সোমবার সকাল থেকেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় হাসপাতালে। তিন ঘণ্টা ধরে জেনারেটরও চালানো হয়নি হাসপাতালে। সেই অবস্থাতেই তাঁকে ওটি-তে নিয়ে যাওয়া হয়। অস্ত্রোপচার করা হয় মোবাইলের লাইট জ্বেলে।    

মোবাইলের ফ্ল্যাশ জ্বেলে অস্ত্রোপচার! মৃত্যু গর্ভস্থ শিশুর, বাঁচানো গেল না মা-কেও
মোবাইলের আলোয় অস্ত্রোপচার।


মুম্বই: অপারেশন থিয়েটারে লাইট নেই। মোবাইলের টর্চ জ্বালিয়েই প্রসূতির অস্ত্রোপচার করে সন্তান ভূমিষ্ঠ করার চেষ্টা করল চিকিৎসকরা। কিন্তু আলোর অভাবে সঠিকভাবে অস্ত্রোপচার না হওয়ায়, ভয়ঙ্কর পরিণতি হল। গর্ভস্থ শিশুর তো মৃত্যু হলই, বাঁচানো গেল না প্রসূতিকেও।


হাড়হিম করা এই ঘটনাটি কোনও প্রত্যন্ত গ্রামে নয়, দেশের বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ে ঘটেছে। বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন, যার বার্ষিক বাজেট ৫২ হাজার কোটি টাকা, সেই পুরসভারই একটি হাসপাতালের বেহাল দশা এবং চিকিৎসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় মৃত্যু হল মা-শিশুর।

জানা গিয়েছে, প্রসব যন্ত্রণা ওঠায়, বছর ছাব্বিশের সাহিদুনকে চলতি সপ্তাহের সোমবার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। এদিকে, সোমবার সকাল থেকেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় হাসপাতালে। তিন ঘণ্টা ধরে জেনারেটরও চালানো হয়নি হাসপাতালে। সেই অবস্থাতেই তাঁকে ওটি-তে নিয়ে যাওয়া হয়। অস্ত্রোপচার করা হয় মোবাইলের লাইট জ্বেলে।


কিন্তু ঘণ্টাখানেক বাদে চিকিৎসকরা জানান, প্রসবের সময় শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তপাতের কারণে প্রসূতি যুবতীরও মৃত্য়ু হয়। এই খবর পেতেই হাসপাতালের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা।

যুবতীর শাশুড়ি জানান, তাঁর পুত্রবধূকে যখন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল, তখন সে সম্পূর্ণ সুস্থই ছিল। ২৯ এপ্রিল সকাল ৭টায় তাঁকে ওটি-তে নিয়ে যাওয়া হয়। সারাদিন তাঁকে ওটি-তেই রেখে দেওয়া হয়। রাত ৮টা নাগাদ জানানো হয়, প্রসবের সময় গর্ভস্থ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তবে যুবতীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা তাঁকে দেখতে গেলে দেখেন, যুবতীর সারা শরীর রক্তে ভাসছে। এর কিছুক্ষণ বাদে প্রসূতিরও মৃত্যু হয়।

পরিবারের অভিযোগ, তাদের অনুমতি ছাড়াই যুবতীর পেট কাটতে শুরু করেছিলেন চিকিৎসকরা। শুধু ওই যুবতীই নয়, আরও এক প্রসূতির অস্ত্রোপচার করা হয় মোবাইলের আলো জ্বেলে। প্রমাণ হিসাবে ছবি ও ভিডিয়োও পেশ করেছেন তারা বিএমসি-র কাছে। এরপরই বিএমসির তরফে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours