পুলিশ আধিকারিক বিকাশ সহায় জানিয়েছেন, তাঁরা হিন্দি ও ইংরেজি ভাষা বোঝেন না, তামিল ভাষায় কথা বলেন। পুলিশের দাবি, চেন্নাই থেকে আহমেদাবাদে পৌঁছনোর পর চার জঙ্গি তাঁদের পাকিস্তানি হ্যান্ডলারের নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। আহমেদাবাদে তাঁদের অস্ত্র পাওয়ার কথা ছিল বলেও জানা গিয়েছে।
হিন্দু নেতারাই ছিল টার্গেট! শুধু পাকিস্তান থেকে ইঙ্গিত মিললেই..., কী বলছে সূত্র
এই চার জঙ্গিকে আটক করা হয়েছে
বড় সাফল্য পেয়েছে গুজরাট এটিএস। সোমবার বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে চার জঙ্গিকে। ১৪ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে তাঁদের। আর তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই বেরিয়ে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সূত্রের খবর দেশে বড় হামলার চালানোর পরিকল্পনা করেছিল এই জঙ্গিরা। বিজেপি ও আরএসএস নেতাদের নিশানা করা হয়েছিল বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। এই কাজ করার জন্য মোটা অঙ্কের টাকাও পেয়েছিলেন এই চারজন। তাঁরা প্রত্যেকেই শ্রীলঙ্কার নাগরিক বলে জানা গিয়েছে।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন ওই চারজন শ্রীলঙ্কা থেকে প্রথমে চেন্নাই পৌঁছন, তারপর সেখান থেকে সোজা আহমেদাবাদ বিমানবন্দর। আর সেখানে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গে চারজনই ধরা পড়ে যান অ্যান্টি-টেররিজম স্কোয়াডের হাতে। জানা গিয়েছে, ওই চারজনের কাছে পাকিস্তানের তৈরি অস্ত্র পাওয়া গিয়েছে। ধৃত এই চারজনের নাম মহম্মদ নুসরত, মহম্মদ নাফরান, মহম্মদ ফারিস ও মহম্মদ রাশদিন।
পুলিশ আধিকারিক বিকাশ সহায় জানিয়েছেন, তাঁরা হিন্দি ও ইংরেজি ভাষা বোঝেন না, তামিল ভাষায় কথা বলেন। পুলিশের দাবি, চেন্নাই থেকে আহমেদাবাদে পৌঁছনোর পর চার জঙ্গি তাঁদের পাকিস্তানি হ্যান্ডলারের নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। আহমেদাবাদে তাঁদের অস্ত্র পাওয়ার কথা ছিল বলেও জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, চারজনকে ইহুদি এলাকাগুলিতে প্রাথমিকভাবে হামলা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এরপরই নিশানায় ছিলেন বিজেপি, আরএসএস ও হিন্দু নেতারা। অভিযুক্তদের একজনের কাছে পাকিস্তানের ভিসাও পাওয়া গিয়েছে। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, কয়েকজন ভারতীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ থাকতে পারে তাঁদের।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসের শুরুতেই, গুজরাট উপকূল থেকে ১৪ জন পাকিস্তানি নাগরিককে গ্রেফতার করেছিল গুজরাট এটিএস এবং নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। তাদের কাছ থেকে ৬০২ কোটি টাকার ৮৬ কেজি নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। আর এবার আরও বড় সাফল্য পেল এটিএস।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours