মায়ের জন্মদিন উপলক্ষে আগামীকাল (২৮.০৬.২০২৪) একটি নাচের অনুষ্ঠানের আয়োজনও করেছেন অমলা-কন্যা মমতা। মায়ের জন্মদিনে সারাটা দিন তাঁকে বেশি-বেশি করে মনে পড়ছে মমতার। সেসব কিছুই তিনি ভাগ করে নিলেন সঙ্গে। তুলে ধরলেন শঙ্কর পরিবারের অন্দরের কথাও।
পুত্রের মৃত্যু কতখানি নাড়িয়েছিল অমলা শঙ্করকে, কাঁপা গলায় জানালেন কন্যা মমতা
মা অমলা শঙ্করের সঙ্গে মমতা।
সেঞ্চুরি করেছিলেন নৃত্যশিল্পী এবং ‘কল্পনা’ ছবির অভিনেত্রী অমলা শঙ্কর। ১০০ বছর বেঁচেছিলেন তিনি। আজ তাঁর জন্মদিন। তাঁর কন্যা অভিনেত্রী-নৃত্যশিল্পী মমতা শঙ্কর বলেছিলেন, “মা জীবনে সবকিছু পেয়েছেন। সবকিছু দেখেছেন। এটাই আমার শান্তি।” আজ (২৭.০৬.২০২৪) তাঁর সেই প্রিয় বন্ধু, আদরের মায়ের ১০৫তম জন্মদিন। মায়ের জন্মদিন উপলক্ষে আগামীকাল (২৮.০৬.২০২৪) একটি নাচের অনুষ্ঠানের আয়োজনও করেছেন অমলা-কন্যা মমতা। মায়ের জন্মদিনে সারাটা দিন তাঁকে বেশি-বেশি করে মনে পড়ছে মমতার। সে সব কিছুই তিনি ভাগ করে নিলেন
ডিজিটালের সঙ্গে। তুলে ধরলেন শঙ্কর পরিবারের অন্দরের কথাও।
শঙ্কর পরিবারের আটপৌরে বউ
আমাদের বাড়িটা একাধিক কিংবদন্তির বাড়ি। বহু বিখ্যাত মানুষেরা রয়েছেন। বাবা উদয় শঙ্কর থেকে শুরু করে কাকা রবি শঙ্কর। আমার মা অমলা শঙ্কর। আমার দাদা আনন্দ শঙ্কর। বউদি তনুশ্রী শঙ্কর। আমাদের ছেলেমেয়েরা তো আছেই। মা যখন শঙ্কর বাড়িতে বিয়ে করে এসেছিলেন, তিনি খুবই ছোট। বাচ্চা মেয়েই বলা চলে তাঁকে। সবকিছু সামলেছিলেন। পরবর্তীতে আমি মাকে আর পাঁচজন বাঙালি বাড়ির মায়ের মতোই দেখেছি। খুব সাধারণ, আটপৌরে। একদিকে যেমন রান্নাঘরে রান্না করছেন, অন্যদিকে হাতা-খুন্তি নিয়ে বেরিয়ে এসে বাবাকে রবীন্দ্রনাথের কিছু একটা পড়ে দিচ্ছেন। আমার মা, আমাকে এবং আমার দাদাকে ব্যস্ততার কারণে কোনওদিনও কোনও আয়ার কাছে রেখে মানুষ করেননি। আমাদের প্রতিপালনের সবটা নিজে হাতে করেছেন। আমার ছোট ছেলে এবং ছোট বউমাও কিন্তু এক্কেবারে মায়ের ধারা পেয়েছে। বাচ্চাকে নিজেরাই মানুষ করছে ভাগাভাগি করে। আয়া কিংবা ন্যানি রাখেনি। বিখ্যাত মানুষের বাড়ি হলেও, ছোট থেকে এই সংস্কৃতি দেখেই আমরা বড় হয়েছি। আসলে আমরা খুবই বাঙালি এবং ভীষণভাবে ঘরোয়া।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours