কপিল দেবের নেতৃত্বে লর্ডসের সেই ঐতিহাসিক জয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের টানা তিন বিশ্বকাপ জয় আটকে দিয়েছিল কপিলের ভারত। সেই টিমে এমন একজন প্লেয়ার ছিলেন, যিনি বিশ্বজয়ী দলের সদস্য। কিন্তু পুরো টুর্নামেন্টে একটিও ম্যাচ খেলেননি। এই রেকর্ড একমাত্র সেই সুনীল ভালসনের রয়েছে। এ বার যদি ভারত চ্যাম্পিয়ন হয়?

বিশ্বজয়ে কেরল কানেকশন! সাতের ইউসুফ পাঠান হয়ে উঠবেন সঞ্জু স্যামসন?


সঞ্জু স্যামসন কেরলের। কিন্তু বিশ্বজয়ে কেরলের কী কানেকশন? দেশের খেলায় হঠাৎ একটা রাজ্যকে আলাদা করে কৃতিত্ব দেওয়া নয়। তবে কানেকশন একটা রয়েছে। সেটাকে লাকি চার্ম বলা যায় কী? সঞ্জু স্যামসনের কাছে যেন দুটোই বিকল্প রয়েছে। পূরণ হতে পারে দুটোই। কী ভাবে! সেটাই বোঝার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াডে রয়েছেন কিপার ব্যাটার সঞ্জু স্যামসন। ওয়ার্ম আপ ম্যাচে ওপেন করেছিলেন। আসলে সেটা ছিল তাঁর পরীক্ষা। সেই ম্যাচে ব্যর্থ। একটা ব্যর্থতার জন্য একাদশে জায়গা হয়নি, তা বলা যায় না। কম্বিনেশন বাছতে গিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যে কারণে চাহাল, যশস্বীকেও বেঞ্চে কাটাতে হচ্ছে। সঞ্জুর ক্ষেত্রে বিষয়দুটো ঠিক কী?


ভারতের প্রথম বিশ্বজয় মনে পড়ে? হ্যাঁ, যেটা ভাবছেন, সেটাই। ১৯৮৩। কপিল দেবের নেতৃত্বে লর্ডসের সেই ঐতিহাসিক জয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের টানা তিন বিশ্বকাপ জয় আটকে দিয়েছিল কপিলের ভারত। সেই টিমে এমন একজন প্লেয়ার ছিলেন, যিনি বিশ্বজয়ী দলের সদস্য। কিন্তু পুরো টুর্নামেন্টে একটিও ম্যাচ খেলেননি। এই রেকর্ড একমাত্র সেই সুনীল ভালসনের রয়েছে। এ বার যদি ভারত চ্যাম্পিয়ন হয়? যশস্বী, চাহাল কিংবা সঞ্জু যদি ফাইনালে সুযোগ না পান? সেই সম্ভাবনাই বেশি। তা হলে সুনীল ভালসনদের মতোই টুর্নামেন্টে কোনও ম্যাচ না খেলেও বিশ্বজয়ী দলের সদস্য হবেন।

সঞ্জুর ক্ষেত্রে অবশ্য় বেশি আক্ষেপ থাকবে। এমনিতেই জাতীয় দলে তাঁর সুযোগ পাওয়া-বাদ পড়া একটা নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরপর আবারও কোনও বিশ্বকাপে সুযোগ পাবেন, সেই গ্যারান্টি দেওয়া যায় না। এ বার আসা যাক কেরল কানেকশনে। ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি ও ২০১১ সালে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল পেসার শান্তাকুমারন শ্রীসন্থের। ২০১১ বিশ্বকাপে পরিবর্ত হিসেবে স্কোয়াডে এসেছিলেন। প্রথম সুযোগেই এত রান খরচ করেছিলেন, শ্রীসন্থের উপর আর ভরসা দেখাতে পারেনি টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে জোড়া বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য কেরলের এই পেসার। সঞ্জু হয় সুনীল ভালসনের দলে নাম লেখাবেন নয়তো কেরল কানেকশন হয়ে উঠতে পারেন!


আরও একটা সম্ভাবনা রয়েছে সঞ্জু স্যামসনের কাছে। তিনি কিন্তু ২০০৭ সালের ইউসুফ পাঠানও হয়ে উঠতে পারেন। যদিও প্রেক্ষাপট আলাদা। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপের স্কোয়াডে থাকলেও সুযোগ পাচ্ছিলেন না ইউসুফ। সরাসরি ফাইনাল খেলেন। বীরেন্দ্র সেওয়াগের চোটে বিশ্বকাপ ফাইনালে সরাসরি খেলার সুযোগ মিলেছিল। ভারতীয় টিমে চোট আঘাতের পরিস্থিতি নেই। তবে ফিনিশারের ভূমিকায় ব্যর্থ শিবম দুবের জায়গায় সঞ্জুকে একটা সুযোগ দেওয়া হতেই পারে। সঞ্জু স্যামসন যে কোনও পজিশনেই ব্যাট করতে পারেন। ফলে তাঁকে মিডল-লোয়ার অর্ডারে খেলানো অবাস্তব নয়। সরাসরি ফাইনাল খেলে চ্য়াম্পিয়ন হলে ইউসুফ পাঠানোর মতো হয়ে উঠতে পারেন। আবার কেরল কানেকশনও থাকছে। কিংবা সুনীল ভালসন! টিম চ্য়াম্পিয়ন হলে, সুযোগ না পাওয়ার আক্ষেপটা হয়তো কমবে। আজ ট্রফির লক্ষ্যেই টিম ইন্ডিয়া।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours