২১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের আহ্বায়ক তাপস সাহা বলেন, "ভোট হয়ে গিয়েছে এখানে। সকলেই নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন, ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। কিন্তু এখনও এ ধরনের নোংরামি হচ্ছে। আমরা তো সব জেনে গিয়েছি, কী করে ওরা।
সন্দেশখালির কয়াল তো বলেছেন হাজার হাজার টাকা মদের খরচ দেয় বুথে বুথে। কিছু এখানকারও আছে। বিজেপির টাকা নিয়ে এসব করে বেড়াচ্ছে। আমরা উপযুক্ত তদন্ত করে দুষ্কৃতীদের শাস্তি হোক সেটাই চাই।"
গোবর লেপে দিয়েছে তৃণমূলের পোস্টারে, হইচই দুর্গাপুরে
এভাবেই নষ্ট করা হয়েছে পোস্টার।
দুর্গাপুর: ভোটের দিন বারবার শিরোনামে উঠে এসেছে বর্ধমান-দুর্গাপুর। ভোট মিটলেও অশান্তি চলছেই। আসছে নানারকমের অভিযোগও। এবার দুর্গাপুরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ সারদাপল্লিতে তৃণমূলের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠল। তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদের সমর্থনে এলাকায় একাধিক পোস্টার লাগানো ছিল। সেগুলি ছিঁড়ে ফেলা হয় বলে অভিযোগ। পোস্টারে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ছিল। সেখানে গোবর দিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় বিজেপির দিকেই আঙুল তৃণমূলের। পাল্টা বিজেপির দাবি, এসব তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের ফল।
২১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের আহ্বায়ক তাপস সাহা বলেন, “ভোট হয়ে গিয়েছে এখানে। সকলেই নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন, ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। কিন্তু এখনও এ ধরনের নোংরামি হচ্ছে। আমরা তো সব জেনে গিয়েছি, কী করে ওরা। সন্দেশখালির কয়াল তো বলেছেন হাজার হাজার টাকা মদের খরচ দেয় বুথে বুথে। কিছু এখানকারও আছে। বিজেপির টাকা নিয়ে এসব করে বেড়াচ্ছে। আমরা উপযুক্ত তদন্ত করে দুষ্কৃতীদের শাস্তি হোক সেটাই চাই।”
তবে বিজেপি কোনওভাবেই এই অভিযোগ মানতে নারাজ। বরং বর্ধমান দুর্গাপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সহ-সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপি এই ধরনের সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী নয়। আসলে আমাদের একের পর এক ওয়ার্ডে লিড হবে বুঝে ওরা ভয় পাচ্ছে। আর তৃণমূলের ওখানে দু’টো গোষ্ঠী যারা নিজেদের মধ্যে মারামারি করে, নিজেরাই নেত্রীর ছবিতে গোবর দেয়, পোস্টার ছেঁড়ে। এসব করে ওরা বিজেপির ঘাড়ে দোষ দিয়ে বিজেপিকে বদনামের চেষ্টা করে। তবে বিজেপির প্রার্থী দিলীপ ঘোষ দুর্গাপুরের প্রতিটা বুথেই লিড পাবেন। হারের ভয়ে গোষ্ঠীকোন্দল করে এসব করছে।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours