অভিযোগ, বর্ধমান থেকে লরিতে করে বান্দোয়ানের পারবাইদ গ্রামে ধান কিনতে এসেছিলেন ফড়েরা। কোমরে রিমোট লুকিয়ে রেখে ওজনে কারচুপি করছিলেন। এক গ্রামবাসী তা দেখে ফেলেন। এরপরই রিমোট ফেলে পালানোর চেষ্টা করেন অভিযুক্তরা। কিন্তু গ্রামের মাঝখান থেকে পালানোর পথ পাননি।
'হ্যাঁ চুরি করছিলাম, কী করব?', ধান কেনায় জালিয়াতি ধরা পড়তেই বলল ফড়ে...
এলাকায় উত্তেজনা।
পুরুলিয়া: ফড়েদের কাছে ধান বিক্রি করতে গিয়ে ফাঁপড়ে চাষিরা। অভিযোগ, মাপে ঠকাচ্ছিলেন বর্ধমান থেকে আসা ফড়ের দল। প্রতিবাদে এই চড়া রোদে ফড়েদের বেঁধে রেখে দিলেন গ্রামবাসী। পুরুলিয়ার বান্দোয়ান থানার গুড়ুর গ্রামপঞ্চায়েতের পারবাইদ গ্রামের ঘটনা।
অভিযোগ, বর্ধমান থেকে লরিতে করে বান্দোয়ানের পারবাইদ গ্রামে ধান কিনতে এসেছিলেন ফড়েরা। কোমরে রিমোট লুকিয়ে রেখে ওজনে কারচুপি করছিলেন। এক গ্রামবাসী তা দেখে ফেলেন। এরপরই রিমোট ফেলে পালানোর চেষ্টা করেন অভিযুক্তরা। কিন্তু গ্রামের মাঝখান থেকে পালানোর পথ পাননি। উল্টে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করায় বেঁধে রেখে দেন গ্রামের লোকজন। অভিযুক্ত এক ফড়ে তো স্বীকারও করে নেন। বলেন, চুরি করছিলেন তিনি।
ধান বিক্রেতা সুশান্তকুমার মাহাতো বলেন, “কোমরে রিমোট গুজে রেখেছিল। ওটা দিয়েই ধানের মাপ নিয়ন্ত্রণ করছিল। আমি দেখেই চিৎকার করতে ছুট দেয়।” সুশান্তর কথায়, ফড়ে জেনেও এক প্রকার বাধ্য হয়েই ধান বিক্রি করেন। তিনি বলেন, “সরকারিভাবে ধান যে বিক্রি করব তাতেও তো কোনও সুরক্ষা নেই। ওখানেও দেখুন এসব চলছে।”
তবে সুশান্ত জানান, প্রশাসনকে জানাননি এ বিষয়ে। বলেন, “কী জানাব, এটা গাঁয়ের ব্যাপার।” অন্যদিকে অভিযুক্তদের মধ্যে এক যুবক শেখ রাজু বলেন, “হ্যাঁ আমরা চুরি করছিলাম। কী করব? অসহায়। কুইন্টালে ৮ কিলো, ৯ কিলো, ১০ কিলো করে চুরি করেছি। আমাদের ভুল মানছি। চুরির কথা মেনেও নিচ্ছি।” তবে রাজু বলেন, এই প্রথমবারই এরকম ঘটনা ঘটিয়েছেন। এর আগে তাঁরা এমন কাজ করেননি।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours