সইফ আলি খান হঠাৎ বলেন, "নিউ মার্কেট হকার কমিটিতে যত জন রয়েছেন, সবাই ইউনিয়নের লোক। শক্তি দা আমাদের ইউনিয়নের লোক নন, শক্তিদা সিপিএম করে।" তখনই রেগে যান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভাই প্লিজ। আমি সিপিএম-বিজেপি বুঝি না। আমি তোমার কথা শুনব না। সবাইকে নিয়ে চলতে হবে। এই তুমি কথা বলবে না।"
নেতা সইফের কথা শুনেই তেলে বেগুনে জ্বললেন মমতা
কলকাতা: সোমবারের পর বৃহস্পতিবার। নবান্নের সভাঘরে এদিন কড়া ‘দিদিমণি’। বকার মুখে পড়েছেন পুলিশ কর্তা থেকে শুরু করে প্রশাসনিক আধিকারিক, মন্ত্রী-নেতা-বিধায়করা। কথা বলার পর হকার্স ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গেও কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের বক্তব্য শোনেন। নিউ মার্কেটের হকার্স ইউনিয়নের নেতারা যখন বলতে শুরু করেন, তখন তাঁদের মধ্যে হকার নেতা সইফ আলি খান শক্তিমানকে সিপিএম-এর লোক বলে। তখনই গর্জে ওঠেন মমতা।
সইফ আলি খান হঠাৎ বলেন, “নিউ মার্কেট হকার কমিটিতে যত জন রয়েছেন, সবাই ইউনিয়নের লোক। শক্তি দা আমাদের ইউনিয়নের লোক নন, শক্তিদা সিপিএম করে।” তখনই রেগে যান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভাই প্লিজ। আমি সিপিএম-বিজেপি বুঝি না। আমি তোমার কথা শুনব না। সবাইকে নিয়ে চলতে হবে। এই তুমি কথা বলবে না।” তারপরই হকার্স ইউনিয়নের নেতা শক্তিমানের উদ্দেশে বলেন, “শক্তি তুমি বসো, চিন্তা করো না।”
সইফ আলি খান শক্তিমানকে নিয়ে আর একটাও কথা বলতে দেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শক্তিমান বলেন, “আমি ১৯৭২ সাল থেকে নেতা। আমি বহুবার আপনার সঙ্গে আন্দোলনে সামিল হয়েছি। আগে আমরা খুবই গুছিয়ে চলতাম। এখন নতুন নতুন লিডার, রাস্তার ওপর দোকান বসাচ্ছেন। ”
শক্তিমানের বক্তব্য, পুলিশ প্রশাসনের একাংশ বিজেপির হয়ে কাজ করছে । তাই সমস্যা হচ্ছে । সম্প্রতি হকার নিয়ে তৎপরতা এবং জটিলতার জন্য পুলিশের ও প্রশাসনের একাংশের অতি তৎপরতা দায়ী। পুলিশ এবং হকার ইউনিয়নের একাংশের তোলাবাজি ২৬৫ কোটি টাকা বছরে ওঠে । এই নিয়েই সমস্যা ।
মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ধমক খেয়েছেন সইফ আলি খান। কিন্তু তাতেও হুঁশ নেই তাঁর। দেওয়া সাক্ষাৎকারে সইফ বলছেন, ” শক্তিমান কোথায় কী করছে আমার জানার প্রয়োজন নেই । নিউ মার্কেটে ওঁ যেন না ঢোকেন । কারণ ওঁ হকারদের ক্ষতি করছেন।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours