আমেঠী থেকে রাহুল না লড়ায়, জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন স্মৃতি ইরানি। ভোটের প্রচারে সেই কথা তার মুখেও শোনা গিয়েছিল। ভোটের ফল প্রকাশ হতেই দেখা গেল, যে কিশোরী লালকে গুরুত্বই দিতে চাননি স্মৃতি ইরানি, সেই কিশোরী লালই ৫,৩৯,২২৮ ভোটে জয়ী হয়েছেন।
স্মৃতির হার, ২৬ বছর পর আমেঠীতে বাজিমাত করল সেই 'অ-গান্ধী' মুখই
হারলেন স্মৃতি ইরানি, জয়ী কিশোরী লাল।
মিটল ভোটযুদ্ধ। লোকসভা নির্বাচনে জনমত বিজেপির নেতৃত্বে থাকা এনডিএ-র দিকেই। ২৯৩ আসনে এগিয়ে এনডিএ। তবে জোর টক্কর দিয়েছে ইন্ডিয়া। ২৩২ আসনে এগিয়ে তারা। তবে উত্তর প্রদেশে কিন্তু ঘুরে গিয়েছে হাওয়া। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে যেখানে রাহুল গান্ধী(Rahul Gandhi)-কে হারিয়েছিলেন বিজেপির প্রার্থী স্মৃতি ইরানি(Smriti Irani), সেখানেই এবার স্মৃতি ইরানিকে হারিয়ে দিলেন কংগ্রেসের কিশোরী লাল শর্মা (Kishori Lal Sharma)। কে এই কিশোরী লাল, যিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে হারিয়ে দিলেন?
২০১৪ ও ২০১৯ সালে আমেঠী কেন্দ্র থেকে মুখোমুখি লড়েছিলেন স্মৃতি ইরানি ও রাহুল গান্ধী। ২০১৪ সালে যেখানে আমেঠীতে স্মৃতি ইরানিকে হারিয়েছিলেন কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী, সেখানেই ২০১৯ সালে রাহুল গান্ধীকে হার মানতে হয়েছিল স্মৃতি ইরানির কাছে। এই বছর আর আমেঠীর পথ মাড়াননি রাহুল, তার বদলে রায়বরেলী থেকে লড়েছেন রাহুল।
আমেঠী থেকে রাহুল না লড়ায়, জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন স্মৃতি ইরানি। ভোটের প্রচারে সেই কথা তার মুখেও শোনা গিয়েছিল। তার বিরুদ্ধে কংগ্রেস প্রার্থী করেছিল কিশোরী লাল শর্মাকে। ভোটের ফল প্রকাশ হতেই দেখা গেল, যে কিশোরী লালকে গুরুত্বই দিতে চাননি স্মৃতি ইরানি, সেই কিশোরী লালই ৫,৩৯,২২৮ ভোটে জয়ী হয়েছেন। স্মৃতি ইরানি পেয়েছেন ৩,৭২,০৩২ ভোট। জয়ের ব্যবধান ১,৬৭,১৯৬।
কে এই কিশোরী লাল শর্মা?
২৬ বছর পর আমেঠীতে দাঁড়িয়েছিলেন অ-গান্ধী কোনও মুখ। তবে আমেঠীর জমি কিশোরী লাল শর্মার কাছে অচেনা নয়। পঞ্জাবের লুধিয়ানার বাসিন্দা হলেও, ১৯৮৩ সালে তিনি আমেঠীতে আসেন এবং সেই সময় থেকে মাটি কামড়ে রয়েছেন তিনি। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর ঘনিষ্ঠ সঙ্গী ছিলেন কিশোরী লাল শর্মা। রাজীব গান্ধীর মৃত্যুর পর সনিয়া গান্ধীকে আমেঠী-রায়বরেলীর আসনও চিনিয়েছিলেন এই কিশোরী লাল শর্মাই। ১৯৯৯ সালে সনিয়া গান্ধী যখন প্রথমবার আমেঠী থেকে জয়ী হয়েছিলেন, সেই সময়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন এই কিশোরী লাল শর্মা।
আমেঠী আসন গান্ধী পরিবারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই আসন থেকে রাজীব গান্ধী, তাঁর ভাই সঞ্জয় গান্ধী, সনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধী লড়েছেন। প্রথমে সঞ্জয় গান্ধী এই আসন থেকে দাঁড়াতেন, বিমান দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যুর পর ১৯৮১ সালে উপ-নির্বাচন হয়। ভোটে দাঁড়ান রাজীব গান্ধী এবং জিতেও যান। ১৯৯১ সালে রাজীব গান্ধীর হত্যার আগে অবধি, চারবার ভোটে জিতেছিলেন।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours