১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপের সেরা ফুটবলার হিসেবে সোনার বল পেয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু তা হারিয়েও যায় দ্রুত। কী ভাবে হারাল, তা নিয়ে নানা জল্পনা, গুঞ্জন ছিল এতদিন। কেউ কেউ বলেন, জুয়ো খেলতে গিয়ে ওই সোনার বল খুইয়েছিলেন মারাদোনা। কেউ কেউ আবার বলেন, ওই সোনার বল বিক্রি করে ধার শোধ করেছিলেন আর্জেন্টিনার ফুটবলার। গুঞ্জন এতেই শেষ হয়নি।
খোঁজ মিলল 'ঈশ্বর'এর হারিয়ে যাওয়া সোনার বলের, প্যারিসে নিলাম
খোঁজ মিলল 'ঈশ্বর'এর হারিয়ে যাওয়া সোনার বলের, প্যারিসে নিলাম
ঈশ্বরের হাত’ আবার ঘুরে-ফিরে আসছে। ১৯৮৬ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হাত দিয়ে গোল করেছিলেন দিয়েগো মারাদোনা। যে গোলকে হ্যান্ড অফ গড বলা হয়। ওই বিশ্বকাপে মারাদোনা ছিলেন সব কিছুর উর্ধ্বে। ঈশ্বর যেন খোদ নেমে এসেছিলেন তাঁর জন্য। আর্জেন্টিনাকে (Argentina) বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন ফুটবলের রাজপুত্র। ২০২০ সালে মারা গিয়েছেন সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার। মেক্সিকো বিশ্বকাপ গোল্ডেন বল পেয়েছিলেন তিনি। চার বছর পর খোঁজ মিলল মারাদোনার (Diego Maradona) হারিয়ে যাওয়ার সোনার বলের। খুব শিগগিরই নিলামে উঠবে ওই সোনার বল।
দিয়েগো মারাদোনার বর্ণময় জীবন। কখন যে কী করে বেড়িয়েছেন, কেউ জানে না। একাধিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া, বেহিসেবি জীবনযাপন, মাদকাসক্তি, পাবে মারামারি থেকে আইনী জটিলতায় পড়া, কিছুই বাকি ছিল না। ১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপের সেরা ফুটবলার হিসেবে সোনার বল পেয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু তা হারিয়েও যায় দ্রুত। কী ভাবে হারাল, তা নিয়ে নানা জল্পনা, গুঞ্জন ছিল এতদিন। কেউ কেউ বলেন, জুয়ো খেলতে গিয়ে ওই সোনার বল খুইয়েছিলেন মারাদোনা। কেউ কেউ আবার বলেন, ওই সোনার বল বিক্রি করে ধার শোধ করেছিলেন আর্জেন্টিনার ফুটবলার। গুঞ্জন এতেই শেষ হয়নি। কেউ কেউ আবার এও বলেছেন, নাপেলসের ব্যাঙ্কের লকারে রাখা ছিল ওই গোল্ডেন বল। কিন্তু তা ১৯৮৯ সালে ব্যাঙ্কে ডাকাতির সময় খোয়া যায়। তখন মারাদোনা খেলতেন ইতালির ক্লাব নাপোলিতে। আবার এও শোনা গিয়েছে, ওই ট্রফি নাকি সোনায় টুকরো করে ফেলা হয়েছে।
সব গুঞ্জনের অবসান ঘটল। মারাদোনার গোল্ডেন বল খুঁজে পাওয়া গিয়েছে অক্ষত অবস্থাতেই। ২০১৬ সালে ওই গোল্ডেন বল এক ব্যক্তির সংগ্রহে রয়েছে, এমন জানা যায়। নামী নিলাম সংস্থা অগাটেস ওই সোনার বল খতিয়ে দেখেছে। ওই বল আসল। জুন মাসে ওই বল নিলামে তোলা হচ্ছে। যার প্রাথমিক দাম রাখা হয়েছে দেড় লক্ষ ইউরো। ভারতীয় টাকায় যা ১ কোটি ৩৫ লক্ষের মতো। তবে নিলাম সংস্থার আশা, মারাদোনার স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে ওই বলের সঙ্গে। সব রেকর্ড ভেঙে চুরমার করে দেবে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours