জানা গিয়েছে, বাংলাদেশি সাংসদকে খুন করার পর সেই ফ্ল্যাটেই রাতে মাংস রান্না করে খাওয়া হয়। তবে তা সাংসদের মাংস নয়। দেহাংশের পচন ও দুর্গন্ধ ঠেকাতে ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করা হয়।
চামড়া ছাড়িয়ে কিমা বানানো হয়েছিল সাংসদের, রাতেই ফ্ল্যাটে মোচ্ছব! উঠে আসছে হাড়হিম করা তথ্য
খুন হওয়া বাংলাদেশি সাংসদ।
কলকাতা: কলকাতায় খুন বাংলাদেশের আওয়ামী লিগের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম। খুনের পর টুকরো টুকরো করা হয় তাঁর দেহ। এখনও পর্যন্ত মেলেনি সেই দেহাংশ। এর মধ্যেই উঠে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, খুনের পর দেহাংশের পচন ও দুর্গন্ধ ঠেকাতে ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করা হয়। দেহের টুকরো টুকরো করে কিমা করা হয় দেহ। সেই দেহাংশ ফ্ল্যাটের ভিতরেই ফ্রিজের মধ্যে রাখা হয়।
সূত্রের খবর, গত ১৩ মে নিউটাউনের ফ্ল্যাটে খুন হন আনোয়ারুল আজিম। ফ্ল্যাটে ঢোকার পরই খুন করা হয় সাংসদকে। খুনের পর টুকরো টুকরো করা হয় দেহ। হাড়-মাংস আলাদা করা হয়। সেই দেহাংশ বিভিন্ন ট্রলিতে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। যাতে সন্দেহ না হয়, তার জন্য মাংসে রান্নার মশলাও মেশানো হয়।
জানা গিয়েছে, বাংলাদেশি সাংসদকে খুন করার পর সেই ফ্ল্যাটেই রাতে মাংস রান্না করে খাওয়া হয়। তবে তা সাংসদের মাংস নয়। পুলিশের তদন্তে জানা গিয়েছে, দুই ধাপে সরানো হয় দেহাংশ। দেহ লোপাট করতে একটি সাদা রঙের গাড়ি ব্যবহার করা হয়েছিল। ৩০ এপ্রিল অনলাইন রেন্টালের মাধ্যমে ওই গাড়িটি ভাড়া করা হয়েছিল।
সাংসদ খুনে এখনও পলাতক সিয়াম হোসেন ও মুস্তাফিজুর। বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় আসার পর একাধিক ভুয়ো নথির সিম কেনা হয়। সিআইডি-র হাতে ধৃত জিহাদ মুম্বাই থেকে আসার পর চিনার পার্ক এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিল। শাহীন সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছিল।
সাংসদ খুনে শাহিন আড়াই কোটি টাকা অগ্রীম দিয়েছিল বলে জানতে পেরেছে তদন্তকারীরা। এই ঘটনায় ধৃত জিহাদকে জেরা করতে কলকাতায় আসার সম্ভাবনা বাংলাদেশের পুলিশের।
পুলিশি তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, জিহাদ তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করছে। দেহ কোথায় ফেলেছে সে ব্যাপারে বৃহস্পতিবার দিনভর একাধিক জায়গার কথা বলেছে। এখনও কোনও জায়গাতেই দেহের টুকরো মেলেনি। দেহাংশ যাতে না মেলে সেজন্যই তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে বলে মনে করছে।
তাঁকে খুন করার জন্য ৫ কোটি টাকার সুপারি দেওয়া হয়েছিল। খুনিদের আড়াই কোটি টাকা অগ্রিম-ও দেওয়া হয়েছিল। খুনের মাস্টার প্ল্যানে জড়িয়ে নারী চরিত্র। সন্দেহ তালিকায় রয়েছে আখতারুজ্জামানের বান্ধবী।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours