এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস ম্যানেজমেন্টের তরফে জানানো হয়েছে, হঠাৎই প্রায় ৩০০ সিনিয়র কেবিন ক্রু ছুটি নিয়েছেন। সকলেই 'সিক লিভ' নিয়েছেন। এর জেরে উড়ান পরিচালনায় ব্যাপক সমস্যা দেখা দিয়েছে। বাধ্য হয়েই ৮৬টি বিমান বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। 

Air India-এ বিপর্যয়, একসঙ্গে 'অসুস্থ' ৩০০ কর্মী! বাতিল ৮৬ ফ্লাইট
বাতিল এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের প্রায় শতাধিক বিমান।


 গণ ছুটিতে সবাই। বিমান চালাবে কে? চরম সঙ্কটে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস। বাধ্য হয়েই বাতিল করে দেওয়া হল ৮৬টি বিমান। এর মধ্যে অন্তর্দেশীয় বিমান যেমন রয়েছে, তেমন আন্তর্জাতিক বিমানও বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, এয়ার ইন্ডিয়ার প্রায় ৩০০ সিনিয়র কেবিন ক্রু একসঙ্গে ছুটিতে চলে গিয়েছেন। সবাই নিজেদের মোবাইল ফোনও বন্ধ করে দিয়েছেন। এর জেরেই ৮৬টি বিমান বাতিল করে দিতে বাধ্য হয়েছে উড়ান সংস্থা।


এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস ম্যানেজমেন্টের তরফে জানানো হয়েছে, হঠাৎই প্রায় ৩০০ সিনিয়র কেবিন ক্রু ছুটি নিয়েছেন। সকলেই ‘সিক লিভ’ নিয়েছেন। এর জেরে উড়ান পরিচালনায় ব্যাপক সমস্যা দেখা দিয়েছে। বাধ্য হয়েই ৮৬টি বিমান বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।

সূত্রের খবর, টাটা গ্রুপের মালিকানাধীন এই এয়ারলাইনের কর্মীরা নতুন এমপ্লয়মেন্ট টার্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন। প্রতিবাদ দেখাতেই তাঁরা শেষ মুহূর্তে “সিক লিভ” নিয়েছেন। কাজে আসতে পারবেন না, এ কথা জানানোর পরই তারা নিজেদের ফোন সুইচ অফ করে দিয়েছেন।


হঠাৎ সবাই ছুটিতে চলে যাওয়ার কারণে গতকাল রাত থেকেই বিমান বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের মুখপাত্র বলেছেন, “আমাদের কেবিন ক্রু-র একাংশ শেষ মুহূর্তে সিক লিভ নেওয়ায় বিমান ওঠানামায় দেরি হচ্ছে। কিছু বিমান বাতিল করে দিতে হয়েছে। আমাদের টিম চেষ্টা করছে যাতে যাত্রীদের সমস্যা যথাসম্ভব হ্রাস করা যায়। হঠাৎ এই সমস্যার জন্য যাত্রীদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী আমরা। এই পরিস্থিতি আমাদের পরিষেবাকে প্রতিফলন করে না।”

এয়ারলাইন সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, যে সমস্ত বিমান বাতিল করে দেওয়া হয়েছে, তার সমস্ত যাত্রীদের টিকিটের দাম রিফান্ড করে দেওয়া হবে।

সূত্রের খবর, টাটা গ্রুপের সঙ্গে মার্জারের পরই এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের ক্রু-রা অসম ব্যবহারের অভিযোগ করেছেন। অনেক স্টাফের অভিযোগ, ইন্টারভিউ পাশ করার পরও তাদের তুলনামূলকভাবে নীচু পদে চাকরি দেওয়া হয়েছে। তাদের কমপেনসেশন প্যাকেজও বদলে দেওয়া হয়েছে। নতুন ডিউটি রস্টারে পাইলটদের পর্যাপ্ত বিশ্রামের সময়ও দেওয়া হচ্ছে না।

প্রসঙ্গত, এর আগে টাটা গ্রুপের অধীনস্থ ভিস্তারা এয়ারলাইন্সেও একই সমস্যা দেখা দিয়েছিল। পাইলটরা বিমান ওড়াতে অস্বীকার করেছিলেন।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours