অতি সম্প্রতি দুই দিনের সফরে ভারতে এসেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার যাচ্ছেন চিনে। কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশ নাকি ভারতের সঙ্গে ঐতিহাসিক মিত্রতা বজায় রেখেই বেশ কিছুটা চিন-ঘেঁষা হয়ে উঠেছে। আর হাসিনার চিন সফরের আগে, সেই ধারণাকেই মান্যতা দিলেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

 ভারত থেকে ফিরেই চিনের বন্দনা! দুই নৌকায় পা দিয়ে চলার বিপজ্জনক খেলায় হাসিনা
ভারত থেকে ফিরেই চিনের বন্দনা হাসিনা সরকারের মুখে

অতি সম্প্রতি দুই দিনের সফরে ভারতে এসেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চতুর্থবার বাংলাদেশের ক্ষমতায়আসার পর, তাঁর প্রথম দ্বিপাক্ষিক বিদেশ সফর। নিশ্চিতভাবে, তাঁর এই পদক্ষেপ বলে দেয়, বাংলাদেশের মিত্র তালিকায় এক নম্বরেই রয়েছে ভারত। তাঁর সফরের সময়, দুই দেশের মধ্যে একগুচ্ছ সমঝোতা চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে। কিন্তু, তিনি দেশে ফেরার পরই, তাঁর সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর নুখে শোনা গেল চিনের বন্দনা। গত কয়েক বছর ধরে, ভারতের অন্যান্য প্রতিবেশি দেশগুলোর মতোই বাংলাদেশেও প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা চালাচ্ছে বেজিং। কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকেই বলছিলেন, বাংলাদেশও নাকি ভারতের সঙ্গে ঐতিহাসিক মিত্রতা বজায় রেখেই বেশ কিছুটা চিন-ঘেঁষা হয়ে উঠছে। আর এবার এই ধারণাকেই বলা যেতে পারে মান্যতা দিলেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।


কী বলেছেন তিনি? বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের এক সাংবাদিক সম্মেলনে ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, “বাংলাদেশের পরিকাঠামোগত উন্নয়নে অনেক বড় ভূমিকা নিচ্ছে চিন। ফলে, এই কমিউনিস্ট দেশটি এখন বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।” ভারতকেও ‘বন্ধু’ বলে ভারসাম্য বজায়রাখতে চেয়েছেন তিনি। বলেছেন, “বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু ভারত। তবে, চিন আমাদের পরিকাঠামোগত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।” বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রীর এই অকপট স্বীকারোক্তি থেকেই স্পষ্ট, বাংলাদেশ ভারতেরও খেতে চাইছে, চিনেরও কুড়োতে চাইছে। দুই নৌকায় পা দিয়ে চলার এক বিপজ্জনক খেলায় মেতেছেন শেখ হাসিনা।

এখানেই শেষ নয়, শিগগিরই চিন সফরে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮ জুলাই চিন সফরে যাবেন। এটি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সফরের মাধ্যমে দুই দেশের বন্ধুত্ব আরও অটুট হবে এবং বাংলাদেশের উন্নয়নে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। রোহিঙ্গা সমস্যা-সহ অন্যান্য আলোচ্য এবং সফরের অন্যান্য কর্মসূচি ঠিক করা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে।” আবার ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী বলেছন, “ভারত-বাংলাদেশের যৌথ নদী তিস্তা। যদি প্রয়োজন অনুযায়ী ভারত আমাদের সহায়তা করতো, তাহলে সেটি ভালো হতো। তবে, বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ভারতের ট্রেন চলাচল করবে এবং বাংলাদেশ থেকেও ট্রেন ভারত, নেপাল আর ভুটানে যাবে। তা নিয়ে এখন কাজ চলছে।”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours