একাধিকবার দেবকে খোঁচা দিয়ে কথা বলতে দেখা গিয়েছে হিরণকে। যদিও দেবকে কখনই এই বিষয় কথা বলতে দেখা যায়নিয তিনি শুনেছেন সবই, জানিয়েছেন প্রতিক্রিয়াও। হেসে বলেছেন, ঠিক আছে। কে জিতছে, কে হারছে, ঘাটাল কার দখলে, এই সব প্রশ্নের অবসান ঘটে গিয়েছে ৪ জুন সন্ধ্যে হতেই।

ভোটে জিততেই রুক্মিনীর উল্টোসুর দেবের গলায়? 

লড়াই ছিল টক্কর। দীপক অধিকারী ও হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের ভোট ফলাফল নিয়ে ছিল টানটান উত্তেজনা। একই ইন্ডাস্ট্রির সদস্য হলেও তাঁরা ঘাটালে ছিলেন একে অন্যের বিপরীতে। প্রচার সূত্রে তাই দল, দলীয় কাজ, পরিস্থিতি, রাজনৈতিক, সামাজিক সমস্ত স্তর নিয়ে যুক্তিতর্কের লড়াই যে চলবে, তা বলাই বাহুল্য। যার ফলে একাধিকবার দেবকে খোঁচা দিয়ে কথা বলতে দেখা গিয়েছে হিরণকে। যদিও দেবকে কখনই এই বিষয় কথা বলতে দেখা যায়নিয তিনি শুনেছেন সবই, জানিয়েছেন প্রতিক্রিয়াও। হেসে বলেছেন, ঠিক আছে। কে জিতছে, কে হারছে, ঘাটাল কার দখলে, এই সব প্রশ্নের অবসান ঘটে গিয়েছে ৪ জুন সন্ধ্যে হতেই। প্রায় ২ লক্ষের কাছাকাছি ভোটে জয় যুক্ত হয়েছেন তিনি। ঠিক তখনই হরিণকে তাড়া করা এক ইঙ্গিতবহ ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন দেবের বান্ধবী রুক্মিনী মৈত্র। এক বাঘ হরিণকে শিকার করার উদ্দেশে ধাওয়া করেছে।


তবে এই পন্থায় বিশ্বাসী নন দেব, তেমনটাই দাবি করতে দেখা গিয়েছে দেবকে একাধিকবার। ফলে সন্ধে গড়াতেই দেব করলেন ঠিক এই ছবির বিপরীত ধর্মী এক পোস্ট। কথায় বলে বাঘে-হরিণে এক ঘাটে জল খায় না। তবে এক ঘাটালে দেব-হিরণ প্রীতি সম্ভব। তাই জয় যুক্ত হতেই বন্ধুত্বের হাত বাড়ালেন হিরণ। সোশ্যাল মিডিয়ায় হরিণকে জড়িয়ে ধরা এক বাঘের ছবি দিয়ে তিনি লিখলেন, ঠিক আছে, ভালবাসা ঘৃণার থেকে অনেক বড়।




এদিন ভোটে জিতেই নিজের মতামত সামনে আনেন,  তিনি বললেন, ”কিছু বলার নেই। আমি শব্দহীন, বাক্যহীন। এইটুকুই বলব, যাঁরা আমাদের দলকে ভোট দিয়েছেন, বিশ্বাস রেখেছেন, তাঁদের ধন্যবাদ। এবং যাঁরা ভোট দেননি, তাঁদের আশীর্বাদ-প্রার্থণার মধ্যেও কোথাও গিয়ে আমরা ছিলাম। এবং আমাদের ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের প্রত্যেকটা নেটা, প্রত্যেকটা কর্মীরা শেষ তিনমাসে বাড়ি বাড়ি গিয়ে যেভাবে প্রচার করেছেন, যেভাবে মানুষের মন জয় করেছেন, এই জয় তারই জন্যে। সত্যি কথা বলতে দেবের অবদান খুব কম, এই জিত দলের, নেতাদের, যাঁরা পরিশ্রম করেছেন তাঁদের।”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours