কেরল থেকে নয়া দিল্লি আসছিলেন আলি খান নামক বছর ৬২-র এক বৃদ্ধ। এরনাকুলাম-হজরত নিজামুদ্দিন মিলেনিয়াম সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসে ভ্রম করছিলেন তিনি। লোয়ার বার্থে সিট পড়েছিল তাঁর। তিনি যখন শুয়েছিলেন, হঠাৎই তাঁর উপরে ভেঙে পড়ে উপরের বার্থটি।

লোয়ার বার্থে ঘুমোচ্ছিলেন, হঠাৎ যাত্রীকে নিয়েই ভেঙে পড়ল আপার বার্থ! চেপ্টে মৃত্যু যাত্রী
ফাইল চিত্র

করমণ্ডল এক্সপ্রেস থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা, সাম্প্রতিককালের একাধিক রেল দুর্ঘটনা যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছে। কখনও সিগন্যালিংয়ের সমস্যা, আবার কখনও চালকের ভুল, দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রাণ হারাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু ট্রেনের ভিতরেই বা কতটা সুরক্ষিত যাত্রীরা? এই প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে একটি ঘটনা। চলন্ত ট্রেনে বার্থ ভেঙে পড়ে মৃত্যু হল এক যাত্রীর। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিবৃতি দেওয়া হয়েছে ভারতীয় রেলওয়ের তরফেও।


জানা গিয়েছে, কেরল থেকে নয়া দিল্লি আসছিলেন আলি খান নামক বছর ৬২-র এক বৃদ্ধ। এরনাকুলাম-হজরত নিজামুদ্দিন মিলেনিয়াম সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসে ভ্রম করছিলেন তিনি। লোয়ার বার্থে সিট পড়েছিল তাঁর। তিনি যখন শুয়েছিলেন, হঠাৎই তাঁর উপরে ভেঙে পড়ে উপরের বার্থটি। আপার বার্থেও শুয়েছিলেন এক যাত্রী। একে ভারী বার্থ, তার উপর যাত্রীর ওজন, গুরুতর জখম হন বৃদ্ধ। রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটে।

রেল কর্তৃপক্ষকে খবর দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ওই বৃদ্ধকে হায়দরাবাদে নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অস্ত্রোপচার চলাকালীন ওই ব্যক্তির মৃত্যু ঘটে।


এরপরই ভারতীয় রেলওয়ের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, বার্থে কোনও সমস্যা ছিল না। রেলের আধিকারিকরা বার্থ পরীক্ষা করে এবং সহযাত্রীদের জিজ্ঞাসা করে জানতে পেরেছেন, উপরের বার্থে থাকা যাত্রীই ঠিকভাবে আসনটি চেইন দিয়ে আটকাননি, এর জেরেই দুর্ঘটনা ঘটে।

রেলের কাছে চলন্ত ট্রেনে এই দুর্ঘটনার খবর আসতেই নিকটবর্তী স্টেশন রামাগুন্দমে ডিউটিতে থাকা স্টেশন মাস্টারকে অবগত করা হয়। স্টেশনেই অ্যাম্বুল্যান্স প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলেও, শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি ওই যাত্রীকে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours