ছত্তীসগঢ়ে মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে গত কয়েক বছরে মাওবাদী কার্যকলাপ কমেছে ঠিকই। তবে নির্বাচনের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে চাইছে কমিশন। এখনও পর্যন্ত খবর, মোট ৩৫০ কোম্পানি প্যারামিলিটারি ফোর্স ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে।
কপ্টারে, কড়া নিরাপত্তায় নকশাল অধ্যুষিত এলাকায় ভোট করাতে চললেন ভোট কর্মীরা
ভোটকর্মীরা কপ্টারমুখী।
আগামী শুক্রবার প্রথম দফার ভোট। তার আগে আজ মঙ্গলবার থেকেই ভোটকর্মীদের ভোটপ্রস্তুতি পর্বের তোড়জোড় শুরু। ছত্তীসগঢ়ের মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকায় বাড়তি সতর্কতা রয়েছে কমিশনের। স্পর্শকাতর এলাকাগুলিকে ঘেরা হচ্ছে নিরাপত্তার বলয়ে। দুর্গম এলাকায় ভোটকর্মীদের পৌঁছে দিতে কপ্টারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শুক্রবার ছত্তীসগঢ়ের বস্তার লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। মঙ্গলবার থেকেই ভোট কর্মীরা ভোটকেন্দ্রের পথে রওনা দিয়ে দিয়েছেন।
ছত্তীসগঢ়ে মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে গত কয়েক বছরে মাওবাদী কার্যকলাপ কমেছে ঠিকই। তবে নির্বাচনের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে চাইছে কমিশন। এখনও পর্যন্ত খবর, মোট ৩৫০ কোম্পানি প্যারামিলিটারি ফোর্স ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে।
১৭৯টি ভোটকেন্দ্রের প্রতিটিতে এই প্যারামিলিটারি ফোর্স ও সেনাবাহিনীর জওয়ান মোতায়েন থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে যে সংখ্যক জওয়ান ছিল, এবারও সেই একই সংখ্যক জওয়ান বস্তার লোকসভা কেন্দ্রে রাখা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন সেখানকার ভোটকর্মীদের হেলিকপ্টারে পৌঁছে দিচ্ছে ভোটকেন্দ্রে।
কারণ একটাই, কোথাও যেন কোনওরকম অনভিপ্রেত ঘটনা না ঘটে। ভোটকেন্দ্রের দূরত্বকে মাথায় রেখে অস্থায়ী হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছে। সেখান থেকে ভোটকর্মীদের গাড়ি করে সেনাবাহিনীর সুনির্দিষ্ট সুরক্ষাবলয়ের মধ্যে দিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে ভোটকেন্দ্রে।
একইভাবে উত্তরাখণ্ডে মোট ৫টি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে। সেখানেও প্রত্যন্ত এলাকায় হেলিকপ্টারে ভোট কর্মীদের উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ দু’টি রাজ্য ছত্তীসগঢ় ও উত্তরাখণ্ডের ক্ষেত্রে বাড়তি পরিকাঠামোগত ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours