বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, 'বিষয়টি খুব লঘু হয়ে যাচ্ছে। একবার বলছেন ধর্তব্যযোগ্য অপরাধে এফআইআর করা হয়। আবার বলছেন ভুল তথ্য হলেও সেটা গ্রহণ করবেন?' এজি বলেন, 'অভিযোগ নেওয়ার সময় এটা দেখা সম্ভব হয় না।' প্রার্থীকে কোনওভাবে বিরক্ত করার পক্ষে নয় আদালত। যদিও এজি আবেদন করেছিলেন, তদন্ত চলুক।
অভিজিৎ গাঙ্গুলিকে নিয়ে বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
হাইকোর্টে স্বস্তি অভিজিৎ গাঙ্গুলির।
কলকাতা: হাইকোর্টে বড় স্বস্তি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না বলে জানিয়ে দিল আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও তদন্তও করতে পারবে না পুলিশ। বৃহস্পতিবার এমনই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের একক বেঞ্চ। এই নির্দেশের সময় বিচারপতির মুখে শোনা যায় অরবিন্দ কেজরীবালের অন্তর্বর্তী জামিনের প্রসঙ্গ। তা উল্লেখ করেই তিনি বলেন, এখানে মামলাকারী নিজেও যেহেতু প্রার্থী, তাই আদালত এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। আগামী ১২ জুন পরের শুনানি হবে।
সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি একটি প্রতিবাদ অবস্থানের ডাক দিয়েছিল। সেদিন আবার তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মনোনয়ন পেশের দিন ছিল। অভিযোগ, দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে বিজেপি একটি মিছিল করে। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও ছিলেন সেখানে। অভিযোগ, ওই মিছিল থেকে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির অবস্থানে হামলা করা হয়। অভিযোগ, বিজেপি প্রার্থীর উস্কানিতেই এই হামলা হয়। এরপরই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নামে তমলুক থানায় দায়ের হয় এফআইআর।
এদিন আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার আদালতে সওয়াল করেন, বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে আনা যাবতীয় অভিযোগ বাতিল করা হোক। রাজ্যের তরফে এজি কিশোর দত্ত পাল্টা সওয়াল করেন, ‘৪ মের ঘটনাপ্রবাহ দেখে এই অভিযোগ করা হয়েছে। হসপিটাল মোড়ের কাছে পদযাত্রা নিয়ে ঘটনা ঘটেছে সেটা অস্বীকার করা যায় না। পুলিশ দেখে ধর্তব্যযোগ্য অপরাধ কি না। তারপর এফআইআর করা হয়। আদৌ মিছিলের অনুমতি নেওয়া হয়েছে কি না সেটা ওই সময়ে দেখা সম্ভব হয় না। ভুল তথ্য হলেও অভিযোগ নিতে হয়।’
বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘বিষয়টি খুব লঘু হয়ে যাচ্ছে। একবার বলছেন ধর্তব্যযোগ্য অপরাধে এফআইআর করা হয়। আবার বলছেন ভুল তথ্য হলেও সেটা গ্রহণ করবেন?’ এজি বলেন, ‘অভিযোগ নেওয়ার সময় এটা দেখা সম্ভব হয় না।’ প্রার্থীকে কোনওভাবে বিরক্ত করার পক্ষে নয় আদালত। যদিও এজি আবেদন করেছিলেন, তদন্ত চলুক। তবে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, যিনি প্রার্থী তিনি বিজেপির, যিনি অভিযোগ করছেন তিনি তৃণমূলের। রাজনীতি খুঁজছি না। নিয়োগ মামলায় যিনি গ্রেফতার তিনি তো তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী ছিলেন। আদালত একটা সময় পর্যন্ত মামলাকারীকে রক্ষাকবচ দিচ্ছে। এরপরই নির্বাচনের ফল প্রকাশ পর্যন্ত অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে স্বস্তি দেওয়ার কথাই জানায়। ১৪ জুন পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours