমূলে যোগদান করেন একাধিক বিজেপি নেতা ও কর্মীরা।
এ দিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন ধনিয়াখালির তৃণমূল বিধায়ক অসীমা পাত্র। যোগদানকারীদের হাতে বিজেপি-র পতাকা তুলে দেন তিনি। বিধায়ক অসীম পাত্র বলেন, “ধনিয়াখালি বিধানসভার প্রায় আড়াইশো জন বিজেপি কর্মী এ দিন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। আগামী দিনে এদের নেতৃত্বেই বুথে বুথে থাকা বিজেপির কর্মীরা তৃণমূলে যোগ দেবেন। আসলে বিজেপি দলটা ভারতের জনগণের জন্য নয়। বাংলার জনগণের জন্য নয়। বিজেপি হচ্ছে শিল্পপতিদের সরকার, কর্পোরেটদের সরকার। তাই তারা মা মাটি মানুষের সরকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে এলাকার উন্নয়ন কর্মযজ্ঞে সামিল হলেন।”
অপরদিকে দলবদলু বিজেপির নেতা নেত্রীদের দাবি বিজেপি সরকার বাংলার উন্নয়ন বন্ধ করে দিয়েছে। তাই বাংলায় বিজেপিকে চাই না। চোখ খুলে গিয়েছে আমাদের।” তাঁদের আরও দাবি, নিচু তলার কর্মীদের কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয় না,উপর তলার নেতারা নিজেদের স্বার্থ ছাড়া কিছুই দেখেন না। লকেট চট্টোপাধ্যায় হারবে এটা নিশ্চিত ছিল। কারণ ওনার অহংকার কেউ মেনে নিতে পারেনি।” বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলার সাধরণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন,”তৃণমূল একটা মানুষ শোষণের যন্ত্র। এই সরকার মানুষকে শোষণ করছে। আজকে যাদের নিজেদের দলে যোগদান করানো হয়েছে এর পিছনে শুধুই সন্ত্রাস রয়েছে। রোজ হুমকি হামলা চলছে। বাধ্য হয়ে ওরা তৃণমূলে যোগদান করেছে।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours