২০০০ টাকা দিয়ে BJP নেতারা মহিলাদের ইজ্জত দিল্লিতে বিক্রি করেছে’


তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রর প্রচারে গিয়েছেন তিনি। সেখানে পানিঘাটা উমা দাস মেমোরিয়াল স্কুল মাঠে সভা করেন অভিষেক।


২০০০ টাকা দিয়ে BJP নেতারা মহিলাদের ইজ্জত দিল্লিতে বিক্রি করেছে'
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল 'সেনাপতি'


কৃষ্ণনগরে ভোটের প্রচারে গিয়েছেন তৃণমূল ‘সেনাপতি’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রর প্রচারে গিয়েছেন তিনি। সেখানে পানিঘাটা উমা দাস মেমোরিয়াল স্কুল মাঠে সভা করেন অভিষেক।


এক নজরে অভিষেকের বক্তব্য

অভিষেক: ওরা একবার খোঁজ নিয়েছে যাঁরা একশো দিনের কাজের টাকা পাননি সেই পরিবারগুলির চলছে কীভাবে খেয়েছে কি না,
অভিষেক: এই গঙ্গাধর বলছেন যে কোনও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। বিজেপির রাজ্য নেতাদের অঙ্গুলিহেলনে এই কাজ করেছি।

অভিষেক: ভারতের বুকে বাংলার নাম যাঁরা কলঙ্কিত করেছে তাদের উচিত শিক্ষা দেওয়া উচিত? প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যাঁরা মাছ খান তাঁরা হিন্দু বিরোধী। দেশ বিরোধী।
অভিষেক: নরেন্দ্র মোদীর সরকার যদি আবার ক্ষমতায় আসে তাহলে এটাই আপনার জীবেনর শেষ ভোট। আমি বলছি না। ওরা সংকল্প পত্র প্রকাশ করে বলেছে ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশান করব। মানুষ তার মানে পাঁচ বছরে পুরসভায়, পঞ্চায়েতে, বিধানসভায় ভোট দিতে পারবেন না।
অভিষেক: আমি আড়াই মাস ধরে রাস্তায়। মানুষের চোখের মুখের ভাষা বুঝি। এদের বিদায় আসন্ন। বিজেপিকে ভোট দেওয়া মানে প্রধানমন্ত্রীকে ভোট দেওয়া। আর মহুয়া মৈত্রকে জেতানো মানে তৃণমূলকে জেতানো। মোদীকে হারানো। কংগ্রেস, সিপিএম-কে ভোট দেবেন না।
অভিষেক: আজকে যাঁদের কারণে সাংসদের সুরক্ষা যাঁদের কারণে প্রশ্নের মুখে পড়েছিল তাঁদের সাংসদ পদ থেকে খারিজ করা হয়েছে? কোনও ব্যবস্থা হয়েছে?
অভিষেক: মোদীজি এসে গ্যারান্টির কথা বলছেন। ওনাকে কখনও কৃষ্ণনগরে এসেছে দেখেছেন? মহুয়া মৈত্র তো থাকেন। আপনি যাঁকে সাংসদ করে পাঠাচ্ছেন তাঁর সাংসদ পদ খারিজ করে দিচ্ছে।
অভিষেক: বিজেপি আপনার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করতে চায় এটা প্রমাণিত। এটা দীপা চক্রবর্তী বলেছেন। এর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। আমি আপনাদের বলছি ভয় পাবেন না। যতদিন বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস রয়েছে বাংলায় লক্ষ্মীর ভান্ডার কেউ বন্ধ করতে পারবে না।
অভিষেক: মহিলাদের দু হাজার টাকা দিয়ে বিজেপি নেতারা তাঁদের সম্ভ্রম দিল্লির কাছে বিক্রি করে দিয়ে এসেছে। ২০০০ টাকা নাও, মিথ্যে ধর্ষণের অভিযোগ করো। আমি বলছি না। গঙ্গাধর কয়াল বলেছেন।
অভিষেক: আমাদের দোলা সেন, বীরবাহা হাঁসদা, মহুয়া মৈত্র চুলের মুঠি ধরে দিল্লি পুলিশ বের করে দিয়েছিল গরিব মানুষের হয়ে টাকা চাইতে গিয়েছিল বলে। আমাদের মায়েদের বলি, এই বিজেপি আপনার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করতে চায়। অমৃতা রায় যখন ভোট চাইতে যাবেন তখন তিনটি প্রশ্ন করবেন তাঁদের সঠিক অবস্থান কী, দ্বিতীয় প্রশ্ন করবেন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি একজন মহিলার শ্লীলতাহানি করেছেন। অথচ পরের দিন তিনি পালিয়ে গেলেন কেন? তৃতীয় প্রশ্ন, কালকে সন্দেশখালির ভিডিয়ো দেখেছেন তো? ওরা তৃণমূলকে ছোট করতে গিয়ে বাংলার মানুষকে ছোট করেছে।
অভিষেক: প্রধানমন্ত্রী যাঁকে প্রার্থী করেছেন তাঁকে কৃষ্ণনগরের কোনও লোক চেনে না। তিনি নিজেকে পরিচয় দেন রাজমাতা হিসাবে। বিজেপি জিতলে গরিবের উপর অত্যাচার বাড়বে। আমরা জিতলে গরবি মানুষের হয়ে লড়াই হবে।
অভিষেক: ভারতে যত রাজনৈতিক দল আছে সবাইকে ইডি-সিবিআই লাগিয়ে চমকে ধমকে বাড়িতে ঢুকিয়ে রেখেছে। আমাকে কতবার ডেকেছে। আমার বয়স্ক মা-বাবাকে ছাড়েনি। মহুয়া মৈত্রর বাড়িতে সিবিআই রেইড করেছে। আর যাদের টাকা নিতে দেখা গিয়েছে তারা এখন বিজেপি-র সাংসদ। বিজেপির বড় বড় নেতা।
অভিষেক: এখানে মোদী পরপর দু’বার সভা করেছেন। উনি কোনও ভাবে চান না মহুয়া মৈত্র জেতেন। সংসদে ওনার পারফরমেন্স দেখেছেন। মহুয়া মৈত্র গত পাঁচ বছর সংসদে এলাকার দাবি-দাওয়া তুলে ধরেছেন। মোদী সরকারের চেহারা প্রকাশ্যে এনেছে। এদের গায়ে জ্বালা ধরেছে। তাই যে করে হোক তৃণমূলের প্রার্থীকে জিততে দেওয়া হবে না।
অভিষেক: গত দশ বছর দেশের প্রধানমন্ত্রীর নাম নরেন্দ্র মোদী। বিজেপির কোনও নেতা বা কর্মী এই দশ বছরে কৃষ্ণনগরের স্বার্থে কোনও পর্যালোচনা বৈঠক করে উন্নয়ন করেছে আমি একটাও আর ভোট চাইব না।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours