ভোট দিতে যাওয়ার আগে অভিনেতা রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথায় যেটা প্রথমে আসে তা হল, তাঁর সঙ্গে যিনি ভোট দিতে যাচ্ছেন তাঁর যে রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা, তা নিয়ে বাগবিতণ্ডা নয়। এর অর্থ কী।কাছে বিষয়টা খোলসা করে রাহুল বললেন, "বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক মতাদর্শের মানুষ একসঙ্গে থাকতেই পারেন। কিন্তু ভোট দিতে যাওয়ার আগে যেন তাঁদের মধ্যে কোনওরকম মন কষাকষি না চলে।"
রাহুল কোন দিকে? বলেন, 'সায়নী আমার বউয়ের বন্ধু, আর সৃজনকে আমার ভাল লাগে'
(বাঁ দিকে) লোকসভা নির্বাচনে যাদবপুরের সিপিআইএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য, মাঝখানে অভিনেতা রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়, (ডান দিকে) যাদবপুরেরই তৃণমূল প্রার্থী অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ
রাহুল অরুণাদয় বন্দ্যোপাধ্যায়। একজন দারুণ অভিনেতা। সম্প্রতি যাত্রার মঞ্চে সুনাম অর্জন করেছেন তিনি। অভিনেতা হওয়ার পাশাপাশি রাহুলের আরও এক পরিচয়–তিনি বই পোকা। অনেক ছোট বয়স থেকে বইয়ের পাহাড়ের ভিতর ঢুকে থাকতে ভালবাসেন রাহুল। প্রচুর বই পড়েন। সমাজ সচেতন মানুষ তিনি। এবং একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের প্রতি তাঁর দুর্বলতা গোড়া থেকেই। সেই ভালবাসা বদলায়নি এতগুলো বছরেও। রাহুলের পরিবার কংগ্রেসের সমর্থক। মূলত তাঁর বাবা-মা। কিন্তু রাহুল তা নন। তিনি বরাবরই বাম-প্রিয়। ভোট দিতে যাওয়ার আগে তাঁর মাথায় যেটা প্রথমে আসে তা হল, তাঁর সঙ্গে যিনি ভোট দিতে যাচ্ছেন তাঁর যে রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা, তা নিয়ে বাগবিতণ্ডা নয়। এর অর্থ কী।
কাছে বিষয়টা খোলসা করে রাহুল বললেন, “বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক মতাদর্শের মানুষ একসঙ্গে থাকতেই পারেন। কিন্তু ভোট দিতে যাওয়ার আগে যেন তাঁদের মধ্যে কোনওরকম মন কষাকষি না চলে।”
বিষয়টা আরও একটু খোলসা করা যাক। রাহুলের স্ত্রী অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকার একটি অন্য রাজনৈতিক দলের সমর্থক। রাহুল যে প্রার্থীকে ভোট দেবেন, সে কেন্দ্রটি হল যাদবপুর। গতবার, অর্থাৎ ২০১৯ সালে সেই কেন্দ্রে সেখানে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন ‘গানের ওপারে’র পুপে, তথা অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী এবার স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়িয়েছেন রাজনীতির ময়দান থেকে। প্রার্থী হননি যাদবপুরে। সেই জায়গায় প্রার্থী করা হয়েছে অভিনেত্রী সায়নী ঘোষকে। সায়নী এবার প্রিয়াঙ্কা দারুণ বন্ধু। অর্ণব মিদ্দার ‘অন্দরকাহিনী’ ছবিতে একসঙ্গে সমকামী জুটি হিসেবে অভিনয় করেছিলেন তাঁরা। রাহুল বলেছেন, “আমি কিন্তু আমার স্ত্রীকে কখনও জিজ্ঞেসই করি না ও কাকে ভোট দেবে। আমি সবটাই জানি, বুঝতে পারি। ওর সঙ্গে সায়নীর একটা ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। যতই রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকুক না কেন, সায়নীকে আমি মানুষ হিসেবে খুব সম্মান করি এবং তিনি বহুদিন ধরে আমার সহকর্মী-বন্ধু। আমার আবার ভাল লাগে বাম-প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্যকে। তা হলেই বুঝুন।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours