কেউ একান্তে পাহাড় কোলে বসে মন খুলে দুটো কথা বলেন, কেউ আবার সিফন শাড়িতে রিলস বানিয়ে নজর কাড়েন। কিন্তু সেই ভূস্বর্গতেই যখন ওঁত পেতে বসে থাকে বিপদ, তখন? পাহাড়ের বাঁকে বাঁকে সৌন্দর্যের হাতছানি হঠাৎ যখন মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়..., সেটা দুঃখের।
'এটাতো খুব বড় ক্ষতি, বেদনাদায়ক...', স্বর্গের উপত্যকায় আচমকাই হামলা, আক্ষেপ মনামীর
স্বর্গের উপত্যকা। সিনেমার প্লট কিংবা ভ্লগ, মানুষের কাছে স্বপ্ন কাশ্মীর উপত্যকা। কয়েকদিনের ছুটি নিয়ে অনেকেই সেই স্বপ্নকে যাপন করতে বেরিয়ে পড়েন কাছের মানুষের হাত ধরে। কেউ একান্তে পাহাড় কোলে বসে মন খুলে দুটো কথা বলেন, কেউ আবার সিফন শাড়িতে রিলস বানিয়ে নজর কাড়েন। কিন্তু সেই ভূস্বর্গতেই যখন ওঁত পেতে বসে থাকে বিপদ, তখন? পাহাড়ের বাঁকে বাঁকে সৌন্দর্যের হাতছানি হঠাৎ যখন মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়…, সেটা দুঃখের।
জম্মু-কাশ্মীরের রিয়াসি জেলায় রবিবার পুণ্যার্থী বোঝাই বাসে হামলা চালায় জঙ্গিরা। এলোপাথাড়ি গুলি থেকে বাঁচাতে গিয়েই বাসটি খাদে পড়ে যায়। দুর্ঘটনায় ১০ জন পুণ্য়ার্থীর মৃত্য়ু হয়েছে, আহত কমপক্ষে ৩৩ জন। জঙ্গিদের হাত থেকে যারা রক্ষা পেয়েছেন, তারা হাসপাতালের বিছানা থেকে শুয়ে কেউ কেউ জানিয়েছেন ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা। আর এই ঘটনা পলকে ঘুম কেড়ে হাজার হাজার ভ্রমণ পিপাষু মানুষের। যার মধ্যে অন্যতম হলেন মনামী ঘোষ। অভিনেত্রী সময় পেলেই বেড়িয়ে পড়েন ক্যামেরা হাতে। ”প্রকৃতির কোলে বারবার নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করার নেশায় ছুটে যাই। কিন্তু এমন ঘটনা কানে আসলেই যেন বুকটা কেঁপে ওঠে। চলতি বছর টিউলিপ ফেস্টিভ্যালে লাখ লাখা মানুষ গিয়েছিলেন। এটা তো ব্যবাসরই সময়। ওখানের মানুষও আতঙ্ক কাটিয়ে পর্যটন শিল্পকে নিয়ে ভাবছেন। সবটা যেন পলকে বেশ কিছুটা পিছিয়ে গেল। আমার পরিচিত অনেকের মুখেই শুনছি এর মধ্যে হয় তাঁরা কাশ্মীর গিয়েছেন, বা যাবেন। এবার কি সত্যি তাঁরা দুবার ভাববেন না বলুনতো?” এই প্রশ্ন তুললেন মনামী।
মনামীর কথায়, ”কাশ্মীর আমার ভীষণ প্রিয় জায়গা। ভারতের বুকে যে কটা ভ্রমণ কেন্দ্রীক জায়গা করেছে তার মধ্যে নিঃসন্দেহে সেরা। কোভিডের পরই আমি গিয়েছিলাম, মাঝে তো আমাদের একটা ইউনিট গিয়ে শুটও করে এল। এই তো বেশ কয়েকদিন আগে পর্যন্তও সবটা ভীষণ সুন্দর ছিল। এই দুর্ঘটনার ফলে অনেকেই যাঁরা প্লান করছিলেন, তারা হয়তো পিছিয়ে যাবেন। এটা একেবারেই কাম্য নয়। শুধু ঘুরতে ভালবাসি বলে, ঘোরার সুন্দর জায়গা বলে এমনটা চাইছি না, সেটা কিন্তু নয়। দেশের কোনও প্রান্তেই এমন ঘটনা কেউ চাইবে না। কম মানুষ তাঁদের স্বপ্ন যাপন করতে গিয়েছিলেন, আজ তাঁরা নেই। কত মানুষ ঘোরার টানে নয়, ঈশ্বরের টানেও তো যান, অমরনাথ, বৈষ্ণদেবী, এটা সবার জন্য খুবই কষ্টের, বেদনাদায়ক একটা খবর। বিশেষ করে ওখানের স্থানীয় মানুষদের কথা ভাবুন তো। তাঁদের তো ব্যবসা, রুজি-রুটি এটার সঙ্গে জড়িয়ে। আমার সঙ্গে কাশ্মীরের সংযোগ সত্যি খুব গভীর। আমার জীবনের প্রথম দিকের যে ভ্রমণ স্থানগুলো রয়েছে, কাশ্মীর তার মধ্যে অন্যতম। আমি যখন ক্লাস ২টে পড়ি বা ৩ হবে, সেই প্রথম কাশ্মীর দেখা। আমার বাবাও কাশ্মীরে তিনচারবার গিয়েছেন। এই জায়গা এতটাই আকর্ষণীয়।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours