১১ নম্বর গোড়াহাছা রোডে যে বস্তি রয়েছে, সেখান থেকেই মানুষজন এসে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিমের বাড়ির সামনে। মাজেরহাটের কাছে ওই জমিটি পোর্টে এলাকা। সেখানেই বছরের পর বছর ধরে থেকে আসছেন এই বস্তিবাসীরা। সুরাহার আশায় এদিন সন্ধেয় মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বাড়ি সামনে ভিড় জমিয়েছেন তাঁরা।
দিদি আমাদের বস্তি বাঁচান', মেয়রের বাড়ির সামনে ছলছল চোখে কাতর আর্তি
ফিরহাদ হাকিমের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ
কলকাতা: ছলছলে চোখে ভিড় মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বাড়ির সামনে। প্রচুর পুরুষ-মহিলা ভিড় করেছেন। চোখ ছলছলে। হাতে লেখা পোস্টার, ‘দিদি আমাদের বস্তি বাঁচান।’ জানা যাচ্ছে ১১ নম্বর গোড়াহাছা রোডে যে বস্তি রয়েছে, সেখান থেকেই মানুষজন এসে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিমের বাড়ির সামনে। মাজেরহাটের কাছে ওই জমিটি পোর্টে এলাকা। সেখানেই বছরের পর বছর ধরে থেকে আসছেন এই বস্তিবাসীরা। সুরাহার আশায় এদিন সন্ধেয় মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বাড়ি সামনে ভিড় জমিয়েছেন তাঁরা। ক্যামেরার সামনে কাঁদতে কাঁদতে এক মহিলা বললেন, ‘আমাদের থাকার জায়গা নেই। বাচ্চা নিয়ে থাকি। আমরা কোথায় যাব এখন এই বর্ষার সময়? আমাদের মাথার উপর ছাদটুকু বাঁচান।’
অসহায় মুখে বিক্ষোভকারীরা জানাচ্ছেন, তাঁদের বস্তি ভাঙার নোটিস দেওয়া হয়েছে। সোমবার থেকে ভাঙা হবে বলে নোটিস দেওয়া হয়েছে বলে দাবি বস্তিবাসীদের। তাঁরা জানাচ্ছেন, সেখানে অন্তত পাঁচ হাজার পরিবার রয়েছে। অপর এক মহিলা জানাচ্ছেন, তাঁরা বিগত প্রায় ৭০ বছর ধরে সেখানে বাস করছেন। কিন্তু গতকাল আচমকা পোর্টের তরফে কিছু অফিসার এসে তাঁদের দু’দিন সময় দিয়েছেন ঘর ফাঁকা করে দেওয়ার জন্য।
এমন অবস্থায় তাই এবার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বাড়ির সামনে ছুটে এসেছেন বস্তিবাসীরা। তাঁরা চাইছেন কলকাতার মহানাগরিক যাতে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে যাতে তিনি বিষয়টি পৌঁছে দেন।
প্রসঙ্গত, শহরের বস্তিবাসীদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে মনে যে আলাদা জায়গা রয়েছে, সে কথা কারও অজানা নয়। এমনকী ‘বস্তি’ শব্দটি ব্যবহার নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী তীব্র আপত্তি জানিয়েছিলেন অতীতে। বলেছিলেন, ‘এটাকে বস্তি বলবে না। এটা আমার মাটির কুটির, আমার ভালবাসার জায়গা, মায়ের আঁচল। বস্তি বলে কিছু হয় না।’ শহরের বুক থেকে ‘বস্তি’ শব্দটি তুলে দিয়ে ‘উত্তরণ’ শব্দ ব্যবহারের কথাও বলেছিলেন তিনি।
এদিকে শনিবার সন্ধেয় এই ঘটনার পরই বাড়ি থেকে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বস্তিবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। বস্তিবাসী মানুষজনের অভিযোগের কথা লিখে প্রত্যেক বস্তিবাসীকে দিয়ে সই করিয়ে তারাতলা থানায় জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours