শুধু মারধরই নয়, এর পাশাপাশি পুলিশ সূত্রে খবর, গায়েব হয়ে গিয়েছে একটি নির্দিষ্ট সময়ের সিসিটিভি ফুটেজও। একদিকে যখন এরশাদ আলমকে ধরে মারধর করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ, তখনই ওই হোস্টেলের তিন জন আবাসিক গিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ ডিলিট করে দিয়েছিল বলে পুলিশ সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে।

গণধোলাই দেওয়ার সময়েও সচেতন! তিন জন গিয়ে লোপাট করেছিল সিসিটিভি ফুটেজ
গণধোলাইয়ে মৃত্যুর অভিযোগ


কলকাতা: খাস কলকাতার বুকে সরকারি হোস্টেলে গণধোলাইয়ে মৃত্যুর অভিযোগকে শোরগোল পড়ে গিয়েছে চারদিকে। শুধু মারধরই নয়, এর পাশাপাশি পুলিশ সূত্রে খবর, গায়েব হয়ে গিয়েছে একটি নির্দিষ্ট সময়ের সিসিটিভি ফুটেজও। একদিকে যখন এরশাদ আলমকে ধরে মারধর করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ, তখনই ওই হোস্টেলের তিন জন আবাসিক গিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ ডিলিট করে দিয়েছিল বলে পুলিশ সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। পুলিশ সূত্রে আরও খবর, ঘটনার সময় এরশাদ ওই এলাকায় কফি কিনতে গিয়েছিলেন। তখনই স্থানীয় এক মুদি ব্যবসায়ী বলে ওঠেন, চোর যাচ্ছে। সেকথা শুনতে পেয়েই হোস্টেলের কয়েকজন আবাসিক রাস্তা থেকে এরশাদকে হোস্টেলের ভিতরে তুলে নিয়ে যায়।


ওই ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যেই বউবাজারের উদয়ন হোস্টেল থেকে ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের মধ্যে ১২ জন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর স্তরের পড়ুয়া এবং বাকি দু’জন প্রাক্তন ছাত্র। পুলিশ সূত্রে খবর, উদয়ন হোস্টেলের ওই দু’জন প্রাক্তন ছাত্রের নেতৃত্বেই মারধর করা হয়েছিল এরশাদকে। উল্লেখ্য, বউবাজারের উদয়ন হোস্টেলে সম্প্রতি মোবাইল চুরির অভিযোগ উঠেছিল বলে জানা যাচ্ছে। সেই ঘটনা থেকে স্রেফ সন্দেহের বশে এরশাদকে হস্টেলে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।


এদিকে জানা যাচ্ছে, গণপিটুনির পর হাসপাতালে মৃত এরশাদ আলম বিগত প্রায় ১৭-১৮ বছর ধরে চাঁদনী চক এলাকায় টিভি সারাইয়ের দোকানে কাজ করতেন। গতকাল ফোন করে এরশাদ ১০ হাজার টাকা আনতে বলেন দোকানের মালিককে। সেই ফোন পাওয়ার পরে দোকানের মালিক বৌবাজার থানার পুলিশকে নিয়ে ওই হোস্টেলে যায়, কিন্তু হোস্টেল বৌবাজার থানার অন্তর্গত না হওয়ার কারণে হোস্টেলের তালা খোলা হয়নি। পরবর্তীতে ওই দোকান মালিক মুচিপাড়া থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে গেলেও প্রায় ১০-১৫ মিনিট পরে গেট খোলা হয় হোস্টেলের। হোস্টেলে ঢুকে এরশাদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours