মমতা বলেন, বিরোধীরা কেউ যায়নি বৈঠকে। সকলে বয়কট করেছিল। সকলের কথা বলতেই নীতি-বৈঠকে যেতে রাজি হন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, "বাংলার বঞ্চনা ও সারা দেশে যেখানে বিরোধীরা ক্ষমতায়, সেই রাজ্যগুলির বঞ্চনা নিয়ে ৩-৪ মিনিট যা পেরেছি বলেছি।"

বারবার বেল টিপে বলছ স্টপ ইট', অগ্নিশর্মা মমতা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


কলকাতা: দিল্লি থেকে ফিরেই কেন্দ্রকে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার কলকাতায় পা রেখে মমতা বলেন, এরপর থেকে সম্মান না পেলে আর তিনি দিল্লির বৈঠকে যাবেন না। মমতা বলেন, নীতি আয়োগের বৈঠকে বঞ্চনা নিয়ে সরব হতেই বারবার বেল বাজানো হতে থাকে। এই ধরনের ঘটনা অসম্মানজনক বলে এদিন বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আমার বক্তব্য যেই ৫ মিনিটে পড়তে যাবে বেল টিপে টিপে স্টপ স্টপ। আমিও বললাম, ওকে। শুনতে না চাইলে আমি চললাম। আমি বয়কট করে চলে এসেছি। আমি বিরোধীদের মধ্যে একা গিয়েছি, আমাকে আধঘণ্টা সময় দেওয়া। আমি এতটাও অনুপযুক্ত নয় যে সময় মেনটেন করব না।” জেনেবুঝে তাঁকে অপদস্থ করা হয়েছে বলে দাবি করেন মমতা।

মমতা বলেন, বিরোধীরা কেউ যায়নি বৈঠকে। সকলে বয়কট করেছিল। সকলের কথা বলতেই নীতি-বৈঠকে যেতে রাজি হন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, “বাংলার বঞ্চনা ও সারা দেশে যেখানে বিরোধীরা ক্ষমতায়, সেই রাজ্যগুলির বঞ্চনা নিয়ে ৩-৪ মিনিট যা পেরেছি বলেছি। শুরুতেই রাজনাথজি বলেছিলেন, ৫-৭ মিনিট। আমাকে তো সাত মিনিটও দিল না। তাহলেও বাদবাকিটা বলে দিতাম। তোমার বেলায় বিশ মিনিট, তোমাদের বেলায় স্পেশাল প্যাকেজ, অন্যদের বেলায় শূন্য? আমি বয়কট করে ঠিক করেছি, বাংলার মানুষের সম্মান মাথানত করতে দিইনি। বাংলার বঞ্চনা মানছি না মানব না।”

এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, অসমের মুখ্যমন্ত্রী, অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী, গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী, ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী কেউ ১৫ মিনিট কেউ ২০ মিনিট বলেছেন। অথচ তিনি পাঁচ মিনিট বলতে না বলতেই বারবারবেল বাজানো হয়।

মমতা বলেন, “আমি বাংলার বঞ্চনার কথা বলেছি। আমাদের ১ লক্ষ ৭১ হাজার কোটি টাকা বকেয়া। এই বছর টাকাটা আরও বাড়বে। ১০০ দিনের টাকা বন্ধ, ফুড সাবসিডি বন্ধ, গ্রামীণ আবাস যোজনার কাজ বন্ধ। উনি নাকি ৪ কোটি বাড়ি করে দিয়েছেন। আসলে বোধহয় স্বাধীনতার সময় থেকে ধরছেন। তখন যে ওনারা ছিলেন না অন্য দল ছিল ভুলে গিয়েছেন। এসব বলছিলাম, দেখলাম বারবার বেল বাজাচ্ছে। রাজনাথ সিং, একপাশে প্রধানমন্ত্রী, অন্য পাশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। নিশ্চয়ই বলে দিয়েছেন ওনারা। আমার আগে চন্দ্রবাবু নাইডু বলেছেন ২০ মিনিট। অসমের মুখ্যমন্ত্রী, অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী, গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী, ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী কেউ ১৫ মিনিট কেউ ২০ মিনিট বলেছেন।” এরপর থেকে এ ধরনের মিটিংয়ে তিনি যাবেন কি না তা নিয়েও ভেবে দেখবেন বলে স্পষ্ট বলেন মমতা।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours