ভারতের যেমন দীর্ঘদিনের আক্ষেপের জন্য বাড়তি উত্তেজনা কাজ করতে পারে, তেমনই দক্ষিণ আফ্রিকার ক্ষেত্রে প্রথম বার ফাইনালে উঠেই ট্রফি জেতার উত্তেজনা। আর এতে ভালোর পাশাপাশি ভুলের সম্ভাবনাও বেশি। যে দল যত কম ভুল করবে, অ্যাডভান্টেজ তাদেরই। তারকা নয়, সেরা পারফরম্যান্সেই কাপ জেতার হাতছানি দু-দলের সামনে। স্বপ্ন পূরণ হবে এক দলেরই!
সাতে দক্ষিণ আফ্রিকায়, ১৭ বছর পর প্রতিপক্ষ; এ শুধুই ট্রফি নয়...
‘প্রথম’ কোনও কিছুই ভোলা যায় না। বড্ড মন খারাপের মাঝে আরও বেশি করে চোখের সামনে ভেসে ওঠে। রোহিত শর্মারও কি এমন কিছুই হচ্ছে? কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকা টিমের? সেই ২০০৭। প্রথম বার টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বিশ্বকাপ। আয়োজক দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই থেকে শুরু। অবশেষে নবম সংস্করণে প্রথম বার বিশ্বকাপ ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা। টি-টোয়েন্টিতেই শুধু নয়, সব ফরম্যাট মিলিয়েই প্রথম বার বিশ্বকাপ ফাইনাল! তাদের কাছে বিশ্বকাপ ট্রফি শুধুই ট্রফি নয়। অনেক কিছুর জবাব দেওয়ার।
ভারতের কাছেও তাই। প্রথম বিশ্বকাপেই চ্যাম্পিয়ন। তখন থেকেই শুধু অপেক্ষা। সেমিফাইনাল অনেকবার। ২০০৭ সালের পর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আর মাত্র একবার ফাইনালে উঠেছিল ভারত। ২০১৪ সালে সে বার হার। এই নিয়ে তৃতীয় বার ফাইনাল। ১৭ বছরের অপেক্ষা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দ্বিতীয় ট্রফির। তা হলে এই ট্রফি, শুধু একটা ট্রফি কী করে হয়! এ যেন অনেক সাধনার ফল। যা হাতে আসতে এখনও একটা ধাপ পেরোতে হবে। সে বার ছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়, আর এ বার প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতের কাছে ট্রফি জয়ের শেষ ধাপ।
ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ফাইনাল যেন শুরু থেকে শুরু। গ্রুপ পর্বে দু-দলই অপরাজিত। গ্রুপ পর্বে কিংবা সুপার এইটে কে কোন দলকে, কত বড় ব্যবধানে হারিয়েছে, কোনও গুরুত্ব নেই। কোন দলের ব্যাটিং ভালো, কার বোলিং! এতেও বা কী যায় আসে। ম্যাচে যে ভালো খেলবে, ট্রফি তার। এর জন্য যেমন অভিজ্ঞতা, স্কিল দরকার, তেমনই প্রয়োজন স্নায়ুর চাপ ধরে রাখা। যেটা দু-দলের কাছে দু-রকম।
ভারতের যেমন দীর্ঘদিনের আক্ষেপের জন্য বাড়তি উত্তেজনা কাজ করতে পারে, তেমনই দক্ষিণ আফ্রিকার ক্ষেত্রে প্রথম বার ফাইনালে উঠেই ট্রফি জেতার উত্তেজনা। আর এতে ভালোর পাশাপাশি ভুলের সম্ভাবনাও বেশি। যে দল যত কম ভুল করবে, অ্যাডভান্টেজ তাদেরই। তারকা নয়, সেরা পারফরম্যান্সেই কাপ জেতার হাতছানি দু-দলের সামনে। স্বপ্ন পূরণ হবে এক দলেরই!
Post A Comment:
0 comments so far,add yours