বিয়ে করতে না আসা হবু বরকে আজও ক্ষমা করতে পারেননি দেবলীনা। সেই বিয়েকে কেন্দ্রকে করে আরও গোপন কথা আছে অভিনেত্রীর জীবনে। ডিজিট্যালে সম্প্রতি শুরু হয়েছে খ্যাতনামীদের 'ক্ষমা করিনি মুহূর্ত'। এবার মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত।
দেবলীনার চরম ক্ষতি, আংটি কিনতে গিয়ে হবু বরের কার্ডে টাকা নেই! ক্ষমা করেননি অভিনেত্রী
দেবলীনা দত্ত।
অভিনেতা-পরিচালক তথাগত মুখোপাধ্য়ায়কে বিয়ে করার অনেক আগে আরও একবার বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত। এ কথা অনেকেই হয়তো জেনে গিয়েছেন ‘অপুর সংসার’ শোয়ের এর দৌলতে। সেই শোতেই অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়কে প্রথম এই কথা ব্যক্ত করেছিলেন দেবলীনা। বলেছিলেন, “আমি কনের সাজে বসেছিলাম। লোকজন আসতে শুরু করেছিল, উপহার দেওয়াও শুরু করে দিয়েছিল। ডিনার সেরে বাড়ি ফিরে যাচ্ছিলয। কিন্তু বর আসেনি আমাকে বিয়ে করতে।” বর বিয়ে করতে না আসার ব্যাপারটা একেবারেই লোকাননি দেবলীনা। সকলের সামনে সে কথা স্বীকার করেছিলেন। সেই বিয়ে করতে না আসা হবু বরকে আজও ক্ষমা করতে পারেননি দেবলীনা। সেই বিয়েকে কেন্দ্রকে করে আরও গোপন কথা আছে অভিনেত্রীর জীবনে। ডিজিট্যালে সম্প্রতি শুরু হয়েছে খ্যাতনামীদের ‘ক্ষমা করিনি মুহূর্ত’। এবার মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত।
অভিনেতা-পরিচালক তথাগত মুখোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব থাকলেও আর তাঁর সঙ্গে সংসার করছেন না দেবলীনা। কিন্তু সংসার না করলেও তথাগতর প্রতি তিনি চির কৃতজ্ঞ। অভিনেত্রী TV9 বাংলাকে অতীতে বলেছিলেন, তথাগতকে তিনি কোনওদিনও ভুলতে পারবেন না। তাঁর সঙ্গে কাটান সময়টা দেবলীনার জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্ত। বলেছিলেন, “তথাগতকে ভালবাসতে আমার তথাগতরই প্রয়োজন নেই। এই প্রেমটায় আমার একার অধিকার।” জীবনের অনেক বড় একটা উপলব্ধি হয়েছে দেবলীনার। আসলে তাঁকে এই উপলব্ধি করতে সহায়তা করেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জর্জ বার্নার্ড শ, ওশো। রাগই নেই। ফলে তথাগতকে ক্ষমা করার প্রশ্নই আসে না। বরং তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতাই অঢেল। কিন্তু যে মানুষটাকে দেবলীনা কোনওদিনও ক্ষমা করতে পারবেন না, তিনি হলেন সেই মানুষটা, যিনি বিয়ে করতে আসব বলেও এলেন না।
দেবলীনা
বলেছেন, “আমি ওই লোকটাকে কোনওদিনও ক্ষমা করব না। একদম করব না। সকলেই জানেন, তিনি আমাকে বিয়ে করতে আসছি বলে আসেননি। আমার মায়ের হার্টের অবস্থা ভাল না জেনেও এমন ক্রিমিনালের মতো ঘটনা তিনি ঘটিয়েছিলেন আমার সঙ্গে। পিশাচ!” এই মুহূর্তে ডি-টক্স পদ্ধিতকেই মেনে চলছেন দেবলীনা। বহু মানুষের অস্তিত্বকেই তিনি ঝেড়ে ফেলছেন। এই ব্যক্তিরও। কিন্তু মনে না করতে চাইলেও, মনে পড়ে যায়। দেবলীনা বললেন, “আমি একটা কথা কোনওদিন কাউকেই বলিনি।
বলছি প্রথম। জানেন, বিয়ের দু’দিন আগে আমরা একটা সোনার দোকানে বিয়ের আংটি কিনতে গিয়েছিলাম। দুটো আংটি কেনার কথা ছিল। আমার আংটিটা তো ওই মানুষটারই কেনার কথা। ৫৪ হাজার টাকা দাম ছিল। কার্ড সোয়াইপ করতে গিয়ে দু’বার ফের করল। শেষে আমি নিজের বিয়ের আংটি নিজেই কিনলাম। তখনও বলল না, দু’দিন পর বিয়ে করতে আসবে না। এখন বুঝি কেন ওর দুটো কার্ড সোয়াইপ করেও ফেল দেখাচ্ছিল।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours