অক্টোবরে মা'কে হারান কৌশানী। তখন পুজোর মরসুম। প্রতি বাঙালি যখন উৎসবের মেজাজে ঠিক সেই সময়েই তাঁর জীবনে নেমে আসে নিকষ কালো অন্ধকার। কিডনির সমস্যা হয়েছিল নায়িকার মা সঙ্গীতা মুখোপাধ্যায়ের। কিডনি প্রতিস্থাপনও করা হয়।
মাতৃদিবসে বুক ফাটছে তাঁর, কীভাবে মা'কে হারান কৌশানী?
কীভাবে মা'কে হারান কৌশানী?
সামাজিক মাধ্যম খুললেই আজ মায়েদের সঙ্গে হাসিমুখে ছবি পোস্ট করে চলেছেন সন্তানেরা। জীবনে মায়ের গুরুত্ব ঠিক কতটা, তাই মন উজাড় করে লিখছেন তাঁরা। দৃঢ় সম্পর্ক উদযাপনের এই দিনটিই যে কৌশানীর জীবনে সবচেয়ে কষ্টের দিন। যাকে নিয়ে এত উদযাপন, সেই মানুষটিই আর নেই তাঁর কাছে। দেখতে দেখতে প্রায় তিন বছর হতে চলল মা’কে হারিয়েছেন কৌশানী। পাশে আছেন বাবা, আছেন বয়ফ্রেন্ড বনি, তবু মা যে মা-ই হয়! কীভাবে মারা যান কৌশানীর মা?
২০২১-এ অক্টোবরে মা’কে হারান কৌশানী। তখন পুজোর মরসুম। প্রতি বাঙালি যখন উৎসবের মেজাজে ঠিক সেই সময়েই তাঁর জীবনে নেমে আসে নিকষ কালো অন্ধকার। কিডনির সমস্যা হয়েছিল নায়িকার মা সঙ্গীতা মুখোপাধ্যায়ের। কিডনি প্রতিস্থাপনও করা হয়। কিন্তু কিছু দিনের মধ্যেই কিডনিতে দেখা দেয় সংক্রমণ। পরবর্তীতে ফুসফুসেও ছড়িয়ে পড়ে সংক্রমণ। ব্যস, শেষ রক্ষা হয়নি। মাত্র ৫৩ বছর বয়সেই চলে যান সঙ্গীতা দেবী। আজ অর্থাৎ রবিবার মাতৃদিবসে মায়ের জন্যই মন উজাড় করা এক চিঠি লিখেছেন কৌশানী।
তিনি লেখেন, “এই দিনটি উদযাপন করার জন্য আজ এই মানুষটা আমার সঙ্গে নেই। আর জীবনের সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ দিনটা আমার কাছে সবচেয়ে কষ্টকর হয়ে উঠেছে। আমি জানি তুমি আছ, কিন্তু চাইলেও তো তোমাকে আর ছুঁতে পারব না মা। তোমার সঙ্গে খুব একটা বেশি সময় কাটাতে পারিনি মা। কত তাড়াতাড়ি চলে গিয়েছ তুমি। এটুকুই জানি, আমাদের জার্নি এতটাই ছিল।” কৌশানী নিজেও মা। না সন্তান গর্ভে ধারণ করেননি। তবে তাঁর পোষ্যকে পালন করছেন সন্তান স্নেহে। সেই একরত্তির ছবি শেয়ার করে তিনি লেখেন, “সন্তানের জন্ম দিলেই যে মা হওয়া যে এমনটা নয়। ও আমার সন্তান, যখন মা’কে হারাই তখন সেই জায়গা থেকে ওই আমাকে বের করে নিয়ে আসে।” সব ঠিক থাকলে আগামী বছরেই বিয়ে করছেন কৌশানী ও বনি। শোনা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই ঠিক করা হয়ে গিয়েছে ফটোগ্রাফার।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours