পাওয়ার প্লে-তে বাঁ হাতি স্পিনারকে এনে যে ধাক্কা দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল প্রোটিয়াদের, তাতে সফল। অস্বস্তি আরও বাড়ল ওভারের শেষ ডেলিভারিতে। টুর্নামেন্টের শুরু থেকে দুর্দান্ত খেলছিলেন ঋষভ পন্থ। গত ম্যাচে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ফাইনালের মঞ্চে কিছুটা সময় ক্রিজে কাটানো প্রয়োজন ছিল। যদিও সুইপ করতে গিয়ে ব্যাটের মাথায় বল লাগে।

পরিকল্পনা সফল! প্রোটিয়া অধিনায়ক যা ভেবেছিলেন তাই হল...


সুপার এইটে অস্ট্রেলিয়া ও সেমিফাইনালে। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে বাজিমাত করেছিলেন রোহিত শর্মা। উল্টোদিক থেকে উইকেট পড়লেও টিমের উপর চাপ পড়তে দেননি ক্যাপ্টেন। তাঁকে আটকানোর পরিকল্পনা খুঁজছিল প্রোটিয়া শিবির। পাওয়ার প্লে-তে কী পরিকল্পনা হতে পারে, সেটাই লিখেছিল টিভি নাইন বাংলা। পাটা পিচ হলেও স্পিনাররা উইকেট সোজা বল করলে চাপ। আর বাঁ হাতি স্পিনার যে কোনও পিচেই অস্বস্তি তৈরি করতে পারেন। সেমিফাইনালে ভারতের কাছে হারের পর ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার বলেছিলেন, পাওয়ার প্লে-তে মইন আলিকে বোলিং না করানো তাঁর সবচেয়ে বড় ভুল হয়েছিল। সেই ভুলের পুনপাবৃত্তি করেনি দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক এইডেন মার্কর‌্যাম। কী পরিকল্পনা ছিল তাঁর?


পাওয়ার প্লে-তেই বাঁ হাতি স্পিনার কেশব মহারাজকে আক্রমণে আনেন এইডেন মার্কর‌্যামে। প্রথম বলই অবশ্য অনেকটা শর্ট। বড় রকমের এজ লেগে বাউন্ডারিতে। এরপরই রিভার্স সুইপে বাউন্ডারি। হিটম্যান রিভার্স সুইপ মারছেন এবং তাতে বাউন্ডারি, দুর্দান্ত মুহূর্ত। এরপর একটি ডট বল। অস্বস্তি তৈরি হল চতুর্থ ডেলিভারিতে। সুইপ করেছিলেন রোহিত শর্মা। কিন্তু শর্ট স্কোয়ার লেগে ফিল্ডারের হাতে।


পাওয়ার প্লে-তে বাঁ হাতি স্পিনারকে এনে যে ধাক্কা দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল প্রোটিয়াদের, তাতে সফল। অস্বস্তি আরও বাড়ল ওভারের শেষ ডেলিভারিতে। টুর্নামেন্টের শুরু থেকে দুর্দান্ত খেলছিলেন ঋষভ পন্থ। গত ম্যাচে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ফাইনালের মঞ্চে কিছুটা সময় ক্রিজে কাটানো প্রয়োজন ছিল। যদিও সুইপ করতে গিয়ে ব্যাটের মাথায় বল লাগে। বেলুনের মতো তা উঠে যায়। কিপার কুইন্টন ডি’ককের সহজ ক্যাচ। তৃতীয় আম্পায়ার নিশ্চিত করতেই মাঠ ছাড়তে হয় পন্থকে। মাত্র ২৩ রানেই ২ উইকেট হারায় ভারত।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours