পঞ্চায়েত ভোটের পর লোকসভা ভোট পর্বেও রাজভবনের পিস রুম নিয়ে চর্চা হয়েছে। রাজ্যপাল বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপচার্যও নিয়োগ করছেন। এই সামগ্রিক বিষয় নিয়ে টিভি নাইন বাংলার তরফে প্রশ্ন করা হয়েছিল শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে। সেই প্রশ্নে ব্রাত্যর সটান জবাব, "উপাচার্য নিয়োগ করছেন রাজ্যের পাঠানো তালিকা অনুযায়ী। তাও সুপ্রিম কোর্টে ভাল দাবড়ানি খাওয়ার পর।"
আর ৭-১৫ দিন পর রাজ্যপালকে চলে যেতে হবে', বোসকে কড়া আক্রমণ ব্রাত্যর
সি ভি আনন্দ বোস ও ব্রাত্য বসু
কলকাতা: লোকসভা ভোটপর্ব মিটতেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে ফের সুর চড়ালেন বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। রণংদেহি মেজাজে ব্রাত্যর দাবি, ৭-১৫ দিনের মধ্যে রাজ্যপালকে বাংলা থেকে চলে যেতে হবে। পঞ্চায়েত ভোটের পর লোকসভা ভোট পর্বেও রাজভবনের পিস রুম নিয়ে চর্চা হয়েছে। রাজ্যপাল বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপচার্যও নিয়োগ করছেন। এই সামগ্রিক বিষয় নিয়ে টিভি নাইন বাংলার তরফে প্রশ্ন করা হয়েছিল শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে। সেই প্রশ্নে ব্রাত্যর সটান জবাব, “উপাচার্য নিয়োগ করছেন রাজ্যের পাঠানো তালিকা অনুযায়ী। তাও সুপ্রিম কোর্টে ভাল দাবড়ানি খাওয়ার পর।”
এরপরই শিক্ষামন্ত্রীর সংযোজন, “রাজ্যপালকে নিয়ে আমি ভাবছি না। আর দিন সাত-দশেক, বা ১৫ দিন… তারপর রাজ্যপালকে যেতে হবে। আমি তাঁকে বার বার বলেছিলাম, আপনার মতি ফিরুক। সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করুন। মুখ্যমন্ত্রীর কথা মেনে নিন। তিনি তিন বারের বিপুল জনাদেশ পাওয়া মুখ্যমন্ত্রী। এখানে এসে জলে নেমে কুমিরের সঙ্গে লড়াই করবেন না। কিন্তু তিনি শুনলেন না। সেটা তাঁর ব্যাপার। কিন্তু তাঁকে যেতে হবে… আজ হোক বা কাল। কেরলে ফিরে যেতে হবে।”
উল্লেখ্য, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে রাজ্য সরকারের ঠোকাঠুকি লেগেই রয়েছে। রাজ্যপাল বোস যখন দায়িত্বে এসেছিলেন বাংলায়, তখন এই রাজ্য সরকারের তরফেই রাজ্যপালের ‘বাংলায় হাতেখড়ির’ ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বর্ণাঢ্য আয়োজন হয়েছিল রাজভবনে। কিন্তু সে দৃশ্য এখন অতীত। এখন রাজ্যপাল ও রাজ্য সরকারের ঠোকাঠুকি কার্যত নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে গিয়েছে এবং প্রতিদিনই নতুন মাত্রা যোগ হচ্ছে রাজ্য-রাজভবন সংঘাতে। এবার রাজ্যপাল বোসকে নিশানা করে শিক্ষামন্ত্রী বার্ত্য বসুর এই আক্রমণ তারই নবতম সংযোজন।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours