৮০-র দশকে, সিপিএম আমলে সঞ্চয়িতার মতো স্কিম ছিল। পরে সারদা হল, রোজভ্যালি হল। মানুষের টাকা চুরি হল। তারপরও মানুষ শেখেনি।', এমনটাই বলেন তথাগত।
'রাজ্যের মানুষের মানসিকতা বিনা পরিশ্রমে টাকা পাওয়া', বঙ্গবাসীকে তুলোধনা তথাগতর
তথাগত রায়
কলকাতা: লোকসভা ভোটে লক্ষ্যপূরণ তো দূরের কথা, লক্ষ্যের কাছাকাছিও পৌঁছতে পারেনি বঙ্গ বিজেপি। এমনকী জেতা আসনও হাত থেকে চলে গিয়েছে। মোট ১২ টি আসন পেয়েছে গেরুয়া শিবির। একটি আসনে কংগ্রেসকে বাদ দিলে বাকি সব কেন্দ্রেই ফুটেছে ঘাসফুল। আর এই সাফল্যের কারণ হিসেবে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’- এর কথা বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। সেই তত্ত্ব ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কার্যত রাজ্যবাসীকেই তুলোধনে করলেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়। তাঁর দাবি, এই ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’- এর পরিণাম খুব খারাপ হতে পারে।
‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ সম্পর্কে বলতে গিয়ে তথাগত রায় বলেন, “তৃণমূলের সব দুর্নীতি, সব চুরি ঢাকা পড়ে গিয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে। তবে এর একটা ভয়াবহ পরিণাম আছে।” ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তথাগত বলেন, “পৃথিবীর নিয়ম হচ্ছে কিছু পেতে গেলে কিছু দিতে হয়। আর আজ রাজ্যের মানুষের মানসিকতা হল, বিনা পরিশ্রমে টাকা পাওয়া। সেটাই শিখিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাড়িতে বসে আহার-নিদ্রা করেই যদি টাকা পাওয়া যা, তাহলে তার থেকে বেশি আনন্দ আর কিছুতে নেই।”
এই প্রসঙ্গে চিটফান্ড কেলেঙ্কারির কথাও উল্লেখ করেন তথাগত। তিনি বলেন, “৮০-র দশকে, সিপিএম আমলে সঞ্চয়িতার মতো স্কিম ছিল। পরে সারদা হল, রোজভ্যালি হল। মানুষের টাকা চুরি হল। তারপরও মানুষ শেখেনি। এখনও সেই কিছু না করে টাকা পেতেই পছন্দ করে মানুষ। এর ভবিষ্যৎ ফল অত্যন্ত দুঃখজনক হবে, ভয়াবহ হবে।”
তবে বিজেপির সংগঠনেও যে খামতি ছিল, সে কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন তথাগত রায়। তিনি মনে করেন, পুলিশ-প্রশাসনকে হাতে রেখেই সংগঠন মজবুত করেছে তৃণমূল। তবে সব শেষে তিনি বলেন, “বিজেপির নিজেরও খামতি আছে।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours