July 2024

হামাস ও ইরানের ইসলামিক রেভেনিউশনারি গার্ডস কর্পসের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার ইরানের তেহরানে হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ে-র বাড়িতে হামলা চালায় 'জিওনিস্ট'রা। হামলায় ইসমাইল ও এক দেহরক্ষীর মৃত্যু হয়েছে।


খতম হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ে, ইজরায়েলের দিকেই উঠল আঙুল, বড় মোড় নেবে যুদ্ধ?

ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে বড় মোড়। খতম হামাস প্রধান। জানা গিয়েছে, হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ে ও তাঁর এক দেহরক্ষীকে হত্যা করা হয়েছে। ইরানে ছিলেন হামাস নেতা। সেখানেই তাঁর উপরে হামলা চলে। প্যালেস্তাইনের সশস্ত্র বাহিনীর দাবি, ইজরায়েলই এই হত্যালীলা চালিয়েছে।

হামাস ও ইরানের ইসলামিক রেভেনিউশনারি গার্ডস কর্পসের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার ইরানের তেহরানে হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ে-র বাড়িতে হামলা চালায় ‘জিওনিস্ট’রা। হামলায় ইসমাইল ও এক দেহরক্ষীর মৃত্যু হয়েছে। হামাস জানিয়েছে, এই হামলার তদন্ত করবে তারা।

এতদিন কাতার থেকেই হামাসের যাবতীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন ইসমাইল হানিয়ে। তাঁর মৃত্য়ুতে হামাস গোষ্ঠী যে বড় ধাক্কা খাবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই হানিয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজ়েশকিয়ানের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁর শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন হামাস নেতা। ইরানের সুপ্রিম নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খোমেইনির সঙ্গেও দেখা করেন হানিয়ে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলা এবং তারপর ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরই ইজরায়েল হুমকি দিয়ে বলেছিল যে ইসমাইল হানিয়েকে খতম করা হবে এবং হামাস গোষ্ঠীকে ধ্বংস করে দেবে।

এদিকে, হামলার পরই ইজরায়েল জানিয়েছে, তাদের সেনাবাহিনী যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত। ইজরায়েলি মিলিটারির মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি জানিয়েছেন, আরও বড় মাপের যুদ্ধ ছাড়াই এই জটিল পরিস্থিতির যাতে সমাধান হয়, সেটাই চায় ইজরায়েল।

 বরাবরই দলের কর্মীদের পাশে থাকতে দেখা গিয়েছে প্রবীণ এই কংগ্রেস নেতাকে। এ দিনও কংগ্রেস কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের 'অত্যাচারের' কথা তুলে ধরেন তিনি। বলা চলে সরব হন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ফেসবুকে অধীর লেখেন, "আমাদের লোকদের মারছে, যে কর্মীরা রাতদিন তৃণমূলের হাতে মার খেলো,খাচ্ছে, তাদের জন্য আমরা বলবো না তো কে বলবে ?"


আপস করতে শিখিনি, করব না', রাখঢাক না করে মনের কথা লিখেই দিলেন 'অভিমানী' অধীর
অধীর রঞ্জন চৌধুরী।


কলকাতা: কংগ্রেস হাইকমান্ডের উপর ক্ষুব্ধ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। দিল্লির বৈঠকে তাঁকে ‘প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি’ বলে মন্তব্য করতেই রেগে আগুন তিনি। এআইসিসি পর্যবেক্ষক গোলাম মীর থেকে শুরু করে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের প্রতি চটেছেন তিনি। এরই মধ্যে মঙ্গলবার রাত্রিবেলা নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন অধীর। উগরে দেন রাগের কথা। পরিষ্কার বলেন, “অন্যায়ের সঙ্গে আপস করতে শিখিনি, করবোও না…।”

বরাবরই দলের কর্মীদের পাশে থাকতে দেখা গিয়েছে প্রবীণ এই কংগ্রেস নেতাকে। এ দিনও কংগ্রেস কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের ‘অত্যাচারের’ কথা তুলে ধরেন তিনি। বলা চলে সরব হন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ফেসবুকে অধীর লেখেন, “আমাদের লোকদের মারছে, যে কর্মীরা রাতদিন তৃণমূলের হাতে মার খেলো,খাচ্ছে, তাদের জন্য আমরা বলবো না তো কে বলবে ?”



অধীর এও অভিযোগ করে লেখেন, “শাসক তৃণমূল আমাদের দল ভাঙছে প্রতিদিন! ওরা তো ইন্ডিয়া জোটে সামিল হয়ে আমাদের ওপর অত্যাচার বন্ধ করেনি। তৃণমূল তো এ রাজ্যের শাসক দল,তারা কি আমাদের কংগ্রেস কর্মীদের কোনও রকম রেহাই দিয়েছে? আজও জেলে বন্দি আমাদের কর্মীরা মিথ্যা মামলায় জর্জরিত। আমাদের পার্টি অফিস দখল করেছে…বিরাম নেই।” কংগ্রেস নেতার প্রশ্ন, “তাহলে সেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে কীভাবে চুপ করব? করলে আমার সেই সহকর্মীদের প্রতি অবিচার করা হবে! আমি পারব না।”

অধীরের কথায়, যে কর্মীরা রাতদিন লড়াই করেছেন,দলের পতাকা নিয়ে রাস্তায় আন্দোলন করছেন, তাঁদের সঙ্গেও দিল্লি কথা বলুক। তাঁদের মতামতও জানা দরকার। তাঁদেরও দিল্লিতে ডাকা দরকার। তাঁর পরিষ্কার মন্তব্য, “আমি আমার সেই সকল সহকর্মীদের সঙ্গে রাস্তায় থাকব। আন্দোলনের পথে,অন্যায়ের সাথে আপোস করতে শিখিনি, করবও না।”

বস্তুত অধীরের সঙ্গে কংগ্রেস হাইকমান্ডের ‘বিরোধ’ নতুন কোনও ঘটনা নয়। এবারের লোকসভা ভোটের সময় কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব বাংলায় তাঁদের রাজনৈতিক রূপরেখা কী হবে তা নিয়ে দ্বন্দ্বে ছিল। যে সময় ইন্ডিয়া জোটের সলতে পাকছিল, সেই সময় বাংলায় অধীর তৃণমূল বিরোধিতায় সুর চড়িয়ে গিয়েছেন। সোজা কথায় বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, গোটা দেশে কী হবে জানা নেই বাংলায় তৃণমূলের সঙ্গে জোট হবে না। বলেছিলেন, “আমি পশ্চিমবঙ্গের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসাবে বলছি আমাদের লড়াই রাজ্যে তৃণমূলের সঙ্গে গোটা দেশে বিজেপির সঙ্গে।” তবে জোটের স্বার্থে কংগ্রেস হাইকমান্ডকে দেখা যায় তৃণমূলের প্রতি কিছুটা হলেও ‘নরম’। রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় তৃণমূল তীব্র আক্রমণ করলেও জয়রাম রমেশরা হালকা ভাবে ডিফেন্স করেছেন। তবে অধীর কিন্তু ছেড়ে কথা বলেননি। চাগিয়ে খেলেছেন। বারবার আক্রমণ করে বলেছেন মমতার ইন্ডিয়া জোটে থাকা না থাকার কথা নিয়ে। যা নিয়ে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে প্রকাশ্য বৈঠকেই সমঝে চলার বার্তা দেন। বলেন, “অধীর চৌধুরী কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার কেউ নয়, সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কংগ্রেস দল আছে, হাইকমান্ড আছে। আমরা যা সিদ্ধান্ত নেব, সেটাই হবে।” এরপর নির্বাচন হয়। বহরমপুরে তৃণমূলের কাছে পরাজিত হন অধীর। তারপর আবার প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলে সম্বোধন। যা অধীরের আঁতে ঘা লাগার জন্য যথেষ্ট বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

 


চারিদিকে শুধু বড় বড় পাথর, ধ্বংসস্তূপ আর কাদামাটি। কেরলের ওয়েনাডে ভয়াবহ ভূমিধসে এখনও পর্যন্ত ১৫৬ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহত ১২৮ জন। এখনও শতাধিক মানুষ মাটির নীচে চাপা পড়ে রয়েছেন বলে খবর।


 ঈশ্বর নাকি মানুষ? 'ঈশ্বরের দেশে' বিপর্যয়ের পিছনে কার হাত?
ধসে বিপর্যস্ত ওয়েনাড।


তিরুবনন্তপুরম: একদিন আগেও ছবির মতো সাজানো ছিল। এক রাতের বৃষ্টি, ভোরেই সবকিছু ধুয়ে মুছে সাফ। কোথায় চা বাগান ছিল, কোথায় জনপদ-কিছুই বোঝার উপায় নেই। চারিদিকে শুধু বড় বড় পাথর, ধ্বংসস্তূপ আর কাদামাটি। কেরলের ওয়েনাডে ভয়াবহ ভূমিধসে এখনও পর্যন্ত ১৫৬ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহত ১২৮ জন। এখনও শতাধিক মানুষ মাটির নীচে চাপা পড়ে রয়েছেন বলে খবর। কিন্তু কেন এমন বিপর্যয় হল ওয়েনাডে?

বিজ্ঞানীদের অনুমান, একাধিক কারণে কেরলের ওয়েনাডে এমন ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে এসেছে। এর পিছনে জলবায়ু পরিবর্তন যেমন দায়ী, তেমনই অতিরিক্ত খনন, বনাঞ্চল ধ্বংসও অন্যতম কারণ। ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের (ISRO) প্রকাশিত ল্যান্ডস্লাইড অ্যাটলাসের তথ্য অনুযায়ী, ভারতের সবথেকে ভূমিকম্প ৩০টি এলাকার মধ্যে ১০টিই কেরলে অবস্থিত। এর মধ্যে ১৩ নম্বর স্থানে রয়েছে ওয়েনাড।

বনাঞ্চল ধ্বংস-
২০২১ সালের একটি গবেষণায় তুলে ধরা হয়েছিল, কেরলে যত ভূমিধস হয়, তার ৫৯ শতাংশই বনাঞ্চল বা চা বাগান এলাকাতেই হয়। ২০২২ সালের আরেকটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়েছিল যে ওয়েনাডের ৬২ শতাংশ বনাঞ্চলই ‘উধাও’ হয়ে গিয়েছে ১৯৫০ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে। ১৮০০ শতাংশ বৃক্ষরোপণ বেড়েছে তার পরের কয়েক বছরে। ওই সমীক্ষাতেই জানানো হয়েছিল, ১৯৫০ সালের আগে ওয়েনাডের ৮৫ শতাংশই জঙ্গল ছিল। জঙ্গল ধ্বংস হওয়ার কারণে মাটি আলগা হয়েছে। বিশেষ করে যে এলাকাগুলিতে বৃষ্টিপাত বেশি হয় বা পাহাড়ি এলাকা, সেখানে ধসের সম্ভাবনা আরও বেশি।