উল্লাডাবরি গ্রামের বাসিন্দা ওই গৃহবধূর বিয়ে হয়েছিল পাশের গ্রামেই। পরিবার সম্বন্ধ করেই বিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে তহমিনার বাড়িতে অশান্তি হত। এরই মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন ওই মহিলা। অভিযোগ, তারপর থেকে অত্যাচারের মাত্রা আরও বাড়তে থাকে।

দুধের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল কীটনাশক, মুখ দিয়ে গ্যাজলা বেরিয়ে মৃত্যু হয় মেয়ের, একদিনের মধ্যেই মারা গেলেন এনামুল হক
কীটনাশক খাইয়ের খুনের অভিযোগ


জলপাইগুড়ি: আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা তিনি। বাড়িতে নিত্য অশান্তি। গৃহবধূর সঙ্গে পরিবারের সকলেই দুর্ব্যবহার করতে বলে অভিযোগ। তার মধ্যেই হঠাৎ একদিন শাশুড়ি এসে দুধের গ্লাসটা হাতে ধরিয়েছিলেন, বলেছিলেন খেয়ে নাও। খেয়েও নেন গৃহবধূ। আর তারপরই মুখ দিয়ে বেরিয়ে যায় গ্যাজলা। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন ওই গৃহবধূকে। আর মেয়ের মৃত্যুর খবর জানতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় ওই গৃহবধূর বাবারও। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ির উল্লাডাবরি এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম তহমিনা বেগম।


পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, উল্লাডাবরি গ্রামের বাসিন্দা ওই গৃহবধূর বিয়ে হয়েছিল পাশের গ্রামেই। পরিবার সম্বন্ধ করেই বিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে তহমিনার বাড়িতে অশান্তি হত। এরই মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন ওই মহিলা। অভিযোগ, তারপর থেকে অত্যাচারের মাত্রা আরও বাড়তে থাকে। শ্বশুর, শাশুড়ি, স্বামী সকলে মিলেই তাঁকে মারধর করে বলে অভিযোগ।


অভিযোগ এর মধ্যেই ময়নাগুড়ি ব্লকের উল্লাডাবরি এলাকায় তহমিনা বেগমের দুধের মধ্যে কীটনাশক মিশিয়ে দিয়ে খাইয়ে দেওয়া হয়। অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনায় তার শ্বশুর, শাশুড়ি ও স্বামীর পাশাপাশি নাম জড়ায় আরও দু’জনের। ঘটনার একদিন পরেই কন্যার শোকে মৃত্যু হয় তাঁর বাবা এনামুল হকের। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। কিন্তু বাকি দু’জন এখোনও গ্রেফতার হয়নি। তাই তাঁদের গ্রেফতারের দাবিতে ময়নাগুড়ি থানায় জমায়েত হয়। বুধবার বিকালে বিক্ষোভ দেখান মৃতার আত্মীয় পরিজনেরা। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ময়নাগুড়িতে। আইসি সুবল ঘোষ জানিয়েছেন বাকি দুজনের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours