জানা যাচ্ছে, প্রাক্তন উপাচার্য আশুতোষ ঘোষের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা রয়েছে। বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে কলেজ বিল্ডিংয়ের অপব্যবহারের অভিযোগ, আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগ, নতুন কোর্স-সহ একাধিক বিষয়ে অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
এবার প্রাক্তন উপাচার্যের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গড়ল রাজ্য, সঙ্গে সঙ্গে আদালতে ছুটছে বিশ্ববিদ্যালয়
বিএড বিশ্ববিদ্যালয়
কলকাতা: বাংলার উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে কেন্দ্র করে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতে একের পর এক টুইস্ট। এবার রাজ্যের বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গড়ল শিক্ষা দফতর। জানা যাচ্ছে, প্রাক্তন উপাচার্য আশুতোষ ঘোষের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা রয়েছে। বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে কলেজ বিল্ডিংয়ের অপব্যবহারের অভিযোগ, আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগ, নতুন কোর্স-সহ একাধিক বিষয়ে অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
যদিও শিক্ষা দফতরের এই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে পাল্টা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে বিএড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়ে বেশ বিস্মিত। শিক্ষ দফতরের এই তদন্তের নির্দেশ কার্যত ভিত্তিহীন বলেই মনে করছে বিশ্ববিদ্য়ালয় কর্তৃপক্ষ। এই বিষয়ে বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচাপ্য সোমা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি বিষয়টি বুঝতে পারছি না। কারণ, যেগুলি কলেজের ব্যাপার ছিল, সেগুলি তো সব মিটে গিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের নির্দেশে সমস্ত কিছু তো মিটে গিয়েছে। উচ্চ শিক্ষা দফতরও তো নো অবজেকশন দিয়েছে। সমস্ত অ্যাফিলিয়েশন ও অ্যাডমিশন হয়ে গিয়েছে। এমন অবস্থায় এই চিঠি পেয়ে আমরাও বিস্মিত।’
উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানাচ্ছেন, সেই কারণেই বিএড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই নির্দেশকে চ্য়ালেঞ্জ করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারছি না এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা কি, সেই কারণেই চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, রাজ্য়ের উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে রাজ্য-রাজভবন সংঘাতের বাতাবরণ লেগেই রয়েছে। সম্প্রতি রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য সিভি আনন্দ বোস রাজ্যের চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন। রাজ্যপাল বোসের এই সিদ্ধান্তে বেজায় বিকক্ত সরকার পক্ষ। রাজ্যপালের কাজকর্মকে আদালত অবমাননার তুল্য বলে দাবি করেছে রাজ্য এবং তিনি যাতে এই ধরনের নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেন, সে কথাও বলেছে রাজ্য সরকার।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours