কুণাল বলেন, "তাপসদার সঙ্গে আমার সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। সুদীপদার সঙ্গেও সম্পর্ক খুব ভাল। সুদীপদা তো মাঝে দল ছেড়ে চলে গিয়ে নির্দলে দাঁড়ান তৃণমূলকে হারাতে। ২০০৪ সালের ঘটনা। নিজেই হেরে গিয়েছিলেন। এরপর ২০০৯ সালে সুদীপদার ফিরে আসা আমার হাত ধরে। আমি মমতাদিকে বলে দিল্লিতে সুদীপদাকে নিয়ে গিয়ে ওনার ফেরার পথ প্রশস্ত করি।"
সুদীপ-তাপসের 'স্কোরবোর্ড' তৈরি করলেন কুণাল, একেবারে ধুয়ে দিলেন...
কুণাল ঘোষ।
দলের আর পাঁচজন সাধারণ কর্মীর মতোই এই মুহূর্তে তৃণমূলে কুণাল ঘোষের স্থান। আগে মুখপাত্রের পদ থেকে সরানো হয়েছিল তাঁকে। বুধবার সরানো হয় রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকেও। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি এই মুহূর্তে তোলপাড়। এরইমধ্যে তাপস রায় ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে কাজের নিরিখে এগিয়ে দিলেন প্রাক্তন সতীর্থকেই। টিভিনাইন বাংলাকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে কুণাল বলেন, “মাঠে নেমে কর্মীদের জন্য কাজ করা, পাশে থাকা নেতা হলেন তাপস রায়। আর সুদীপদা পুরনো দিনের অভিজ্ঞ মানুষ। উনি জানেন কোথায় কাকে টুপি খাইয়ে ঠিক ভোটের সময় কী বের করে নিতে হয়।”
কুণাল বলেন, “তাপসদার সঙ্গে আমার সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। সুদীপদার সঙ্গেও সম্পর্ক খুব ভাল। সুদীপদা তো মাঝে দল ছেড়ে চলে গিয়ে নির্দলে দাঁড়ান তৃণমূলকে হারাতে। ২০০৪ সালের ঘটনা। নিজেই হেরে গিয়েছিলেন। এরপর ২০০৯ সালে সুদীপদার ফিরে আসা আমার হাত ধরে। আমি মমতাদিকে বলে দিল্লিতে সুদীপদাকে নিয়ে গিয়ে ওনার ফেরার পথ প্রশস্ত করি।”
কুণালের দাবি, সুদীপ লোকসভার সাংসদ হয়েও এলাকার লোকের পাশে থাকেননি। সে কারণে রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ থাকাকালীন তাঁর কাছে এসে লোকেরা সই করাতেন। কুণালের খোঁচা, “উনি মমতাদির ছায়ায় শুধু দাঁড়াবেন, জিতবেন, দিল্লিতে গিয়ে বসে থাকবেন। এটা তো কাজের কথা নয়।”
কুণালের সংযোজন, “কয়েকদিনের জন্য উত্তর কলকাতার সভাপতি হতেই তাপসদা হইহই ফেলে দিয়েছিলেন। সংগঠনটা চাঙ্গা হয়ে গিয়েছিল। তাপস রায় একটা জেলা অফিস করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। নজরুল মঞ্চের মিটিং থেকে মমতাদি আচমকা বললেন উত্তর কলকাতায় আবার সুদীপদাকে প্রেসিডেন্ট করে দিলাম। রোজ উনি চাইছেন। দলটা মমতাদির। তবে তাপসদাকে দেওয়ারই কী দরকার ছিল আর সরিয়ে অপমান করারই কী ছিল? সব জায়গায় কী বার্তা গেল, দিনের শেষে রাতে যে প্যান প্যান করতে পারবে, তারই প্রাপ্তিযোগ আছে। সাধারণ কর্মীদের ভ্যালু নেই।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours