রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাই বলছেন, পাহাড় বিজেপির শক্ত ঘাঁটি। ভোটে পাহাড়ে এবার ৯৩ হাজারে লিড পেল বিজেপি। পাল্টা লড়াইয়ে থাকতে কৌশল হিসাবে চোপড়া থেকে ৯১ হাজারে লিড নিয়ে আসে তৃণমূল। লড়াইয়ে থাকেন গোপাল লামা।
বাংলা জুড়ে সবুজ ঝড়, তবুও কেন দার্জিলিঙে মুখ থুবড়ে পড়ল তৃণমূল?
কেন মুখ থুবড়ে পড়ল তৃণমূল?
শিলিগুড়ি: মেয়র থেকে মেয়র পারিষদ, শিলিগুড়ির সব ওয়ার্ডে ধরাশায়ী তৃণমূল। তিন বিধানসভায় বিজেপির লিড রাজু বিস্তার জয়ের পথ সুগম করে দিয়েছে। এমনকি শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবের ওয়ার্ডে ৪০০ ভোটে লিড পেয়েছে বিজেপি। ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকারের ওয়ার্ডে বিজেপি লিড হাজার ছাড়িয়েছে। দলের কাউন্সিলরদের কোনও ওয়ার্ডেই লিড দিতে পারেনি তৃণমূল।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাই বলছেন, পাহাড় বিজেপির শক্ত ঘাঁটি। ভোটে পাহাড়ে এবার ৯৩ হাজারে লিড পেল বিজেপি। পাল্টা লড়াইয়ে থাকতে কৌশল হিসাবে চোপড়া থেকে ৯১ হাজারে লিড নিয়ে আসে তৃণমূল। লড়াইয়ে থাকেন গোপাল লামা। গণনার পর্ব যত এগোতে থাকে, শিলিগুড়ি, ফাঁসিদেওয়া, মাটিগাড়ার মতো বিধানসভায় ঢোকে, তখন কার্যত কোমর ভেঙে যেতে দেখা যায় তৃণমূলের। কেবল ফাঁসিদেওয়াতেই ৩৫ হাজার লিড নিয়ে গিয়েছে বিজেপি। মাটিগাড়া-নকশালবাড়িতে ৮৪ হাজার ভোটে লিড নিয়ে গিয়েছে বিজেপি।
শিলিগুড়ি শহরে কিছুদিন আগেই পৌরসভার দখল নিয়েছিল তৃণমূল। সেই শিলিগুড়ি শহরেও বিজেপির লিড ৬৭ হাজার। এক জন মেয়র পারিষদ, যিনি সংখ্যালঘু এলাকাতে থাকেন, তিনি ছাড়া সকল মেয়র পারিষদ, কাউন্সিলরদের এলাকায় তৃণমূল হেরেছে। তৃণমূল নেতৃত্ব বলছে, এই ফলাফলের কারণ বিশ্লেষণ করতে পারে। আর যে সমস্ত কর্মীরা গণনাকেন্দ্রের বাইরে ছিলেন, তাঁরা বলছেন, এমন ফল হতে পারে না। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, শিলিগুড়ি এলাকাতেই তৃণমূল নেতাদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। যে যাঁর মতন করে প্রচার করেছেন, তবে নেতাদের মধ্যেই সমন্বয়ের অভাব রয়েছে, কর্মীদের সুসংবদ্ধ তো দূরের কথা।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours