হারিয়ানার প্রকাশ কৌরকে বিয়ে করেছিলেন বলিউডের সুপারস্টার ধর্মেন্দ্র। জন্ম হয় তাঁদের দুই সন্তান--সানি এবং ববির। সুখের ছিল সেই সংসার। ধর্মেন্দ্র ধীরে-ধীরে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন সিনেমাজগতে। দেখা হয় বলিউডের ড্রিম গার্ল হেমা মালিনীর সঙ্গে। নায়ক-নায়িকা হয়ে তাঁর অভিনয়ও করেন 'শোলে'র মতো ছবিতে। বিবাহিত, দুই সন্তানের পিতা ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে শুরু হয় হেমার সম্পর্ক। বিয়েও করেন তাঁরা। সেই বিয়েটা মানতে পারেননি সানি। রাগের মাথাতেই...
'এই যে, তুমি আমার বাবার জীবনের দ্বিতীয় নারী বুঝলে', বলে হেমাকে ছুরি দিয়ে মারতে চেয়েছিলেন সানি
হেমা মালিনী।
পরিবার অন্তঃপ্রাণ অভিনেতা সানি দেওল। বাবা বলিউড সুপারস্টার ধর্মেন্দ্র। মা প্রকাশ কৌর। সানির অপর ভাই ববি দেওলও অভিনেতা। এই তথ্যগুলো কারওরই অজানা নয়। যা অজানা, তা হল দেওল পরিবারের অন্ধকার কিছু অধ্যায়। সম্বন্ধ করে বিয়ে হয়েছিল ধর্মেন্দ্রর। হরিয়ানার প্রকাশ কৌরকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। জন্ম হয় তাঁদের দুই সন্তান–সানি এবং ববির। সুখের ছিল সেই সংসার। ধর্মেন্দ্র ধীরে-ধীরে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন সিনেমাজগতে। দেখা হয় বলিউডের ড্রিম গার্ল হেমা মালিনীর সঙ্গে। নায়ক-নায়িকা হয়ে তাঁর অভিনয়ও করেন ‘শোলে’র মতো ছবিতে। বিবাহিত, দুই সন্তানের পিতা ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে শুরু হয় হেমার সম্পর্ক।
কেবল সম্পর্ক এবং মেলামেশা নয়, ধর্মেন্দ্র বিয়ে করতে চেয়েছিলেন হেমাকে। এদিকে বিবাহিত, দুই সন্তানের পিতা ধর্মেন্দ্রকে কিছুতেই আপন করে নিতে পারছিলেন হেমার বাবা-মা। অভিনেতা জিতেন্দ্রর সঙ্গে বিয়ে ঠিক করেছিলেন তাঁরা। বিবাহ আসরে গিয়ে জিতেন্দ্রর সঙ্গে হেমার বিয়ে ভাঙেন ধর্মেন্দ্র। তাঁর মধ্য়ে লুকিয়ে থাকা প্রেমিকের উন্মাদনা বয়ে নিয়ে যায় হেমাকে। তাঁকেই বিয়ে করেন হেমা। কিন্তু প্রথম স্ত্রী থাকতে আরও একটা বিয়ে করা সম্ভব নয় হিন্দু ধর্মে। হেমাকে বিয়ে করতে তাই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন ধর্মেন্দ্র।
এদিকে বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন দেখে নাকি রাগে-অভিমান ফুসতে থাকেন সানি দেওল। হেমাকে নাকি এক্কেবারেই মেনে নিতে পারতেন না তিনি। তার উপর মা প্রকাশ কৌরের চোখের জল দেখে আরও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছিলেন সানি। একদিন যা হওয়ার তাই হল। অসম্ভব ঝগড়া শুরু হয় সানি-হেমার মধ্য়ে। রাগের মাথায় হেমাকে নাকি ছুরি দিয়ে মেরেও ফেলতে চেয়েছিলেন সানি। বিবাদ চলাকালীন হেমাকে বাবার জীবনের ‘দ্বিতীয় নারী’ বলেও নাকি গালিগালাজ করেছিলেন অভিনেতা। যদিও অন্দরমহলের এই কুৎসিত বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টাই করেছিলেন ধর্মেন্দ্রর প্রথম স্ত্রী। ছেলেকে বাঁচাতে প্রকাশ বলেছিলেন, “যা রটেছে তার এক বর্ণও সত্যি নয়। আমার ছেলে হেমাকে এক্কেবারেই আঘাত করার চেষ্টা করেনি।” ধর্মেন্দ্র হেমাকে বিয়ে করেছিলেন ঠিকই, কিন্তু প্রকাশের সংসারে তাঁকে রাখেননি। সেখানে প্রকাশই ছিলেন শেষ কথা। হেমা ছিলেন দূরে। ধর্মেন্দ্র প্রকাশের সঙ্গেই থেকেছেন একই বাড়ির তলায়।
আর সেই ঝামেলা? মাস খানেক আগে মুক্তি পায় সানি দেওল অভিনীত ‘গদর ২’ ছবিটি। তা দেখে আপ্লুত হয়েছেন হেমাও। এক সাক্ষাৎকারে সৎ ছেলে সম্পর্কে ভূয়সী প্রশংসাও করেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, “সানির সঙ্গে আমার এবং আমার দুই কন্যার সম্পর্ক খুবই মধুর। ওকে আমি ভীষণ স্নেহ করি। ও আমাকে সম্মান করে। প্রয়োজন-অপ্রয়োজনে সানি আমাদের পাশে এসে দাঁড়ায়। এই তো কিছুদিন আগেই আমার চোট লেগেছিল। সানি খবর পেয়েই ছুট্টে এসেছিল। আমার জন্য ডাক্তারও ওই ডেকে এনেছিল।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours