গত ৫ জুন শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, এ দিন হায়দরাবাদের স্টার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
সংবাদ জগতে স্তম্ভ পতন, প্রয়াত রামোজি রাও
রামোজি রাও।
সংবাদ জগতে শোকের ছায়া। প্রয়াত রামোজি রাও। ইনাডু সংবাদপত্র, ইটিভির প্রতিষ্ঠাতা তথা রামোজি ফিল্ম সিটির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন রামোজি রাও। আজ, শনিবার ভোর ৩টে ৪৫ মিনিটে হায়দরাবাদের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে তাঁর অবদান অবিস্মরণীয়।
দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন রামোজি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা। গত ৫ জুন শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, এ দিন হায়দরাবাদের স্টার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
রামোজি রাওয়ের প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে রামোজি রাওয়ের সঙ্গে ছবি পোস্ট করে লেখেন, “রামোজি রাও গারুর প্রয়াণ অত্যন্ত দুঃখদায়ক। ওনার দূরদর্শিতায় ভারতীয় মিডিয়ার বিপ্লব এসেছিল। সংবাদমাধ্যম ও সিনেমার জগতে তিনি অবিস্মরণীয় ছাপ রেখে গিয়েছেন। উদ্ভাবনের নতুন মাপকাঠি তৈরি করেছিলেন তিনি।”
রামোজি রাওয়ের প্রয়াণের খবরে শোক প্রকাশ করেন তেলঙ্গানার বিজেপি প্রধান তথা সাংসদ জি কিষাণ রেড্ডিও। তিনি এক্স হ্য়ান্ডেলে লেখেন, “তেলুগু মিডিয়া ও সংবাদ জগতে তাঁর অবদান প্রশংসনীয়। ওনার পরিবারের প্রতি সমবেদনা রইল। ওম শান্তি।”
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের তরফেও দত্তাত্রেয় হোসাবলে রামোজি রাওয়ের প্রসঙ্গে পোস্ট করেন। তিনি লেখেন, “ইনাডু ও রামজি ফিল্ম সিটির প্রতিষ্ঠাতা শ্রী রামোজি রাওয়ের প্রয়াণ বড় ক্ষতি, বিশেষ করে সাংবাদিকতা ও ফিল্ম জগতের জন্য।”
১৯৩৬ সালের ১৬ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেছিলেন রামোজি রাও। তিনি একাধারে ব্যবসায়ী, মিডিয়া উদ্যোগপতি ও চলচ্চিত্র প্রযোজক। রামোজি গ্রুপেরও প্রধান তিনি। দেশের সবথেকে বড় ফিল্ম সিটি, রামোজি ফিল্ম সিটির প্রতিষ্ঠাতা তিনি। পাশাপাশি ইনাডু সংবাদপত্র, ইটিভি নেটওয়ার্ক, উষাকিরণ মুভিজ কোম্পানির মালিক। মার্গদর্শী চিট ফান্ড, ডলফিন গ্রুপ অব হোটেলস, কলাঞ্জলী শপিং মল, প্রিয়া আচার ও ময়ূরী ফিল্ম ডিস্ট্রিবিউশনেরও মালিক তিনি।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours