April 2024

লকডাউনের সময় থেকে গান শেখাচ্ছেন গায়ক রূপঙ্কর বাগচী। প্রথমে অনলাইন ক্লাস নিতেন তিনি। এখন সামনাসামনি গান শেখাবেন গায়ক। সেই গানের স্কুলের মাইনে কত? তিনি নিজেই শেখাবেন? নাকি অন্য কেউ তাঁর হয়ে গান শেখাবেন? আচ্ছা, কটা করে ক্লাস মাসে? অভিভাবকদের মনে নানা প্রশ্ন। গায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করে উত্তর পেল 

রূপঙ্কর বাগচী গান শেখাতে কত টাকা পারিশ্রমিক চান? কোথায় তাঁর স্কুল?
রূপঙ্কর বাগচী।

বেশ কয়েক মাস হল ছাত্র-ছাত্রীদের গান শেখাচ্ছেন গায়ক রূপঙ্কর বাগচী। লকডাউনের সময় থেকে এই কাজ শুরু করেছেন অভিনেতা-গায়ক। রূপঙ্করের গানের অ্যাকাডেমি এখন অনেক বড় হয়ে গিয়েছে। এই নিয়ে একটি পোস্ট রূপঙ্কর শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়া (ফেসবুক)-এ। সেখানে তিনি জানিয়েছেন ছাত্রছাত্রীরা যেন তাঁর কাছে গান শিখতে আসেন। যোগাযোগের জন্য একটি নম্বরও শেয়ার করেছেন রূপঙ্কর। তারপর  যোগাযোগ করে রূপঙ্করের সঙ্গে। জানতে চায় স্কুলের মাইনে কত, কে শেখাবেন এবং কবে-কবে ক্লাস।


রূপঙ্কর বাগচীর গানের স্কুলটি যাদবপুরে রয়েছে। সেই স্কুলে এখন কিছু বেশ কিছু ছাত্র-ছাত্রী গান শিখতে আসেন। রূপঙ্কর তাঁদের গিটার বাজিয়ে নিজে হাতে গান শেখান। গায়ক বলেছেন, “আমার গানের স্কুলটা আরও বড় করছি। এটা লকডাউনের সময় শুরু হয়েছিল। প্রচুর অনলাইন ক্লাস করিয়েছি আমি। এখন হাতে কলমে গান শেখাবো।”

রূপঙ্কর বাগচীর গানের স্কুলের মাইনে কত? প্রশ্ন আসতেই পারে মনে। গায়ক বলেছেন, “প্রত্যেক মাসে ২০০০ টাকা করে আমার গানের স্কুলের মাইনে। মাসে দু’দিন করে ক্লাস। আমি নিজে গান শেখাই। আমার হয়ে কোনও সহকারী গান শেখান না। এটা আগেই বলে দিলাম। আমার গানের স্কুলের অ্যাডমিশন ফিজ় ৩০০০ টাকা।”


বরাহনগর উপনির্বাচনে বিজেপি-র হয়ে লড়াই করছেন সজল। সোমবার কামারহাটি পৌরসভার ১৭, ১৮, ১৯, ২০ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার করতে যান তিনি। সেই সময় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রানা বিশ্বাস ও তাঁর সঙ্গীরা।

'দাদা নোটায় ভোট না দিয়ে BJP কেন ভোট দেব?', TMC কর্মীকে উত্তর বুঝিয়ে দিলেন সজল
আবার তর্কাতর্কিতে সজল


কামারহাটি: ‘এরা সকলে নতুন ভোটার দাদা…’, ‘আমরা বিজেপি-কে কেন ভোট দেব?’, ‘জয় বাংলা’…। আবার বিতর্কে জড়ালেন বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষ। বরাহনগরের পর কামারাহাটি প্রচারে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রানা বিশ্বাসের সঙ্গে কথাকাটাকাটি সজল ঘোষের। বিজেপি প্রার্থীকে ঘিরে উঠল ‘জয় বাংলা’ স্লোগান। পরে এলাকা ছাড়েন সজল।


বরাহনগর উপনির্বাচনে বিজেপি-র হয়ে লড়াই করছেন সজল। সোমবার কামারহাটি পৌরসভার ১৭, ১৮, ১৯, ২০ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার করতে যান তিনি। সেই সময় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রানা বিশ্বাস ও তাঁর সঙ্গীরা। সজলকে দেখেই রানা প্রথমে বলেন, ‘দাদা একটা প্রশ্ন ছিল নোটাতে ভোট না দিয়ে আমরা বিজেপি-কে কেন ভোট দেব?‘ পাল্টা উত্তর দিতে গিয়ে বিজেপি প্রার্থী বলেন, ‘আমিও যদি আপনাকে একই প্রশ্ন করি নোটাতে ভোট না দিয়ে আমরা কেন তৃণমূলে ভোট দেব?‘ সেই সময় রানা জানান, ‘তৃণমূল লক্ষ্মীশ্রী করেছে’ উত্তরে সজল তাঁর ভুল ধরিয়ে বলেন, ‘ওটা লক্ষ্মীশ্রী নয়…’।


তারপর বিজেপি প্রার্থী জানান, ‘আপনাকে তো কেউ ভোট দিতে বলেননি। মন থেকে যাকে চাইবেন তাঁকেই ভোট দেবেন।’ কিন্তু নাছোড় ওই তৃণমূল কর্মী বলেন, ‘উত্তরটা তো দিতে পারলেন না।’ এরপর আচমকাই সজলকে ঘিরে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন তাঁরা। এরপর বিজেপি প্রার্থী এলাকা ছাড়তেই তৃণমূল কর্মীরা বলতে থাকেন, ‘হায় হায় কী হল,সজল ঘোষ পালিয়ে গেল’

তারও কারণ, এ বারের আইপিএলে ট্রেন্ড। চার-ছয়ের বন্য বইছে। আরসিবি বনাম গুজরাট ম্যাচটাই ধরা যাক! ৫০ থেকে ৬ মিনিটের মধ্যে সেঞ্চুরিতে পৌঁছে যান উইল জ্যাকস! ট্রাভিস হেড, অভিষেক শর্মা, হেনরিখ ক্লাসেন, শিবম দুবে, জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগুরুক, সুনীল নারিন, ফিল সল্টরা যে বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাট করছেন, তাতেই ট্রেন্ড পরিষ্কার বোঝা যায়।

চিয়ারলিডারদের শুধু...' বরুণ চক্রবর্তীর মিস্ট্রি মন্তব্য!


বহুদিন পর একটা লো-স্কোরিং ম্যাচ দেখা গেল। এ বারের আইপিএল বোলারদের কাছে আতঙ্কের হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০০ প্লাস স্কোর জলভাত। ইডেনে এর আগের ম্যাচটাই ধরা যাক। পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ২৬১ রান করেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। সেই রান তাড়া করেও জিতেছিল পঞ্জাব কিংস। এ বার কোনও স্কোরই যেন সুরক্ষিত নয়। হাতে গোনা কয়েকটি ম্যাচে ২০০-র কম স্কোর হয়েছে। যেমনটা কলকাতা বনাম দিল্লি ম্যাচে হল!


আইপিএলে প্রতি ম্যাচেই আরও একটা বিষয় দেখা যাচ্ছে। বাউন্ডারির বাইরে বল বয়/গার্লদের হেলমেট ব্যবহার করতে দেওয়া হয়। তারও কারণ, এ বারের আইপিএলে ট্রেন্ড। চার-ছয়ের বন্য বইছে। আরসিবি বনাম গুজরাট ম্যাচটাই ধরা যাক! ৫০ থেকে ৬ মিনিটের মধ্যে সেঞ্চুরিতে পৌঁছে যান উইল জ্যাকস! ট্রাভিস হেড, অভিষেক শর্মা, হেনরিখ ক্লাসেন, শিবম দুবে, জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগুরুক, সুনীল নারিন, ফিল সল্টরা যে বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাট করছেন, তাতেই ট্রেন্ড পরিষ্কার বোঝা যায়।

আর একটা দিক অনেকেই হয়তো ভুলে গিয়েছেন। এত বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারির ফলে চিয়ারলিডারদের পরিস্থিতি! প্রতিটা চার-ছয়ের পরই স্টেজে উঠে ডান্স করতে হচ্ছে। কার্যত ম্যাচ চলাকালীন বসারই সুযোগ পাচ্ছেন না চিয়ারলিডাররা। এ বার এত বিধ্বংসী ব্যাটিং, চার-ছয় এবং চিয়ারলিডারদের নিয়েই বরুণ চক্রবর্তীর মত জানতে চাওয়া হয়। ইডেনে দিল্লির বিরুদ্ধে ম্যাচের সেরার পুরস্কার জিতে বরুণ বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনক হলেও এত চার-ছয়ই যেন ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। সত্যি বলতে আমার মনে হয়, ওঁদের শুধুমাত্র ছয়ের সময়ই ডান্স করা উচিত। বাউন্ডারির জন্য একেবারেই নয়।’


এ বারের আইপিএলে এখনও অবধি বাউন্ডারি এবং ওভার বাউন্ডারি হয়েছে! সংখ্যাটা চমকে ওঠার মতোই। বাউন্ডারি হয়ে ১৪৬৫টি! ওভার বাউন্ডারির সংখ্যা ৮৬৪। এখনও অনেক অনেক ম্যাচ এবং বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারি বাকি।

খেলা যতই মাঠে হোক, মাঠের বাইরেই তো যত খেলা! টিম হেরেছে ঠিকই, কিন্তু সৌরভ ম্যাচের পরই পড়লেন বেঙ্কটেশকে নিয়ে। তাঁর ব্যাটিং স্টান্স, ব্যালান্স নিয়ে নিয়ে টিপস দিয়ে গেলেন সৌরভ। কিন্তু সারা ম্যাচের আসল দৃশ্য ম্যাচের পর। শাহরুখের আলিঙ্গনে সৌরভ। আর কী চাই!

ইডেনে এক যুগের পর গলে জল অভিমান, শাহরুখের আলিঙ্গনে সৌরভ!




কী কী করলে একটা ম্যাচ জেতা যায়? মাঠে যদি টিম ভালো খেলে। প্রতিপক্ষের সব অঙ্ক যদি তছনছ করে দেওয়া যায়। এ সব না হয় মাঠেই হয়। কিন্তু মাঠের বাইরে হৃদয় জিততে হলে? যদি বহু পুরনো বিতর্ক মুছে ফেলতে হলে? শাহরুখ খান জানেন! এক যুগ আগের সেই পুরনো ক্ষতে কি এতদিনে প্রলেপ দিলেন? ২০১২ সালের সেই ম্যাচ আজও আলোচনায় আসে। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ছেড়েছেন কলকাতা। পুনে তাঁর নতুন ঠিকানা। ৫ মে কলকাতা জয় করতে এসেছিলেন মহারাজ। মন জয় করেছিলেন, কিন্তু হেরেছিলেন ম্যাচটা। ১২ বছর পর আবার হারলেন। সেদিনের সেই সৌরভের অভিমান আজ হয়তো গলে জল হয়ে গেল!

তখন ম্যাচ শেষ হয়েছে সবে। ছেলের হাত ধরে নাইটদের মালিক নেমে পড়েছেন মাঠে। ক্লাব হাউসের সামনে দাঁড়িয়ে সৌরভ। তাঁর পাঠশালায় ক্রিকেট শিখছেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার। মাঠে চক্কর দিয়ে সৌরভের কাছে হঠাৎ হাজির শাহরুখ খান। সৌরভ বোঝার আগেই পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলেন তাঁকে। সৌরভ যেন আপ্লুত। সৌরভ যেন আবেগতাড়িত। কিং খান ১২ বছর আগেও ম্যাচের পর সৌরভকে নিয়ে ঘুরেছিলেন মাঠ। সেবার অনেক অঙ্কের নিষ্পত্তি চেয়েছিলেন শাহরুখ। আইপিএলের আগে WPL-এর সময়ও দেখা হয়েছিল মহারাজ ও বাদশার। কিন্তু এ দিনের এই আলিঙ্গনে উষ্ণতা অনেক বেশি। স্রেফ সৌজন্য সাক্ষাতের থেকে অনেক বেশি। ইডেন হয়তো অপেক্ষা করেছিল এই মুহূর্তের জন্য। গ্যালারিও হাততালি দিচ্ছে ম্যাচের ফলাফল ভুলে।


খেলা যতই মাঠে হোক, মাঠের বাইরেই তো যত খেলা! টিম হেরেছে ঠিকই, কিন্তু সৌরভ ম্যাচের পরই পড়লেন ভেঙ্কটেশকে নিয়ে। তাঁর ব্যাটিং স্টান্স, ব্যালান্স নিয়ে নিয়ে টিপস দিয়ে গেলেন সৌরভ। কিন্তু সারা ম্যাচের আসল দৃশ্য ম্যাচের পর। শাহরুখের আলিঙ্গনে সৌরভ। আর কী চাই!

সুপার নিউমেরারিতে সিবিআই তদন্ত নিয়ে আংশিক স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী সোমবার পর্যন্ত আংশিক স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ বলেছিল, এই পোস্ট তৈরির ক্ষেত্রে যে সমস্ত ক্যাবিনেট সদস্য রয়েছেন চাইলে সিবিআই ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। এই অংশেই স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

চাকরি বাতিলের নির্দেশে কোনও স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট
সুপ্রিম কোর্ট


নয়া দিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে এসএসসি মামলার শুনানি শুরু হল। গত ২২ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্ট ২০১৬ সালে এসএসসির সম্পূর্ণ নিয়োগের (গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ) প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দেয়। কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চের এই রায়ে প্রায় ২৬ হাজার জন চাকরিহারা হন। এরপরই রাজ্য, এসএসসি ও পর্ষদ সুপ্রিম কোর্টে যায়। সোমবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রর এজলাসে শুনানি শুরু হয়। কেন সুপারনিউমেরারি পোস্ট তৈরি করা হল? রাজ্যকে প্রশ্ন করে সুপ্রিম কোর্ট। তবে চাকরি বাতিলে কোনও অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ আজ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। আগামী সোমবার ফের এই মামলার শুনানি হবে। ফলে যোগ্য-অযোগ্যদের চাকরি বাতিলের নির্দেশই বহালই রইল শীর্ষ আদালতে।


সুপ্রিম কোর্টে শুনানিতে যা হল-
চাকরিহারাদের আইনজীবীর বক্তব্য, নির্বাচনের ডিউটিতে আছেন অনেকেই। মামলার স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক।
এদিন কমিশন যোগ্য অযোগ্য বাছাইয়ের বিষয়ে বলায়, বিচারপতি প্রশ্ন করেন- ওএমআর শিট তো সম্পূর্ণ নষ্ট। তাহলে কীভাবে আপনারা কারা যোগ্য সেটা আলাদা করবেন?
আদালত আগামী সোমবার পরবর্তী শুনানি করবে। কত ভাগে এই মামলা ভাগ করা যায়, দেখা হতে পারে তা।
কমিশন সওয়াল করে, ‘আমরা বলতে পারি কারা আযোগ্য, কারা যোগ্য। সিবিআই সেটা করতে পারে না।’

এদিন শুনানিপর্বে চাকরিহারাদের আইনজীবী প্রশ্ন করেন, হাইকোর্ট তাঁদের নিয়োগ করেনি। তাহলে কীভাবে চাকরি নিতে পারে? প্রত্যেকের পরিবার আছে। প্যানেল বাতিলের যে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্ট দিয়েছিল, সেখানে কোনও স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্ট দেয়নি। ফলে চাকরি বাতিলের যে নির্দেশ তা আপাতত বহালই রয়েছে। সোমবার ফের এই মামলা শুনবে শীর্ষ আদালত।
সুপার নিউমেরারিতে সিবিআই তদন্ত নিয়ে আংশিক স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী সোমবার পর্যন্ত আংশিক স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ বলেছিল, এই পোস্ট তৈরির ক্ষেত্রে যে সমস্ত ক্যাবিনেট সদস্য রয়েছেন চাইলে সিবিআই ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। এই অংশেই স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
পরবর্তী সোমবার ফের মামলা শুনবেন প্রধান বিচারপতি।
স্থগিতাদেশের আবেদনের বিরোধিতা বিকাশ ভট্টাচার্যের।
নির্বাচনের কাজে রয়েছেন শিক্ষকরা স্থগিতাদেশ চাইছে রাজ্য।
অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টে স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি জানান, ‘আমরা যোগ্য অযোগ্যদের আলাদা করতে প্রস্তুত’।
সুপার নিউমেরারি পোস্টে সিবিআই তদন্তের বিরোধিতা করে রাজ্য।

এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, "আইসিডিএস সেন্টারের পাশে কয়েকজন মিলে কথা বলছিলাম। হঠাৎ শুনি ভয়ঙ্কর শব্দ। দেখি আমার বাড়ির দেওয়াল ভেঙে পড়ল। এখন তো ভয় লাগছে, প্রাণ নিয়ে বাঁচতে পারব কি না। বাড়িতে থাকলে আমি, স্বামী, ছেলে তিনজনই মারা যেতাম।"

২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে মুর্শিদাবাদে বিস্ফোরণ, রাতে বোমাবাজিও
প্রকাশ্যে উদ্ধার হয় বোমাও।


মুর্শিদাবাদ: ভোটের আগে মুর্শিদাবাদ যেন বিস্ফোরকের পাহাড়! প্রায়ই বোমা বারুদ উদ্ধার লেগে আছে। এবার আবার ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দু’ দুটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল। সঙ্গে আবার বোমাবাজিতে কাঁপল এলাকা। রেজিনগর ও বেলডাঙায় সোমবারের ঘটনা নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।

সোমবার সকালে বেলডাঙায় আইসিডিএস সেন্টার চলাকালীন সেন্টারের পাশে বিস্ফোরণ হয়। বেলডাঙা থানার ঝুমকা মাঝপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। বোমা বিস্ফোরণে আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। অভিযোগ, বোমা মজুদ করে রাখা ছিল। তাতেই বিস্ফোরণ হয়।

এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “আইসিডিএস সেন্টারের পাশে কয়েকজন মিলে কথা বলছিলাম। হঠাৎ শুনি ভয়ঙ্কর শব্দ। দেখি আমার বাড়ির দেওয়াল ভেঙে পড়ল। এখন তো ভয় লাগছে, প্রাণ নিয়ে বাঁচতে পারব কি না। বাড়িতে থাকলে আমি, স্বামী, ছেলে তিনজনই মারা যেতাম।”

এরপর রাতেই কেঁপে ওঠে রেজিনগর। রেজিনগরের নাজিরপুর এলাকায় সোমবার রাতে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয় বলে অভিযোগ। সেখানে ব্যাপক বোমাবাজি ও ভাঙচুর চলে। ঘটনায় আহত হন তিনজন। ঘটনাস্থলে যায় রেজিনগর থানার পুলিশ। এই নাজিরপুর এলাকাতেই রবিবার রাতে আবার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আগের রাতে বিস্ফোরণের পরদিন সেই বোমাবাজি।

এলাকাবাসীর কথায়, সন্দেশখালির আগারহাটি পঞ্চায়েতের একসময় সদস্য ছিলেন মীজানুর মোল্লা। এদের মতো আরও অনেক মীজানুর প্রতিটি অঞ্চলে রয়েছে। বেড়মজুরে যদি শেখ শাহজাহানের ভাই শেখ সিরাজুদ্দিন হয়, সরবেড়িয়া অঞ্চলে জিয়াউদ্দিন মোল্লা, মীজানুর মোল্লারা হলেন শাহজাহানের জমি দখলের অন্যতম সাগরেদ।

 'হ্যাঁ এই ধরনেই মেশিনই ওদের কোমরে গোঁজা থাকত...'
শেখ শাহজাহান নিয়ে আরও বিস্ফোরক


সরবেড়িয়া: সরবেড়িয়ায় উদ্ধার হওয়া অস্ত্র দিয়েই কি সন্দেশখালিতে জমি দখল? টিভি ৯ বাংলায় বিস্ফোরক অভিযোগ আনসার মোল্লার। অভিযোগ, অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোর করে দশ বছর আগে জমি দখল মীজানুরদের। আর এই জমি দখলে উঠে এল শেখ শাহজাহানের যোগ। সিবিআই-এর কাছে দায়ের হয়েছে অভিযোগ।


গত শনিবার অর্থাৎ দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের দিন সরবেড়িয়ায় তৃণমূল নেতার আত্মীয় আবু তালেব মোল্লার বাড়ির মাটি খুঁড়ে কার্যত অস্ত্র ভান্ডারের হদিশ পেয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। নেমেছিল এনএসজি কমান্ডো। উদ্ধার হয় একাধিক দেশি-বিদেশি অস্ত্র, বোমা। এই পরিস্থিতির মধ্যেই আবার সিবিআই-এর কাছে অভিযোগ করলেন জমিহারারা। তাঁদের দাবি, এই সব অস্ত্রের জোরেই দশ বছর আগে জমি দখল করেছিল শাহজাহানের সঙ্গী মীজানুররা।

অভিযোগকারী আনসার মোল্লা টিভি ৯ বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, “ওদের অনেক দাপট। সব সময় মেশিন নিয়ে ঘোরে। কখন কোন সময় গুলি করে দেবে ঠিক নেই। কার কাছে কত আগ্নেয়াস্ত্র আছে হিসাব পাবে না। কোমরে গোঁজা থাকত মেশিন।” এরপর টিভি ৯ বাংলার প্রতিনিধি অস্ত্র উদ্ধারের ছবি দেখান। সেই উত্তরে ওই ব্যক্তি জানান, “এই ধরনেই মেশিনই ওদের কোমরে গোঁজা থাকত সবসময়।” জমি হারানো আরও এক অভিযোগকারী বলেন, “আমরা আইনের দ্বারস্থ বরাবর হয়েছি। কিন্তু আমাদের বলা হয়েছিল শেখ শাহজাহানকে জানাও। ওইখানে গেলে সব সমস্যা মিটে যাবে। আর ওকে বললে বলত, ওই জমির কাগজ নেই, ওই জমি তোমাদের নয়। মীজানুরকে দায়িত্ব দেওয়া রয়েছে। ও যেটা করবে সেইটাই। জমির ধারে যাবে না। মেইন ভূমিকায় এখানে মীজানুর। আর তার উপরে শেখ শাহজাহান। দিনের পর দিন জমি দখল হয়েছে। মানুষ বলতে গিয়ে মার খেয়েছে। বাড়ি ছাড়া হয়েছি।”


কে এই মীজানুর?

এলাকাবাসীর কথায়, সন্দেশখালির আগারহাটি পঞ্চায়েতের একসময় সদস্য ছিলেন মীজানুর মোল্লা। এদের মতো আরও অনেক মীজানুর প্রতিটি অঞ্চলে রয়েছে। বেড়মজুরে যদি শেখ শাহজাহানের ভাই শেখ সিরাজুদ্দিন হয়, সরবেড়িয়া অঞ্চলে জিয়াউদ্দিন মোল্লা, মীজানুর মোল্লারা হলেন শাহজাহানের জমি দখলের অন্যতম সাগরেদ।

অভিযুক্ত মীজানুর বললেন, “আট বিঘে তো নয়। সাড়ে চার বিঘা জমি তো ওদের রয়েছে। আনসার মোল্লার ছেলে ঘর বেঁধে রয়েছে। ওনার কাকা জমি বিক্রি করেছিল। আর চার বিঘা জমি বেদখল আছে। এতে আমাদের কী এসে যায়। আর আমরা কোনও দিন অস্ত্র চোখেই দেখিনি। এখন টিভিতে দেখছি। আর আমরা এমন ধরনের লোক নই।”

এই ঘটনায় আনসার মোল্লারা জমি দখলের অভিযোগ সিবিআই-এর কাছে জানিয়েছেন। কীভাবে ডুগরিপাড়ায় তাঁদের সাড়ে আট বিঘা জমি দখল হয়েছে সবটাই খোলসা করে জানিয়েছেন তাঁরা।



২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর ২০২০ সালের বিধানসভা ভোটে পরিবর্তন এসেছে অনেকটাই। ২০২০ সালের ভোটে পাটলিপুত্র লোকসভার ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৬টিতে জিতেছে মহাগঠবন্ধন। যার মধ্যে ফুলওয়াড়ি শরিফ ও পালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে জেতে সিপিআইএমএল।

 পাটলিপুত্রের ভোটে লিবারেশনই কি নির্ণায়ক? মহাগঠবন্ধনেই খেলা ঘোরাতে চায় লালুর আরজেডি
মহাগঠবন্ধনে খেলা ঘুরছে বিহারে। ফাইল চিত্র।


বিহার: বিহারের রাজনীতিতে এক নতুন উলট পুরাণ। লালুপ্রসাদ যাদবের দলের সঙ্গে রক্তাক্ত ইতিহাস ভুলে এবার আরজেডির সঙ্গে গাটছড়া সিপিআইএমএল লিবারেশন-সহ সমস্ত বাম দল। পাটলিপুত্র লোকসভা আসনে জয় পেতে বামেদের ভোট ব্যাঙ্কেই ভরসা রাখছেন লালু-কন্যা মিশা ভারতী। অন্যদিকে লালু-পুত্র তেজস্বী যাদবের হাত ধরে বিহারের রাজনীতিতে শুরু হয়েছে বামেদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই।


কথায় বলে, রাজা আসে রাজা যায়। শুধু পোশাকের রং বদলায়। রাজা আর রাজনীতির বহু রং বদলের সাক্ষী থেকেছে পাটলিপুত্র। তবে এবার দিল্লি দখলের লড়াইয়ে প্রাচীন অঙ্গরাজ্যে শুরু হয়েছে এক নতুন রং মিলান্তির খেলা। বিহারে বরাবরই বাম রাজনীতির সঙ্গে লালুপ্রসাদ যাদবের আরজেডির অহিনকুল সম্পর্ক। সিপিএমের অজিত সরকার বা সিপিআইএম লিবারেশনের চন্দ্রশেখরের মতো নেতাদের খুনের ঘটনায় অতীতে বারবারই আরজেডির নাম উঠেছে কাঠগড়ায়।

কিন্তু গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে মাঝে। সেই বামেদের সঙ্গেই আজ গাটছড়া বেঁধেছে আরজেডি। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মহাগঠবন্ধনের শরিক সিপিআইএম লিবারেশন (CPIML)(Liberation) বা মালে-সহ সব বাম দল।


২০১৪ ও ২০১৯ সালেও পাটলিপুত্র কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়েছিলেন মিশা। তবে দু’বারই হেরে যান আরজেডি ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতা রামকৃপাল যাদবের কাছে হেরে যান। দু’বারই ৪০ হাজারের আশেপাশে ছিল হারের মার্জিন। এবার কমিউনিস্ট পার্টিগুলিকে পাশে পাওয়া লালু-কন্যার কাছে নিঃসন্দেহে বড় অ্যাডভান্টেজ। অনেকে বলছেন, শেষ দু’বার হারলেও এবার মিশার পাল্লা বেশ ভারী। ১ জুন এই কেন্দ্রে ভোট হবে।

আরজেডি নেতা সালাউদ্দিন মনসুরির কথায়, “খুব কম ভোটে হারি গতবার। তবে এবার আর আমরা হারব না। আমরা আরজেডির লোকজন আছি। মহাগঠবন্ধনের সকলে আছেন, মালের লোকেরা আছেন। এবার ময়দানে সকলে আছে। মিশা ভারতীকে এবার আমরা জেতাবই।”

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর ২০২০ সালের বিধানসভা ভোটে পরিবর্তন এসেছে অনেকটাই। ২০২০ সালের ভোটে পাটলিপুত্র লোকসভার ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৬টিতে জিতেছে মহাগঠবন্ধন। যার মধ্যে ফুলওয়াড়ি শরিফ ও পালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে জেতে সিপিআইএমএল।

২০২০ সালের তাক লাগানো ফলের পর এখন লিবারেশনের সঙ্গে দারুণ সখ্যতা আরজেডির। এগিয়ে চলার জন্য এক সময়ের ঘোষিত শত্রুকেই মিত্র ভাবছে রাজি সিপিআইএমএল। ফুলওয়াড়ি শরিফের বিধায়ক গোপাল রবিদাস বলেন, “সংসদীয় রাজনীতিতে কয়েকটা আসনে ঘুরপাক খাচ্ছি আমরা। এগিয়ে না গেলে তো আমরাও শেষ হয়ে যাব। দুর্বলতা বা এগোনোর কৌশল যাই বলুন, এটা দরকার ছিল।” মালে আর আরজেডির সম্পর্ক এগোনোর পিছনে তেজস্বীর ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ মানছে সকলেই।

তাই বোধহয় বিজেপির নিশানায় লালু-পুত্র। বিজেপি নেতা রাকেশ সিংয়ের কথায়, “বিকাশ যা হওয়ার নীতীশ কুমারের সময়ই হয়েছে। তেজস্বী তো অপরাধীদের বিকাশ ঘটিয়েছে। মাফিয়া, নকশালদের বিকাশ ঘটিয়েছে।” তবে বিরোধীরা যে যাই বলুক, বামেদের সঙ্গে নিয়েই এবার বড় রণকৌশল সাজিয়েছেন তেজস্বী। ভোটবাক্সে কী হয় এবার সেটাই দেখার।

ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, হিটস্ট্রোক ম্যানেজমেন্টের যাবতীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা এখানে করা হয়েছে। তবে তাঁর পরামর্শ, এমন শুষ্ক গরমের কারণে শরীরে জলের পরিমান কমে যাচ্ছে। সকলের উচিৎ জল খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে। খুব প্রয়োজন না হলে দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৪টে পর্যন্ত বাড়ির বাইরে বেরোনোরও পরামর্শ তাঁর।


তাপপ্রবাহে বাড়ছে অসুস্থের সংখ্যা, এবার 'হিটওয়েভ কর্নার' হাসপাতালে
স্পেশাল ইউনিট 'হিট ওয়েভ কর্নার'


জলপাইগুড়ি: তীব্র গরমে নাজেহাল জনজীবন। তাও ঘাম হলে একরকম। শুকনো গরমে লাগাতার হিট স্ট্রোকের প্রবণতা বেড়েই চলেছে। একাধিক জেলায় হিটস্ট্রোকে মৃত্যুর খবরও আসছে। এবার হিটস্ট্রোকে আক্রান্তদের জন্য বিশেষ ইউনিট চালু হল রাজগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে।


রোজই নিজের রেকর্ড নিজে ভাঙছে গরম। দক্ষিণবঙ্গ হোক বা উত্তরবঙ্গ, দাবদাহে অতিষ্ঠ সকলে। কেন্দ্র, রাজ্য স্বাস্থ্য বিভাগ বারবার সতর্ক করছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে বিভিন্ন হাসপাতালে হিটস্ট্রোক ম্যানেজমেন্টের জন্য স্পেশাল ইউনিট তৈরি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে কারও হিটস্ট্রোক হলে, তিনি দ্রুত পরিষেবা পান।

সেই নির্দেশ মেনে রাজগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে বিশেষ ব্যবস্থা করা হল। ৫ বেডের একটি আলাদা ইউনিট খোলা হয়েছে। রাজগঞ্জ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার রাহুল রায় জানান, তীব্র গরমের ফলে এই সময় হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সে কারণেই স্বাস্থ্য দফতর নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের প্রতিটি গ্রামীণ হাসপাতালে স্পেশাল ইউনিট তৈরি করার জন্য। তা মেনেই রাজগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে এই ব্যবস্থা করা হল।


ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, হিটস্ট্রোক ম্যানেজমেন্টের যাবতীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা এখানে করা হয়েছে। তবে তাঁর পরামর্শ, এমন শুষ্ক গরমের কারণে শরীরে জলের পরিমান কমে যাচ্ছে। সকলের উচিৎ জল খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে। খুব প্রয়োজন না হলে দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৪টে পর্যন্ত বাড়ির বাইরে বেরোনোরও পরামর্শ তাঁর।



দেশ-বিদেশের প্রাক্তন ক্রিকেটারদের মতোই একাধিক ক্রিকেট প্রেমীরা শিবম দুবেকে (Shivam Dube) ভারতের বিশ্বকাপ টিমে দেখতে চাইছেন। ভারতের টি-২০ বিশ্বকাপ (T20 World Cup 2024) টিম ঘোষণার আগে সতর্কবার্তা দিয়েছেন এক প্রাক্তন ক্রিকেটার। তাঁর মতে, 'শিবম দুবেকে ইগনোর করলেই বিপদ...।' দেশের কোন প্রাক্তনী শিবমকে নিয়ে এ কথা বললেন?
 

বিশ্বকাপে ওকে ইগনোর করা অসম্ভব... শিবম দুবে যেন এখন জনতার 'দাবি'
 বিশ্বকাপে ওকে ইগনোর করা অসম্ভব... শিবম দুবে যেন এখন জনতার 'দাবি'


কলকাতা: দেশের মাটিতে চলতি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবলের লড়াই জমে উঠেছে। এরই মাঝে বার বার টি-২০ বিশ্বকাপ নিয়ে আলোচনা চলছে। ইতিমধ্যেই এ বারের কুড়ি-বিশের বিশ্বকাপের জন্য টিম ঘোষণা করেছে নিউজিল্যান্ড। ভারতের বিশ্বকাপ টিমও শীঘ্রই ঘোষণা হওয়ার কথা। এই পরিস্থিতিতে দেশ-বিদেশের প্রাক্তন ক্রিকেটারদের মতোই একাধিক ক্রিকেট প্রেমীরা শিবম দুবেকে (Shivam Dube) ভারতের বিশ্বকাপ টিমে দেখতে চাইছেন। ভারতের টি-২০ বিশ্বকাপ (T20 World Cup 2024) টিম ঘোষণার আগে সতর্কবার্তা দিয়েছেন এক প্রাক্তন ক্রিকেটার। তাঁর মতে, ‘শিবম দুবেকে ইগনোর করলেই বিপদ…।’ দেশের কোন প্রাক্তনী শিবমকে নিয়ে এ কথা বললেন?

এ বারের আইপিএলে ৯টি ম্যাচে খেলে শিবম দুবে ১৭২.৪১ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ৩৫০ রান। তিনি যে দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন, তাতে আসন্ন বিশ্বকাপের জন্য ক্রিকেট প্রেমীরা সিএসকের অলরাউন্ডারের হয়ে ব্যাট ধরেছেন। এই পরিস্থিতিতে ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার আকাশ চোপড়াও সিএসকের শিবম দুবের পক্ষে সওয়াল করলেন। তাঁর মতে, বিশ্বকাপের জন্য ভারতের যে ১৫ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করা হবে, তাতে শিবম দুবেকে অবশ্যই রাখা উচিত।

নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আকাশ চোপড়া বলেছেন, ‘ও যেভাবে খেলছে তা বিরাট চমকপ্রদ ও উত্তেজনাপূর্ণ। আমি বলছি ওকে শুধু বিশ্বকাপ টিমে রাখলেই হবে না। একাদশেও রাখতে হবে। কোনও অধিনায়ক, টিম ম্যানেজমেন্ট বা নির্বাচক ওকে ইগনোর করতে পারবেন না। কারণ ওকে উপেক্ষা করা মানে, এই মুহূর্তে ভারতে ওর চেয়ে ভালো হিটার নেই। আর যদি ওকে টিমে নেওয়া হয়, তা হলে বেঞ্চে বসিয়ে রাখলে কিন্তু ওর প্রতি অবিচার করা হবে।’

আকাশ চোপড়ার পাশাপাশি দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার ইরফান পাঠানও চাইছেন এ বারের বিশ্বকাপের জন্য ভারতীয় টিমে যেন শিবম দুবেকে নেওয়া হয়। রবিবার আইপিএলের ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে সিএসকের তারকা শিবম দুবে ২০ বলে ৩৯ রানের অপরাজিত ইনিংস উপহার দেন। তারপর সোশ্যাল মিডিয়া সাইট X এ ইরফান লেখেন, ‘শিবম দুবেকে ভারতীয় টিমে রাখতেই হবে।’

দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে সোমবার রাতে রয়েছে কেকেআরের ম্যাচ। তার আগে শহরে ছেলে আব্রামকে নিয়ে পৌঁছে গিয়েছেন শাহরুখ খান। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের টিমের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে ইডেনে ব্যাট-বল ও ছেলে আব্রামকে নিয়ে নেমে পড়েছিলেন কিং খান। 

ছেলে আব্রামকে তা হলে কি শাহরুখ খান ক্রিকেটার বানাবেন?

 ইডেনে চলল আব্রামের 'প্র্যাক্টিক্যাল' ক্লাস, ছেলেকে ক্রিকেটার বানাবেন শাহরুখ খান?

ইডেনে চলল আব্রামের 'প্র্যাক্টিক্যাল' ক্লাস, ছেলেকে ক্রিকেটার বানাবেন শাহরুখ খান?


কলকাতা: ক্রিকেটের প্রতি বলিউডের বাদশা শাহরুখ খানের ভালোবাসার কথা কারও অজানা নয়। ব্যাট-বলের প্রেমে পড়েই তিনি কিনেছিলেন আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি কলকাতা নাইট রাইডার্স। টিমকে সমর্থন করতে এ বারের আইপিএলে (IPL) কেকেআরের (KKR) একাধিক ম্যাচে গ্যালারিতে হাজির থাকছেন শাহরুখ খান (Shah Rukh Khan)। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে আজ, সোমবার রাতে রয়েছে কেকেআরের ম্যাচ। তার আগে শহরে ছেলে আব্রামকে নিয়ে পৌঁছে গিয়েছেন শাহরুখ খান। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের টিমের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে ইডেনে ব্যাট-বল ও ছেলে আব্রামকে নিয়ে নেমে পড়েছিলেন কিং খান। ছেলে আব্রামকে তা হলে কি শাহরুখ খান ক্রিকেটার বানাবেন?



ফোন করে আধিকারিকদের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। সৌগত রায়ের আশ্বাস পাওয়ার পর বাসিন্দারা অবরোধ তুলে নেন। তাঁদের অভিযোগ, বর্ষা হলেই পানিহাটিতে জমে জল, আর গরম পড়লে জল পাওয়া যায় না।

 হঠাৎ ঘিরে ধরলেন মহিলারা, মাঝ রাস্তায় নেমেই ফোন সৌগত রায়ের
সৌগত রায়কে ঘিরে বিক্ষোভ


পানিহাটি: সকালে প্রচার সেরে ফিরছিলেন সৌগত রায়। হঠাৎ পানিহাটির শ্যামশ্রী পল্লীতে গাড়ি পৌঁছতেই ঘিরে ধরলেন মহিলারা। কাঠফাটা রোদে এতজন মহিলাকে এভাবে বিক্ষোভ দেখাতে দেখে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন সৌগত রায়। তাঁকে দেখে এগিয়ে আসেন মহিলারা। রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন তাঁরা। তাপমাত্রার পারদ যখন ৪০ ডিগ্রি পার করে ফেলেছে, সেই পরিস্থিতির মধ্য়েই নাকি ৬ দিন জল ছাড়া কাটাতে হচ্ছে ওই এলাকার মানুষজনকে। এ কথা জানিয়েই সোমবার সকালে বিক্ষোভ দেখান ওই মহিলারা।


পানিহাটির ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত শ্যামশ্রী পল্লীতে ৬ দিন ধরে জল পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ। জলের দাবিতে কদমতলা মোড়ে রাস্তা অবরোধ করে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা। বিক্ষোভের মুখে পড়েন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সৌগত রায়। তিনি শুধু প্রার্থীই নন, তিনি দমদম কেন্দ্রের তিন বারের সাংসদ। তাঁকে ঘিরে মহিলারা প্রশ্ন করতে থাকেন, “কবে জল পাব? কোথায় জানাব বারবার জানিয়েছি, তারপরও একটাও ট্যাঙ্ক পর্যন্ত নেই।”

সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়েই পুরসভায় ফোন করেন সৌগত। ফোন করে আধিকারিকদের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। সৌগত রায়ের আশ্বাস পাওয়ার পর বাসিন্দারা অবরোধ তুলে নেন। তাঁদের অভিযোগ, বর্ষা হলেই পানিহাটিতে জমে জল, আর গরম পড়লে জল পাওয়া যায় না। স্থায়ী সমাধান কীভাবে হবে, সেই প্রশ্নই তুলছেন তাঁরা।


সৌগত রায় বলেন, “প্রচার সেরে ফেরার সময় দেখলাম পথ অবরোধ হয়েছে। ৬ দিন ধরে জল নেই শুনলাম। আমি সঙ্গে সঙ্গে পুরসভা আর কেএমডিএ-র সঙ্গে কথা বলেছি। কাউন্সিলররা এসেছিলেন। সবাই বোঝানের পর ওরা বিক্ষোভ তুলে নিয়েছে।”

রাজ্যের তরফে শীর্ষ আদালতে জানানো হয়েছে, হাইকোর্টের নির্দেশে এমন কিছু পর্যবেক্ষণ ছিল যা রাজ্যের বিরোধিতা করে করা হয়েছে। সেই কারণেই রাজ্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে।

শুধুমাত্র একজনের জন্য কেন সুপ্রিম কোর্টে ছুটল রাজ্য? সন্দেশখালি-মামলায় প্রশ্ন বিচারপতির
সন্দেশখালি-মামলা


নয়া দিল্লি: সন্দেশখালি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করায় কার্যত তিরস্কারের মুখে পড়তে হল রাজ্য সরকারকে। কেন শুধুমাত্র একজনের জন্য রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে, সেই প্রশ্নও তুলেছে শীর্ষ আদালত। সোমবার বিচারপতি বি আর গাভাই ও বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চে ছিল শুনানি। মামলার শুনানি এদিন মুলতুবি হয়ে গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। পরবর্তী শুনানি হবে গ্রীষ্মকালীন ছুটির পর, জুলাই মাসে হবে। সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন, এই যুক্তিতে যাতে হাইকোর্টে দেখানো না হয়, সে ব্যাপারেও এদিন সতর্ক করেছে ডিভিশন বেঞ্চ।


রাজ্যের তরফে শীর্ষ আদালতে জানানো হয়েছে, হাইকোর্টের নির্দেশে এমন কিছু পর্যবেক্ষণ ছিল যা রাজ্যের বিরোধিতা করে করা হয়েছে। সেই কারণেই রাজ্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। রাজ্যের বক্তব্য, গত ১০ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্ট সন্দেশখালি মামলায় যে নির্দেশ দিয়েছে, তাতে পুলিশ ও রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের করা আবেদনে বলা হয়েছে, সিবিআই-কে সাহায্য করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সিবিআই-কে। হাইকোর্টের এই নির্দেশের ফলে সন্দেশখালি এলাকার যে কোনও ঘটনার তদন্ত করতে পারবে সিবিআই।


সন্দেশখালি মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। তারই বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। সন্দেশখালিতে জমি দখল এবং মহিলাদের নির্যাতনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।

 ৯ বারের বিধায়ক ছিলেন সাধন পাণ্ডে। ২০২১ সালে তিনি জয়ী হওয়ার পর ওই কেন্দ্রের নির্বাচনের ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেন বিরোধী দলের প্রার্থী কল্যাণ চৌবে। ২০২২ সালে শারীরিক অসুস্থতার কারণে মৃত্যু হয় সাধন পাণ্ডের। কিন্তু মামলার কারণে এখনও উপ নির্বাচন হয়নি ওই কেন্দ্রে।

 এবার কি মানিকলায় হবে ভোট? মামলা তুলে নিতে চান কল্যাণ
কল্যাণ চৌবে ও প্রয়াত সাধন পাণ্ডে


কলকাতা: প্রায় দু’বছর ধরে চলছে মামলা। ফলে সাধন পাণ্ডের মৃত্যুর পরও আইনি-জটে আটকে রয়েছে মানিকতলার ভোট। অবশেষে সেই জট কাটতে চলেছে মানিকতলায়। বিজেপি নেতা কল্যাণ চৌবে এবার সাধন পাণ্ডের বিরুদ্ধে করা সেই মামলা তুলে নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। সোমবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে ছিল এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি। আদালত আগামী ৯ মে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে। ওইদিন আদালত বিষয়টি বিবেচনা করে প্রত্যাহারের বিষয়ে অনুমতি দেবে।


আপাতত ওই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব চলছে। সাধন পাণ্ডের মৃত্যুর পর থেকে মানিকতলায় নেই কোনও বিধায়ক। পদ পূরণে উপ নির্বাচনও হয়নি। মামলার জটেই আটকে রয়েছে সে ভোট। এবার মামলা প্রত্যাহার করা হলে, ভোট গ্রহণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

৯ বারের বিধায়ক ছিলেন সাধন পাণ্ডে। ২০২১ সালে তিনি জয়ী হওয়ার পর ওই কেন্দ্রের নির্বাচনের ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেন বিরোধী দলের প্রার্থী কল্যাণ চৌবে। ২০২২ সালে শারীরিক অসুস্থতার কারণে মৃত্যু হয় সাধন পাণ্ডের। কিন্তু মামলার কারণে এখনও উপ নির্বাচন হয়নি ওই কেন্দ্রে।


কল্যাণ চৌবে অভিযোগ তুলেছিলেন, ওই কেন্দ্রের মহিলাদের ৫০০ টাকা করে ঘুষ দেওয়া হয়েছিল, ভোটারদের নানাভাবে ভয় দেখানো হয়েছিল, শাসকদল ভোটে গণ্ডগোল করেছিল। এই সব অভিযোগেই চলছিল মামলা।

এদিনের শুনানির পর তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, অকারণে প্রচুর সময় নষ্টের পর আদালতে পরাজয় নিশ্চিত জেনে মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে মামলা তুলে নিলেন বিজেপির কল্যাণ চৌবে। লোকসভা ভোটের পরই ওই আসনে ভোট হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এদিন চুঁচুড়া ঘড়ির মোড় থেকে ঢাক বাজিয়ে হুড খোলা গাড়িতে চড়ে খাদিনামোড় পর্যন্ত শোভাযাত্রা সহকারে মনোনয়ন জমা দিতে যান তৃণমূল প্রার্থী। জেলাশাসক মুক্তা আর্যর কাছে মনোনয়ন জমা দেন রচনা।

বুকে ছবি নিয়েই হাজির হলেন রচনার স্বামী, দিলেন 'সারপ্রাইজ', কী বললেন স্ত্রী'কে নিয়ে?
হাজির রচনার স্বামী


হুগলি: তৃণমূল টিকিট দেওয়ার পর থেকেই হুগলিতে ঘুরে ঘুরে প্রচার করছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তাঁর কেন্দ্রের ভোটও এগিয়ে আসছে। আগামী ২০ মে পঞ্চম দফায় হবে রচনার ভাগ্য পরীক্ষা। এরই মধ্য়ে একেবারে নতুন চমক! সোমবার সকালে হাজির হলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বামী। সঙ্গে ছিল আরও চমক। স্বামীর পরণে সাদা পাঞ্জাবীতে বুকের কাছে আঁকা অভিনেত্রী তথা রাজনীতিক রচনার ছবি। এদিন মনোনয়ন জমা দেন রচনা। তাঁর পাশেই দেখা যায় তাঁর স্বামী প্রবাল বসুকে।


এই বিশেষ দিনে স্বামীকে পাশে পেয়ে খুশি রচনা। তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী, আমার ছোটবেলার বন্ধুরাও এসেছে। আমার বন্ধুরাই আমার কাছে বাড়তি অক্সিজেন। তাঁরা তৃণমূলের প্রতীক ও আমার ছবি আঁকা পোশাক পরে এসেছে, এটা আমার কাছে একটা সারপ্রাইজ গিফট।’

স্ত্রীর সাফল্য নিয়ে যে তিনি কতটা আশাবাদী, সেটাই বোঝালেন প্রবাল বসু। তিনি বলেন, “রচনা স্বাধীনচেতা। ও যেটা করে, সেটা নিজের ইচ্ছেশক্তি দিয়েই করে। আজ পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই ও সাফল্য পেয়েছে। তাই ও নিজেই এই ক্ষেত্রেও সাফল্য আনতে পারবে, আমাদের কাজ শুধু শুভ কামনা করা, সেটাই করব।” তিনি জানান, রচনার এক ছোটবেলার বন্ধু এই পোশাক তৈরি করেছেন। সেটা পরেই সবাই চমক দিয়েছেন রচনাকে।


জানা যায়, একসঙ্গে না থাকলেও স্বামী প্রবাল বসুর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়নি রচনার। তাঁদের সন্তানের দায়িত্বও তাঁরা ভাগ করে নেন।

এদিন চুঁচুড়া ঘড়ির মোড় থেকে ঢাক বাজিয়ে হুড খোলা গাড়িতে চড়ে খাদিনামোড় পর্যন্ত শোভাযাত্রা সহকারে মনোনয়ন জমা দিতে যান তৃণমূল প্রার্থী। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্বামী প্রবাল বসু, মন্ত্রী বেচারাম মান্না, বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত, অসীমা পাত্র, অসিত মজুমদার প্রমুখ। জেলাশাসক মুক্তা আর্যর কাছে মনোনয়ন জমা দেন রচনা।



হলফনামায় উল্লেখ করা তথ্য অনুযায়ী, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে রয়েছে নগদ ৪৭ হাজার টাকা আর তাঁর স্ত্রীর হাতে রয়েছে ৪৬ হাজার টাকা। এছাড়া প্রাক্তন আইপিএসের একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট মিলিয়ে জমা রয়েছে ৪ লক্ষ ৯৩ হাজার ৫২৬ টাকা।

মোটা বেতনের IPS ছিলেন, কত সম্পত্তির 'মালিক' তৃণমূলের প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের
প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়

ভোটের আগে রাজ্য পুলিশের পদে থেকে ইস্তফা দিয়ে রাজনীতির ময়দানে পা দিয়েছেন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। মালদহ উত্তর লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে ভোটে লড়ছেন প্রাক্তন আইপিএস। ৫৪ বছর বয়সেই আইপিএস পদ থেকে স্বেচ্ছাবসর নিয়েছেন তিনি। রায়গঞ্জের ডিআইজি পদে ছিলেন তিনি, পরে দক্ষিণ দিনাজপুরের পুলিশ সুপারের দায়িত্বও সামলেছেন। লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফায় ভাগ্যপরীক্ষা হবে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কত সম্পত্তি আছে প্রাক্তন আইপিএসের?


পুলিশের চাকরিই ছিল প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মূল আয়ের উৎস। হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে সে কথা। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তিনি আয় করেছেন ২০ লক্ষ ৬৭ হাজার ৯২০ টাকা। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে তাঁর আয় ছিল ১৯ লক্ষ ৪২ হাজার ৮৫০ টাকা, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ১৭ লক্ষ ৩৮ হাজার ৩৩০ টাকা আয় করেছিলেন তিনি। প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের আয় ছিল ১৪ লক্ষ ৯৩ হাজার ১৪০ টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে তাঁর আয় ছিল ১৫ লক্ষ ৩৫ হাজার ৭৪৭ টাকা। প্রসূনের স্ত্রী মামন বন্দ্যোপাধ্যায় পেশায় আইনজীবী। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তিনি আয় করেছেন ২৫ লক্ষ ৮০ হাজার ৮৯০ টাকা।

হলফনামায় উল্লেখ করা তথ্য অনুযায়ী, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে রয়েছে নগদ ৪৭ হাজার টাকা আর তাঁর স্ত্রীর হাতে রয়েছে ৪৬ হাজার টাকা। এছাড়া প্রাক্তন আইপিএসের একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট মিলিয়ে জমা রয়েছে ৪ লক্ষ ৯৩ হাজার ৫২৬ টাকা। এলআইসি সহ তাঁর ও তাঁর স্ত্রীর একাধিক বিমা রয়েছে।


প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের নামে নেই কোনও গাড়ি। তবে তাঁর স্ত্রীর রয়েছে একটি ‘এক্স ইউ ভি জিপ’, যা ২০২২ সালে ২২ লক্ষ ৯১ হাজার টাকা দিয়ে কেনা হয়েছিল। সোনা বলতে প্রসূনের রয়েছে একটি সোনার চেন ও একটি আংটি। আর স্ত্রীর রয়েছে হার, আংটি, বালা সহ মোট ১৩৭ গ্রাম সোনা, যার মূল্য ৮ লক্ষ ৭৭ হাজার টাকা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রসূনের মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৫০ লক্ষ ৫২ হাজার ১৪১ টাকা। আর তাঁর স্ত্রীর রয়েছে ৯৫ লক্ষ ৭২ হাজার ৯৫৯ টাকার অস্থাবর সম্পত্তি।


এক চাকরিপ্রার্থীর কথায়, "সুপ্রিম কোর্টে তো সব পক্ষই গিয়েছে। এসএসসি, চাকরিহারা, রাজ্য সকলেই গিয়েছে। আমরাও যারা ওয়েটিং লিস্টে আছি, নিজেদের বঞ্চিত বলেই মনে করি, আমরাও যাব। আমাদের মনে হয় একটা প্যানেলে সতেরো রকমের দুর্নীতি হয়েছে। 

এসএসসি নিজে তার জায়গা পরিষ্কার করছে যে 'যোগ্যদের মধ্যেও কতজন অযোগ্য আছে সেটাও আমরা সঠিকভাবে বলতে পারছি না'। আমরা চাকরিপ্রার্থীরা মনে করি বেনিফিট অব ডাউট যোগ্যরা থাকুক, ওয়েটিং লিস্টে যারা আছে তাদেরও নিয়োগ দেওয়া হোক।"
এবার সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন ওয়েটিং লিস্টে থাকা এসএলএসটি চাকরি প্রার্থীরা
এবার সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা জানালেন ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরি প্রার্থীরা।

কলকাতা: এবার সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করল ধর্মতলায় ধরনায় বসা ২০১৬ সালের এসএলএসটি নবম-দ্বাদশ চাকরিপ্রার্থীরা। ১ হাজার ১৪২ দিন ধরে ধরনাতলায় বসে তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, যোগ্য কারা, অযোগ্য কারা তা স্কুল সার্ভিস কমিশন না জানানোর কারণেই যত বিপত্তি। চাকরিপ্রার্থীদের আশা, সুপ্রিম কোর্টে সুবিচার পাবেন তাঁরা। চলতি সপ্তাহেই দেশের শীর্ষ আদালতে যাবেন বলে জানালেন।

এক চাকরিপ্রার্থীর কথায়, “সুপ্রিম কোর্টে তো সব পক্ষই গিয়েছে। এসএসসি, চাকরিহারা, রাজ্য সকলেই গিয়েছে। আমরাও যারা ওয়েটিং লিস্টে আছি, নিজেদের বঞ্চিত বলেই মনে করি, আমরাও যাব। আমাদের মনে হয় একটা প্যানেলে সতেরো রকমের দুর্নীতি হয়েছে। এসএসসি নিজে তার জায়গা পরিষ্কার করছে যে ‘যোগ্যদের মধ্যেও কতজন অযোগ্য আছে সেটাও আমরা সঠিকভাবে বলতে পারছি না’। আমরা চাকরিপ্রার্থীরা মনে করি বেনিফিট অব ডাউট যোগ্যরা থাকুক, ওয়েটিং লিস্টে যারা আছে তাদেরও নিয়োগ দেওয়া হোক।”

এখনও পর্যন্ত কমিশনের তরফে সরকারিভাবে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। শিক্ষা দফতর থেকেও এখনও পর্যন্ত কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে এসএসসি সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, কমিশন প্রত্যেক যোগ্য ব্যক্তির ওএমআর ও অন্যান্য মাপকাঠি খতিয়ে দেখতে প্রস্তুত।

এতদিনে SSC বলছে যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করবে, কীভাবে সম্ভব হবে...
এসএসসি মামলার শুনানি


কলকাতা: এসএসসি নিয়োগ মামলায় সোমবার সুপ্রিম কোর্টে স্কুল সার্ভিস কমিশন জানিয়েছে, তারা যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করতে প্রস্তুত। কিন্তু কীভাবে এই যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করা যাবে? তা নিয়ে আজ প্রশ্ন উঠেছে আদালতেও। ওএমআর শিট না থাকলে যোগ্য-অযোগ্য আলাদা হবে কীভাবে, সেই নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, এর আগে হাইকোর্টে এসএসসি হলফনামা দিয়েছিল কারা বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছে। কিন্তু বাকিরা যে যোগ্য, সেই সার্টিফিকেট দিতে পারেননি কমিশনের চেয়ারম্যান। তাহলে আজ কীভাবে যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন?

এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত কমিশনের তরফে সরকারিভাবে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। শিক্ষা দফতর থেকেও এখনও পর্যন্ত কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে এসএসসি সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, কমিশন প্রত্যেক যোগ্য ব্যক্তির ওএমআর ও অন্যান্য মাপকাঠি খতিয়ে দেখতে প্রস্তুত। তাই তারা যোগ্য ও অযোগ্য আলাদা করার কথা বলেছে। অর্থাৎ, সিবিআইয়ের বাজেয়াপ্ত করা ওএমআর শিটের উপর ভরসা করে, সেগুলি পুনর্মূল্যায়ন করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, এর সঙ্গে মাধ্যমিকের নম্বর, উচ্চ মাধ্যমিকের নম্বর, ইন্টারভিউয়ের নম্বর মিলিয়ে কমিশন একটি তালিকা দিতে প্রস্তুত। যে তালিকায় কমিশন জানাতে চাইছে, তাদের আপাত দৃষ্টিতে ওই তালিকাভুক্তরা যোগ্য।

সঙ্গে সিবিআইয়ের বাজেয়াপ্ত করার ওএমআর শিটের ভিত্তিতে একইরকমভাবে ‘অযোগ্যদের’ একটি তালিকাও বানাতে প্রস্তুত কমিশন।এখনও পর্যন্ত এসএসসি সূত্র মারফত যা খবর, তারা যত দ্রুত সম্ভব এই তালিকা তৈরি করে ফেলতে চাইছে এবং আগামী শুনানিতেই এই যোগ্য-অযোগ্য তালিকা আদালতে দিতে চাইছে স্কুল সার্ভিস কমিশন।



বাবু হামি গরিব আদমি আছে!' এই সংলাপ বলেই বাঙালি দর্শকের মনের ভিতরে ঢুকে পড়েছিলেন থিয়েটার অভিনেতা উদয় শঙ্কর পাল। চরিত্রের নাম ছিল আত্মারাম। পরিচালক অনীক দত্তর প্রথম ছবি 'ভূতের ভবিষ্যৎ'-এ গরিব হাতে-টানা রিকশাওয়ালার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। 

ভীষণ অসুস্থ তিনি। ক্যানসার হয়েছে অভিনেতার। শুনেই তাঁর পাশে গিয়ে দাঁড়ালেন অনীক।

আত্মারামের ক্যানসার, অবস্থা ভাল না; পাশে পেলেন 'ভূতের ভবিষ্যৎ'-এর পরিচালক অনীক দত্তকে
আত্মারাম, তথা উদয় শঙ্কর পাল।


২০১২ সাল। মুক্তি পায় পরিচালক অনীক দত্তর প্রথম ছবি ‘ভূতের ভবিষ্যৎ’। প্রথম ছবিতেই ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন এই পরিচালক। কাস্ট করেছিলেন একাধিক অভিনেতাকে। সেই তালিকাতে ছিলেন থিয়েটারের অভিনেতা উদয় শঙ্কর পালও। এক গরিব বিহারী হাতে-টানা রিকশাওয়ালার চরিত্রে তাঁকে দেখে দর্শক। অভিনেতার বিখ্যাত সংলাপ ছিল, ‘বাবু আমি গরিব আদমি হ্যায়’। ছবিতে ফুটে উঠেছিল শ্রেণি বৈষম্যের একটা চিত্র। ফলে বারবার এই সংলাপ ঘুরে ফিরে এসেছিল উদয় শঙ্করের মুখে। তাঁর চরিত্রের নাম ছিল আত্মারাম। সেই আত্মরাম খুব অসুস্থ। তিনি ক্যানসার রোগে আক্রান্ত। চিকিৎসকেরা বলে দিয়েছেন, তৃতীয় স্টেজ।


পরিচালক অভিজিৎ পাল এই মর্মস্পর্শী খবরটি শেয়ার করেছেন ফেসবুকে। উদয় শঙ্কর পালের একটি ছবিও শেয়ার করেছেন অভিজিৎ। এবং লিখেছেন, “আমার প্রিয় উদয়দা। আমাদের সব্বার প্রিয় আত্মারাম। একজন মারাত্মক চরিত্রাভিনেতা। এত আড্ডা, এত স্ক্রিপ্ট নিয়ে কাঁটাছেড়া। এত ভাবনা, এত পথচলা। গত দু’দিন আগে জানতে পারা মারণরোগ ক্যানসার তোমাকে থমকে দিয়েছে। লাস্ট স্টেজ। এই তো ক’দিন আগে আমার পরবর্তী সিনেমা নিয়ে এত কথা হল। সেভাবে তোমাকে নিয়ে কেউ লিড হিসেবে কোনওদিন কাজ করেননি। আমি চেষ্টা করছিলাম একটা পুরো সিনেমা জুড়ে তোমাকে আঁকতে। গত তিন বছর ধরে তোমাকে নিয়ে এই চিত্রনাট্য নিয়ে কাজ করছি। মন ভীষণ ভারী। তুমি জানি না আর কতদিন আছ! আমাদের নতুন ছবির কাজ (যা গত তিন বছর ধরে সাজিয়েছি) এই মাসের শেষ থেকেই শুরু হওয়ার কথা ছিল । গরমের জন্য কটাদিন পিছাতে বললে, তোমার ফোন কি আর আসবে উদয়দা?”

এখনও পর্যন্ত সাড়া ফেলার মতো কোনও ছবিই উপহার দিতে পারেননি অর্জুন। সঠিক সময়ের অপেক্ষায় আছেন তিনি। এর মধ্যেই মুম্বইয়ে নিজের অ্যাক্টিং স্কুল খুলেছেন অর্জুন। সেই খবর সামনে আসতেই হাসির রোল নেটপাড়ায়।

অর্জুন কাপুরের অ্যাক্টিং স্কুল! হাসির রোল নেটপাড়ায়, 'ও তো নিজেই পারে না...'
অর্জুন কাপুর।


মুম্বইয়ে একটি অ্যাক্টিং স্কুল আছে অভিনেতা অর্জুন কাপুরের। তিনি প্রযোজক বনি কাপুরের পুত্র। ‘ইশকজ়াদে’ ছবিতে ডেবিউ করেছিলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার বোন পরিণীতি চোপড়ার সঙ্গে। ‘কি অ্যান্ড কা’, ‘গুন্ড’-এর মতো ছবিতেও তাঁকে দেখা গিয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সাড়া ফেলার মতো কোনও ছবিই উপহার দিতে পারেননি অর্জুন। সঠিক সময়ের অপেক্ষায় আছেন তিনি। এর মধ্যেই মুম্বইয়ে নিজের অ্যাক্টিং স্কুল খুলেছেন অর্জুন। সেই খবর সামনে আসতেই হাসির রোল নেটপাড়ায়।


অনেকেই অর্জুনকে কটাক্ষ করেছেন অ্যাক্টিং স্কুল খোলার জন্য। বলেছেন, “নিজেই অ্যাক্টিং করতে পারে না, লোককে কীভাবে অভিনয় শেখাবেন!” কেউ আবার বলেছেন, “হে ভগবান, আমাকে তুলে নিন। এই দিনও দেখতে হবে।”




 ‘প্রথম বার সামনে থেকে স্যালুট করার সুযোগ পেলাম’, বলছেন জুড়েল

স্যালুট সেলিব্রেশনের কারণও জানিয়েছিলেন ধ্রুব জুড়েল। তাঁর বাবা সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। সীমান্তে যেমন লড়াই করতে হয়েছে, তেমনই ধ্রুব জুড়েলকে ক্রিকেটার বানাতেও। টেস্ট ক্রিকেটে তাই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হাফসেঞ্চুরির পর বাবাকে সম্মান জানাতেই স্যালুট করেছিলেন। কিন্তু সামনাসামনি! সেই সুযোগও এল। এ বারের আইপিএলে সেই অর্থে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি।

প্রথম বার সামনে থেকে স্যালুট করার সুযোগ পেলাম', বলছেন জুড়েল


ভারত-ইংল্য়ান্ড টেস্ট সিরিজের কথা এত তাড়াতাড়ি কারও ভোলার নয়। বেশ কিছু তরুণ মুখ পেয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট। এর মধ্যে অন্য়তম ধ্রুব জুড়েল। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট অভিষেক। রাঁচি টেস্টে ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেছিলেন। নজর কেড়েছিল তাঁর স্য়ালুট সেলিব্রেশন। গত বারের আইপিএলে হাতে গোনা সুযোগ পেয়েছিলেন। নজরও কাড়েন। ভারত এ দলের হয়ে ভালো খেলেন। টেস্টে সুযোগ মেলে।


স্যালুট সেলিব্রেশনের কারণও জানিয়েছিলেন ধ্রুব জুড়েল। তাঁর বাবা সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। সীমান্তে যেমন লড়াই করতে হয়েছে, তেমনই ধ্রুব জুড়েলকে ক্রিকেটার বানাতেও। টেস্ট ক্রিকেটে তাই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হাফসেঞ্চুরির পর বাবাকে সম্মান জানাতেই স্যালুট করেছিলেন। কিন্তু সামনাসামনি! সেই সুযোগও এল। এ বারের আইপিএলে সেই অর্থে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি। লখনউয়ের বিরুদ্ধে চাপের মুহূর্তে নামলেন।


ক্যাপ্টেন সঞ্জু স্যামসনের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ১২১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। টি-টোয়েন্টি কেরিয়ারের প্রথম হাফসেঞ্চুরির পরই পরিচিত সেই স্যালুট সেলিব্রেশন। ম্যাচ শেষে আবেগে ভাসলেন ধ্রুব জুড়েল। বলেন, ‘ম্যাচটা শেষ করে আসচে চেয়েছিলাম। সঞ্জু ভাই বলে, চাপ না নিতে। পরিস্থিতি বুঝে শট খেলতে। এই স্যালুট সেলিব্রেশন বাবার জন্যই করি। টেস্ট ম্যাচেও করেছিলাম। কিন্তু বাবার সামনে সেই সুযোগ হয়নি। আজ বাবা স্ট্যান্ডে ছিল। প্রথম বার তার সামনে স্যালুট করার সুযোগ পেলাম।’



স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর উজ্জ্বল নিকম একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলা লড়েছেন। তার মধ্যে অন্যতম হল মুম্বইয়ে ২৬/১১ জঙ্গি হামলার মামলা। গোটা দেশের নজর ছিল সেই মামলায়। বহু চর্চিত ওই মামলায় সরকারি আইনজীবী ছিলেন নিকম। ২৬/১১ হামলার একমাত্র জীবিত জঙ্গি আজমল কাসভকে ফাঁসিতে চড়ানোর নেপথ্যে অন্যতম কারিগর তিনিই।

কাসভকে ফাঁসিকাঠে নিয়ে যেতে উজ্জ্বল ভূমিকা, এবার তাঁকেই প্রার্থী করল বিজেপি
২৬/১১ মামলার সরকারি আইনজীবী


মুম্বই: লোকসভা ভোটে আরও এক বড় চমক দিল বিজেপি। মহারাষ্ট্রের উত্তর-মধ্য মুম্বই লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হল আইনজীবী উজ্জ্বল দেওরাও নিকমকে। স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর উজ্জ্বল নিকম একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলা লড়েছেন। তার মধ্যে অন্যতম হল মুম্বইয়ে ২৬/১১ জঙ্গি হামলার মামলা। গোটা দেশের নজর ছিল সেই মামলায়। বহু চর্চিত ওই মামলায় সরকারি আইনজীবী ছিলেন নিকম। ২৬/১১ হামলার একমাত্র জীবিত জঙ্গি আজমল কাসভকে ফাঁসিতে চড়ানোর নেপথ্যে অন্যতম কারিগর তিনিই। এবার সেই উজ্জ্বল দেওরাও নিকমকে লোকসভা ভোটে উত্তর-মধ্য মুম্বই থেকে দাঁড় করাল বিজেপি। এবারের ভোটে এটি একটি অন্যতম বড় চমক বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।


উল্লেখ্য, মোদী জমানার সময় থেকেই এই লোকসভা কেন্দ্রটি বিজেপির দখলে। ২০১৪ সালে এখান থেকে সাংসদ হয়েছিলেন পুনম মহাজন। উনিশের ভোটেও তাঁকেই প্রার্থী করা হয়েছিল। জিতেও ছিলেন। টানা দু’বারের সাংসদকে এবার উত্তর-মধ্য মুম্বই লোকসভা আসন থেকে সরিয়ে নতুন মুখ নিয়ে এল পদ্ম শিবির। প্রার্থী করা হল ২৬/১১ মুম্বই হামলার মামলায় সরকারি আইনজীবী উজ্জ্বল দেওরাও নিকমকে।


আইনজীবী মহলে উজ্জ্বল দেওরাও নিকমকে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ সংক্রান্ত মামলার ‘মাস্টার’ বলা হয়। বলা হয়ে থাকে, কোনও অপরাধী কোনও অবস্থাতেই তাঁর হাত থেকে নিস্তার পান না। এখনও পর্যন্ত ৬২৮ জন অপরাধীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে তাঁর জোরদার সওয়ালে। ফাঁসির সাজা করিয়েছেন ৩৭ জনকে। ২৬/১১ মুম্বই হামলায় ধরা পড়া একমাত্র জীবিত জঙ্গি আজমল কাসভের মামলায় সরকারি আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি।

শুভমন গিলের নেতৃত্বাধীন গুজরাট টাইটান্স পয়েন্ট টেবলে কিছুটা ভালো জায়গায়। তবে একেবারেই ধারাবাহিক নয়। গত ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে জয়ের খুব কাছ থেকে ফিরেছে টাইটান্স। ঋষভদের সেই ম্যাচে লজ্জার রেকর্ড গড়েছেন টাইটান্সের অভিজ্ঞ পেসার মোহিত শর্মা। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এক ম্যাচে সর্বাধিক রান দেওয়ার নজির।


প্রিন্স বনাম কিং! টিকে থাকার লড়াইয়ে টাইটান্সের সামনে আরসিবি


ভারতীয় ক্রিকেটের কিং এবং প্রিন্স। আমেদাবাদে মুখোমুখি বিরাট কোহলি ও শুভমন গিল। দু-জনের ফর্ম ওঠানামা করছে। তেমনই টিমের পারফরম্যান্সও। টানা ছয় ম্যাচ হেরে খাদের কিনারায় ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। সেখান থেকে খুব একটা উন্নতি হয়েছে তা নয়। তবে টানা সাতটি হারের লজ্জা কাটিয়েছে। গত ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে তাদেরই ঘরের মাঠে হারিয়েছে আরসিবি। সেটাই যেন অক্সিজেন।


শুভমন গিলের নেতৃত্বাধীন গুজরাট টাইটান্স পয়েন্ট টেবলে কিছুটা ভালো জায়গায়। তবে একেবারেই ধারাবাহিক নয়। গত ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে জয়ের খুব কাছ থেকে ফিরেছে টাইটান্স। ঋষভদের সেই ম্যাচে লজ্জার রেকর্ড গড়েছেন টাইটান্সের অভিজ্ঞ পেসার মোহিত শর্মা। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এক ম্যাচে সর্বাধিক রান দেওয়ার নজির।

টাইটান্স টিমে সবচেয়ে বড় অস্বস্তি কম্বিনেশন। প্রতিনিয়ত নানা বদল। সেরা কম্বিনেশন এখনও খুঁজে পায়নি টাইটান্স। সেটাই যেন বড় সমস্যা। তার উপর ক্যাপ্টেন শুভমন গিলের ফর্ম আরও বড় চিন্তার। আইপিএলের মতো বড় মঞ্চেই নেতৃত্বের হাতেখড়ি শুভমন গিলের। দুই ভূমিকা পালন তাঁর জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে, আপাত দৃষ্টিতে তেমনই মনে হয়। প্রিন্সের যেমন ফর্ম চিন্তার, কিং কোহলির স্ট্রাইকরেট তেমনই। পেসারদের বিরুদ্ধে যাও বা কিছুটা আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে পারছেন, স্পিনারদের বিরুদ্ধে অস্বস্তিতে দেখাচ্ছে বিরাটকে।


গত ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন বিরাট কোহলি। এ বারের আইপিএলে অরেঞ্জ ক্যাপের দৌড়েও রয়েছেন। যদিও গত ম্যাচে তাঁর মন্থর ইনিংস বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সুনীল গাভাসকরের মতো কিংবদন্তির কাছেও। আমেদাবাদে একদিকে যেমন দুই নড়বড়ে টিমের লড়াই তেমনই বর্তমান ও ভবিষ্যৎ তারকার।

ভোটের রেজাল্টের এখনও ঢের দেরি। সবে দুই দফার ভোট হয়েছে। বাকি এখনও পাঁচ দফা। তবে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিরোধীদের ইন্ডিয়া জোটকে কটাক্ষ করে ফুটবলের পরিভাষায় জানিয়ে দিলেন, '২-০ গোলে এগিয়ে রয়েছে এনডিএ'।

 '২-০ গোলে এগিয়ে NDA', সেট পিস থেকে দূরপাল্লার শট মোদীর
নরেন্দ্র মোদী

 সাত দফার ভোট। সবে দ্বিতীয় দফা হয়েছে। কিন্তু দুই দফার ভোট দেখেই বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিরোধীদের ইন্ডিয়া জোটকে কটাক্ষ করে ফুটবলের পরিভাষায় জানিয়ে দিলেন, ‘২-০ গোলে এগিয়ে রয়েছে এনডিএ’। ভোটের চূড়ান্ত ফল ঘোষণা হতে এখনও ঢের দেরি। সব দফার শেষে ৪ জুন ঘোষণা হবে ভোটের রেজাল্ট। তবে প্রথম দুই দফার ভোটের পর সমীকরণ কেমন, তা বেশ আত্মবিশ্বাসী সুরেই জানিয়ে দিলেন মোদী।


শনিবার মহারাষ্ট্রের কোলাপুরে ভোটের প্রচারে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সভা থেকেই মোদী বলেন, “কোলাপুরকে বলা হয় মহারাষ্ট্রের ফুটবল হাব। এখানে যুব সমাজের মধ্যে ফুটবল অত্যন্ত জনপ্রিয়। যদি আমাকে ফুটবলের পরিভাষায় বলতে হয়, তাহলে গতকাল দ্বিতীয় দফার ভোটের শেষে বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ জোট ২-০ -তে এগিয়ে রয়েছে।” লোকসভা ভোটের আবহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।


উল্লেখ্য, ভোট রাজনীতিতে বাংলায় ‘খেলা হবে’ স্লোগান অত্যন্ত চর্চিত। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঁধে দেওয়া সুরে ঘাসফুল শিবিরের ছোট-বড়-মাঝারি সব মাপের নেতা-নেত্রীদের গলায় শোনা যায় ‘খেলা হবে’ স্লোগান। তবে এবার মহারাষ্ট্রে ভোটের প্রচার থেকে একেবারে দূরপাল্লার শট হাঁকিয়ে বল জালে জড়ালেন মোদী।



হাঁটুর বয়সিদের হারিয়ে ৬০ বছরে সেরা সুন্দরীর মুকুট জিতলেন আলেজান্দ্রা
৬০ বছরের আলেজান্দ্রা রগরিগেজ।

কথায় বলে বয়স শুধুমাত্র নম্বর। যদিও এ কথা উঠলেই বেধে যায় তর্ক! সিংহভাগই বলেন, বয়স তার ছাপ চেহারায় ফেলবেই। তবে এসব কথাকেই ভুল প্রমাণ করে দিলেন ৬০ বছর বয়সি আইনজীবী ও সাংবাদিক আলেজান্দ্রা রগরিগেজ। মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় নিজের প্রদেশে আক্ষরিক অর্থেই হাঁটুর বয়সি সুন্দরীদের হারিয়ে জিতে নিলেন সেরার শিরোপা। ইতিহাস তৈরি হল ফুটবলের দেশ আর্জেন্টিনায়।


ট্যাঙ্গোর শহর বুয়েনস আইয়ারেজের সেরা সুন্দরীর শিরোপা জিতেছেন আইনজীবী আলেজান্দ্রা। একইসঙ্গে তিনিই প্রথম নারী, যিনি ৬০ বছর বয়সে প্রথম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার পথে পা বাড়ালেন। আপাতত আলেজান্দ্রা মিস ইউনিভার্স আর্জেন্টিনা হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

এই শিরোপা জিতে আলেজান্দ্রা আপ্লুত। একইসঙ্গে চরম আত্মবিশ্বাসে ভরপুর। তিনি বলেন, “নতুন এই দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পেরে আমি রোমাঞ্চিত। আমরা এক নতুন অধ্যায় উন্মোচন করেছি, যেখানে নারীদের শারীরিক সৌন্দর্য নয়, মূল্যবোধ দিয়ে বিচার করা হয়।”


মিস ইউনিভার্স আয়োজকরা প্রতিযোগীদের জন্য বয়সের সীমার বেড়াজাল তুলে দিতেই নতুন মোড় নিল এই প্রতিযোগিতা। এর আগে ১৮-২৮ বছর বয়সী নারীরাই এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারতেন। এবার সে নিয়মে বদল এসেছে। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর মেক্সিকোয় অনুষ্ঠিত হবে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা। বয়সের সীমারেখা মুছে মুকুটের লড়াইয়ে দেখা যেতে পারে আলেজান্দ্রার মতো আরও অনেক সুন্দরীকে।

এদিন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বহরমপুর লোকসভার শক্তিপুরে সভা করবেন। সভা হবে বীরভূমের বেণীমাধব স্কুল মাঠে। একইসঙ্গে আসানসোলের নিনঘহ মাঠে সভা করবেন যোগী। চতুর্থ দফায় ১৩ মে ভোট বহরমপুরে। এই একই দফায় ভোট আসানসোল ও বীরভূম কেন্দ্রেও। 

ভোটপ্রচারে এবার বাংলায় যোগী আদিত্যনাথ, একইদিনে আসছেন শাহ


কলকাতা: এপ্রিলের শেষে ভোটের বাংলায় হাইভোল্টেজ প্রচার। একইদিনে ভোটপ্রচারে আসছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও যোগী আদিত্যনাথ। এই প্রথমবার ভোটপ্রচারে বঙ্গে আসছেন যোগী আদিত্যনাথ। ৩০ এপ্রিল ব্যাক টু ব্যাক তিনটি সভা করবেন তিনি। তিন জেলায় হবে এই তিন সভা। একইদিনে সভা করবেন অমিত শাহও।


এদিন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বহরমপুর লোকসভার শক্তিপুরে সভা করবেন। সভা হবে বীরভূমের বেণীমাধব স্কুল মাঠে। একইসঙ্গে আসানসোলের নিনঘহ মাঠে সভা করবেন যোগী। চতুর্থ দফায় ১৩ মে ভোট বহরমপুরে। এই একই দফায় ভোট আসানসোল ও বীরভূম কেন্দ্রেও।

অন্যদিকে বর্ধমান পূর্ব লোকসভার আওতাধীন কাটোয়ায় সভা করার কথা অমিত শাহের। নদিয়ার কৃষ্ণনগরেও সভা করার কথা তাঁর। তৃতীয় দফা ভোটের আগে শাহের ভোটবাংলায় ফের সফর। মালদহ দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর সমর্থনে কিছুদিন আগেই রোড শো করেন তিনি। এরপর রায়গঞ্জের বিজেপি প্রার্থী কার্তিক পালের সমর্থনেও প্রচার করেন। সেখান থেকে কড়া ভাষায় তৃণমূলকে নিশানা করেন। বিভিন্ন দুর্নীতি, হিংসা, শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের একাংশের বিরুদ্ধে ওঠা কাটমানি খাওয়া নিয়ে অভিযোগের কথাও বলেন।


শাহকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “ইউপিএ সরকার বাংলা ২ লাখ ৯ হাজার কোটি দিয়েছিল, মোদী সরকার ১০ বছরে ৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা দিয়েছে। কিন্তু এই টাকা আপনাদের কাছে পৌঁছয়নি, তৃণমূলের নেতারা কাটমানি খেয়ে শেষ করেছে। যারা ভাঙাচোরা সাইকেলে ঘুরত, তারা এখন অট্টালিকায় থাকে, বড় দামী গাড়িতে ঘোরে।” আরও একবার মনে করিয়ে দেন, বাংলায় ৩৫ আসন তাঁদের টার্গেটের কথাও।


জানা গিয়েছে, শিমুলবেরা গ্রাম থেকে মাহাতান এলাকায় বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। পিকআপ ভ্যানের সামনের চাকা খুলে যাওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে।

অযোধ্যা পাহাড়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, নিহত ৩
হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে আহতদের।

অযোধ্যা পাহাড় থেকে নামার পথে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে একটি পিকআপ ভ্যান। নিহত তিন, আহত ৩০। নিহতদের নাম ঘাসিরাম সোরেন, বনলাল টুডু ও অনিল টুডু। অযোধ্যা পাহাড় থেকে নামার পথে খুঁনটার এলাকায় পিকআপ ভ্যানটি উল্টে যায়। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। জানা গিয়েছে, তাঁরা বলরামপুর থানার শিমুলবেরা গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের পুরুলিয়া গভর্মেন্ট কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়।


খবর পেয়ে হাসপাতালে যান জেলা পুলিশ সুপার-সহ অধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, শিমুলবেরা গ্রাম থেকে মাহাতান এলাকায় বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। পিকআপ ভ্যানের সামনের চাকা খুলে যাওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে।


অভিজিৎ মাহাতো নামে এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, “গাড়ির সামনে চাকা খুলে যায়। তাতেই দুর্ঘটনা ঘটে। অযোধ্যা পাহাড় থেকে নিচে নামছিল। সেই সময় এই ঘটনা ঘটে। অযোধ্যা পাহাড়ের শিমুলবেড়া থেকে নিচে নামছিল। শুনলাম বিয়ে বাড়ির গাড়ি ছিল। ৩৫-৪০ জন ছিল। দু’টো পিকআপ ভ্যান উল্টে যায়। আমরাই উদ্ধার করি। হাসপাতালে পাঠিয়েছি সকলকেই।”

মহাকাব্য আবারও সিনেমার পর্দায়। নীতিশ তিওয়ারি বানাচ্ছেন ‘রামায়ণ’। সেই রামায়ণে রামের ভূমিকায় দেখা যাবে রণবীর কাপুরকে, এ খবর এতদিনে সকলে জেনে গিয়েছেন। সীতার ভূমিকায় থাকছেন সাঁই পল্লবী– সে খবরও আর কারও অজানা নেই। 

অ্যানিম্যাল’-এর ওই রুদ্ররূপ ছেড়ে রাম হিসেবে কতটা মানানসই হবেন রণবীর তা নিয়ে এতদিন সকলের জল্পনা ছিল তুঙ্গে। অবশেষে সেট থেকে ফাঁস হল […]
রাম-সীতা রূপে কেমন লাগছে রণবীর-সাঁইকে? সেট থেকে ফাঁস ফার্স্টলুক
সেট থেকে ফাঁস ফার্স্টলুক


\মহাকাব্য আবারও সিনেমার পর্দায়। নীতিশ তিওয়ারি বানাচ্ছেন ‘রামায়ণ’। সেই রামায়ণে রামের ভূমিকায় দেখা যাবে রণবীর কাপুরকে, এ খবর এতদিনে সকলে জেনে গিয়েছেন। সীতার ভূমিকায় থাকছেন সাঁই পল্লবী– সে খবরও আর কারও অজানা নেই। ‘অ্যানিম্যাল’-এর ওই রুদ্ররূপ ছেড়ে রাম হিসেবে কতটা মানানসই হবেন রণবীর তা নিয়ে এতদিন সকলের জল্পনা ছিল তুঙ্গে। অবশেষে সেট থেকে ফাঁস হল ছবি। রণবীর ও সাঁইকে যা সুন্দর লাগছে তা কল্পনাই করতে পারেননি নেটিজেনদের একটা বড় অংশ। লম্বা চুল আর কামানো দাড়িতে সৌম্যকান্তি রণবীর, ওদিকে ছিমছাম লুকে সাঁইয়ের দিক থেকেও চোখ ফেরানো দায়। যদিও শুটিং সবে শুরু হয়েছে। মুক্তি পেতে পেতে পরের বছর চলে আসবে। মোট তিন ভাগে ভাগ হয়েছে এই ট্রিলজি। প্রতিটি পর্বের জন্য নাকি ৭৫ কোটি করে পারিশ্রমিক নিচ্ছেন রণবীর, শোনা যাচ্ছে তেমনটাই। ওদিকে সাঁইয়ের ভাগ্যে জুটেছে মোটে ছয় কোটি। ‘রাম’ হওয়ার জন্য শারীরিক কসরৎ কম করেননি রণবীর। তীর চালানো শিখছেন। শারীরিক ফিটনেসের জন্য জিম তো বটেই, সাঁতার, ট্রেকিং বাদ দেননি কিছুই। এমনকি আমিষ ছেড়ে হয়েছেন নিরামিষভোজী।

এর আগে শোনা গিয়েছিল সীতার চরিত্রে অভিনয় করবেন আলিয়া ভাট। তবে পরবর্তীতে তা বদলে যায়। দক্ষিণী ছবির দুনিয়ায় সাঁই পরিচিত নাম। তাঁর ভক্তসংখ্যা নেহাত কম নয়। সেই সাঁই গোটা ভারতের মন কতটা জয় করতে পারেন, এখন সেটাই দেখার।



আমি চাই উনি এবার…’, তাঁর হয়ে প্রচারে কাঞ্চন ডাক পেতেই চাঁচাছোলা দেব
 অতীতে কল্যাণ কাণ্ডের পর টিভিনাইন বাংলার কাছে মুখ খুলেছিলেন কাঞ্চন। তিনি বলেন, "আমি বুঝতে পারিনি, গিয়েছিলাম দলীয় প্রচারে এর আগেও তো কল্যাণবাবুর সঙ্গে প্রচারে গিয়েছি। আজ হঠাৎ করেই উনি বললেন, ‘যেও না, গ্রামের লোকেরা রিঅ্যাক্ট করছে। সরি টু সে, আমায় তো ভোটটা করতে হবে।’ আমিও চলে এসেছি।"

'আমি চাই উনি এবার...', তাঁর হয়ে প্রচারে কাঞ্চন ডাক পেতেই চাঁচাছোলা দেব


চলতি লোকসভা নির্বাচনে শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে এযাবৎ প্রচার করতে দেখা যাচ্ছিল উত্তরপাড়ার বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিককে। কখনও পথে ঘাটে নেমে আবার কখনও বা দলীয় কার্যালয় থেকে শেয়ার করছিলেন একের পর এক ছবি। তবে আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার কোন্নগর নবগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ভোট প্রচার ও জনসংযোগে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাঞ্চন বের হতেই ঘটে গেল এক কাণ্ড। হুডখোলা জিপ থেকে কার্যত নামিয়ে দিলেন উত্তরপাড়ার বিধায়ককে। দুঁদে রাজনীতিবিদ কল্যাণ বললেন, “আমি তো তোমায় আগের দিনই বললাম গ্রামে এসো না, রিয়্যাক্ট করছেন মহিলারা।” সাংসদের কথা মতো পরক্ষণেই গাড়ি থেকে নেমে যান কাঞ্চন। ভোটের বাজারে কল্যাণ কাণ্ড অতীত। এবার দেবের হয়ে ডাক পেলেন কাঞ্চন। কী করবেন তিনি? প্রচারে অংশ নেবেন নাকি এড়িয়ে যাবেন! মুখ খুললেন দেব।


শুক্রবার ২৬ এপ্রিল রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচার করেন দেব। সেখানেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দেব বলেন, “কল্যাণ দা ওঁর মতো করে কাজ করেছেন। কিন্তু আমি চাই কাঞ্চনদা এবার আমার হয়ে প্রচার করুন। আমি ওঁকে ফোন করে আমার হয়ে প্রচারে আসার জন্য অনুরোধ করেছি। উনি আগামী ৩০ এপ্রিল আমায় সময় দিয়েছেন।” কল্যাণ আপত্তি জানালেও দেব কিন্তু ‘রিঅ্যাক্ট’-এ ভয় পাচ্ছেন না। অন্তত এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।


অতীতে কল্যাণ কাণ্ডের পর টিভিনাইন বাংলার কাছে মুখ খুলেছিলেন কাঞ্চন। তিনি বলেন, “আমি বুঝতে পারিনি, গিয়েছিলাম দলীয় প্রচারে এর আগেও তো কল্যাণবাবুর সঙ্গে প্রচারে গিয়েছি। আজ হঠাৎ করেই উনি বললেন, ‘যেও না, গ্রামের লোকেরা রিঅ্যাক্ট করছে। সরি টু সে, আমায় তো ভোটটা করতে হবে।’ আমিও চলে এসেছি। জানি না তিনি কেন চাননি, হয়তো তাঁর প্রচারের আলাদা কোনও স্ট্র্যাটেজি আছে তাই এমনটা বলেছেন।” তিনি আরও বলেন, “আমি তো প্রথমে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী। তারপর তৃণমূলের বিধায়ক। দলের লোকসভা নির্বাচনের প্রচার তো। তাই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় হোক বা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় হোক, আমাকে প্রচারে যেতে হবে। প্রচার তো আমাকে করতে হবে। কল্যাণদা একজন সিনিয়র মানুষ। তাই উনি যেটা করেছেন যেটা বলেছেন সেটা উনিই জানেন। উনি বলছে মহিলারা রি-অ্যাক্ট করবেন, কিন্তু কেন রি-অ্যাক্ট করবেন সেটাই তো বুঝছি না। এই তো চৈত্র সংক্রান্তিতেও আমার একটা শো ছিল, সেখানে প্রায় দশ হাজার মানুষ ছিলেন। সেখানেও তো কোনও বিক্ষোভ দেখতে পারিনি। মহিলাকেন্দ্রিক সেই শো-য়ে কেউই রি-অ্যাক্ট করেনি। দল যা সিদ্ধান্ত নেবে তাই করব। দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব যা বলবেন সেটাই করব।”

এখানেই শেষ নয়, হাত ঘুরিয়ে তাঁকে বলতে শোনা যায়, 'ভাল'। তিনি যোগ করেন, ‘আমি হাসলেও সমস্যা! যে কোনও ধরনের প্রচারই তো প্রচার। আমি ভীষণ পজিটিভ মাইন্ডের মানুষ। সবকিছুকে পজিটিভভাবেই দেখি। এটার মধ্যে আমি কোনও খারাপ দেখি না।"

'... এখন আমাকে লোকে বলে পাগল', কেন বললেন রচনা?
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী


‘যখন কেউ আমাকে পাগল বলে …’, না, মান্না দে তাঁর প্রতিবাদ করলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু সে পঠ মাড়াচ্ছেন না। নিজেই বলেছেন সে কথা। নিজেই জানিয়েছে, ‘যে যা বলে বলুক’। চলতি লোকসভা নির্বাচনে হুগলি থেকে তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়ানোর পর থেকেই রচনাকে ঘিরে একের পর এক ট্রোলিং। কখনও ‘ধোঁয়া ধোঁয়া বিতর্ক ‘ আবার কখনও বা টকদই– সামাজিক মাধ্যমে ‘মিম’ আকারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ট্রোল্ড হচ্ছে তাঁর হাসি। বিভিন্ন ক্লিপিংসে দেখা যাচ্ছে তাঁর হাহা করে অট্টহাসি নিয়ে মস্করা করতে ছাড়ছেন না কেউই। এবার এই লাগাতার ট্রোলিং নিয়ে রচনাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি কী উত্তর দিলেন জানেন?
রচনার বক্তব্য, “আগে হাসিটা ছিল দারুণ, এখন হাসিটা শুনে লোকে বলে পাগল!”


এখানেই শেষ নয়, হাত ঘুরিয়ে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘ভাল’। তিনি যোগ করেন, ‘আমি হাসলেও সমস্যা! যে কোনও ধরনের প্রচারই তো প্রচার। আমি ভীষণ পজিটিভ মাইন্ডের মানুষ। সবকিছুকে পজিটিভভাবেই দেখি। এটার মধ্যে আমি কোনও খারাপ দেখি না। যাঁরা মিম করছেন, তাঁদেরও তো লাইক, সাবস্ক্রাইবার দরকার। এটা তো তাঁদের রুজি-রোজগার। আমি তাঁদের সাপোর্ট করি।’ এই ট্রোলে যে তিনি বিশেষ পাত্তা দিচ্ছেন না তাই আকারে ইঙ্গিতে বলে দিলেন রচনা। এই নির্বাচনে হুগলির মাটি কামড়ে রয়েছেন রচনা। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী লকেট চট্টোপাধ্যায়। শেষ হাসি কে হাসেন, এখন সেটাই দেখার।



জানলে চমকে যাবেন, অভিনেতা সুদীপ মুখোপাধ্যায় ছোটবেলায় সাংঘাতিক যৌন-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাঁকে নানাভাবে মলেস্ট করে তাঁরই এক আত্মীয়। বিষয়টি নিয়ে জীবনে প্রথমবার  কাছে মুখ খুলেছেন অভিনেতা। জানিয়েছেন শিউরে ওঠার মতো কিছু ঘটনার কথা। দিয়েছেন কিছু সচেতনতার বার্তাও।

সুদীপের চরম যৌন হেনস্থা! সাংঘাতিক অভিজ্ঞতার কথা জানালেন জনপ্রিয় অভিনেতা
সুদীপ মুখোপাধ্যায়।


ছোটবেলায় যৌনহেনস্থার শিকার হয়েছিলেন অভিনেত্রী-পরিচালক চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়। ৬ বছর আগে তিনি জানিয়েছিলেন, কোনও এক নিকট আত্মীয় তাঁকে যৌন-নির্যাতন করেছিলেন নাবালিকা বয়সেই। সবটা চূর্ণী জানিয়েছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই পোস্টের কথা তারকা ফেসবুকে ফের উল্লেখ করেছেন শুক্রবার (২৬ এপ্রিল, ২০২৪)। লিখেছেন অভিনেত্রী দামিনী বেণী বসুর কথাও। থিয়েটারে নারীদের সুরক্ষা সম্পর্কে কিছু সচেতনতার কথা দামিনী লিখেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায়। তাঁর এই পদক্ষেপকে কুর্নিশ জানিয়েছেন চূর্ণী। দামিনী অভিনেতা সুদীপ মুখোপাধ্য়ায়ের প্রাক্তন স্ত্রী। তাঁদের বিয়ে ভেঙে গিয়েছে ঠিক, কিন্তু দামিনীকে আজও খুবই সম্মান করেন সুদীপ। ঘটনাচক্রে সুদীপ ‘বধুয়াঁ’ সিরিয়ালে এমন এক চরিত্রে অভিনয় করছেন, যে ভয়ানক খারাপ চরিত্রের মানুষ। চরিত্রটির নাম রন। সে একজন মলেস্টর। ধারাবাহিকের নায়িকাকে ছোট থেকেই চকোলেটের লোভ দেখিয়ে দিনের পর-দিন শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছে। জানলে চমকে যাবেন, সুদীপ নিজেই ছোটবেলায় সাংঘাতিক যৌন-নির্যাতনের শিকার। তাঁকে নানাভাবে মলেস্ট করে তাঁরই এক আত্মীয়। বিষয়টি নিয়ে জীবনে প্রথমবার 
কাছে মুখ খুলেছেন অভিনেতা। জানিয়েছেন শিউরে ওঠার মতো কিছু ঘটনার কথা।


কত কী না হয় মানুষের জীবনে! ঠোঁটের কোণে হাসি রেখে কত মানুষই না চেপে রাখেন জীবনের কিছু কালো অধ্যায়কে। সুদীপের বিষয়টাও ঠিক তেমনই। পর্দায় যতই শয়তান মলেস্টারের ভূমিকায় অভিনয় করেন না কেন, তাঁর নিজের জীবনের এই কালো চ্যাপ্টার কিছুতেই শান্তিতে থাকতে দেয় না অভিনেতাকে। আজও অন্ধকার ঘরে ডুকরে কেঁদে ওঠেন সুদীপ।

চলতি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে এখনও অবধি ৮টি ম্যাচে খেলে শ্রেয়স আইয়ারের টিম কলকাতা নাইট রাইডার্স জিতেছে ৫টিতে। হার ৩টি। কেকেআরের পয়েন্ট ১০। নেট রানরেট +০.৯৭২। পয়েন্ট টেবলের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে গৌতম গম্ভীরের টিম।



ইডেনে গৌতমের 'গম্ভীর' রূপ, চতুর্থ আম্পায়ারের সঙ্গে জড়ালেন বিতর্কে
ইডেনে গৌতমের 'গম্ভীর' রূপ, চতুর্থ আম্পায়ারের সঙ্গে জড়ালেন বিতর্কে

কেকেআরের মেন্টর গৌতম গম্ভীরকে চলতি আইপিএলে (IPL) খুব একটা ‘গম্ভীর’ দেখা যায়নি। শুক্রবার ইডেন গার্ডেন্সে পঞ্জাব কিংসের কাছে কলকাতা নাইট রাইডার্স হেরেছে। এই ম্যাচে গৌতমের গম্ভীর রূপ দেখা গিয়েছে। চতুর্থ আম্পায়ারের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir)। সোশ্যাল মিডিয়ায় নাইট মেন্টরের সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে।

ঠিক কী ঘটেছিল?

কেকেআরের ইনিংস চলাকালীন হঠাৎ ফোর্থ আম্পায়ারের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন শ্রেয়স-নারিনদের মেন্টর গৌতম গম্ভীর। ১৪তম ওভারে আম্পায়ারের একটি সিদ্ধান্ত গৌতম গম্ভীর মেনে নিতে পারেননি। যার ফলে নাইট ডাগআউটে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। সেই সময় রাহুল চাহারের ওভারে আন্দ্রে রাসেল শেষ ডেলিভারিতে সিঙ্গল নেন। রাসেল ডেলিভারিটা কভারের দিকে কাট করেন। ফিল্ডার আশুতোষ শর্মা ঠিক করে বলটি ধরতে পারেননি। ইতিমধ্যে রাসেল আরও একটি রান নেন। কিন্তু, ততক্ষণে আম্পায়ার হঠাৎ করেই ওভার শেষ ঘোষণা করে দেন। যার ফলে রাসেলের সিঙ্গল আর কাউন্ট হয়নি। চতুর্থ আম্পায়ার অনিল চৌধুরি বলটি ডেড বলে ঘোষণা করেন। তারই প্রতিবাদ করেন কেকেআরের মেন্টর গৌতম গম্ভীর। ওই সময় ডাগআউটে উপস্থিত ছিলেন কোচ চন্দ্রকান্ত পন্ডিত ও অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারও। গৌতম গম্ভীরের পাশাপাশি কেকেআর কোচ চন্দ্রকান্ত পন্ডিতও চতুর্থ আম্পায়ারকে বিষয়টি নিয়ে কিছু বলেন।


পঞ্জাব কিংসকে ইডেনে ২৬২ রানের রেকর্ড টার্গেট দিয়েছিল কেকেআর। কিন্তু নাইটদের বোলিং বিভাগ শুক্রবার রাতে আশানুরূপ পারফর্ম করতে পারেনি। যে কারণে ইডেনে রেকর্ড রান গড়েও হারের মুখ দেখতে হল কলকাতা নাইট রাইডার্সকে। এ বার কেকেআরের পরবর্তী হোম ম্যাচ ২৯ এপ্রিল, সোমবার। ঋষভ পন্থের দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচ জিততে পারলে নাইটদের প্লে অফের রাস্তা কিছুটা সহজ হবে।

একজন বললেন, "কাল সারা রাত কারেন্ট ছিল না। ফোন তুলছে না সিইএসসি। কোনও উত্তরই দিচ্ছে না। এক সপ্তাহ ধরে এমন হচ্ছে। ঘরে অসুস্থ লোক রয়েছে। যদি কিছু হয়ে যায় সেই দায়িত্ব কে নেবে?" আরও একজন বললেন, "এক সপ্তাহ ধরে লোডশেডিং হচ্ছে। আমরা ফোন করছি। সিইএসসির লোক আসছে। কী যে সারাচ্ছে বুঝি না। তারপর চলে যাচ্ছে। কালকে ১২টার সময় কারণ গেছে। ফোন করলাম। লোকজন এল। সারালো। তারপর ফের কারেন্ট চলে গেল।"

রাত নেই-দিন নেই খালি লোডশেডিং, রাস্তায় নামলেন বেলগাছিয়াবাসী, CESC কী উত্তর দিল জানেন?
ঘনঘন লোডশেডিং, বিক্ষোভ জনগণের

একে গরম। কার্যত হাঁসফাঁস অবস্থা। অফিস কিংবা বাইরে থেকে বাড়ি ফিরে একটু যে ফ্যান বা এসি-র তলায় বসে জুড়োবেন তার উপায় নেই। কারণ শত্রু লোডশেডিং। সকাল হোক বা রাত যখন-তখন চলে যাচ্ছে কারেন্ট। কলকাতা হোক জেলা। সব জায়গায় ছবিটা অধিকাংশেই এক। আর এবার সেই লোডশেডিং- এর প্রতিবাদেই পথে নামলেন বেলগাছিয়াবাসী।


যদিও সিইএসসি-র দাবি, অনুমোদনহীন অত্যাধিক পরিমাণে বাতানুকূল যন্ত্র ব্যবহারের জন্যই এই সমস্যার কারণ। সিইএসসি-র সূত্রে খবর, এসি-র জন্য যা আবেদন জমা পড়ে বাজারে বিক্রি হয় তার থেকে বেশি। অধিকাংশেরই অনুমোদন নেই। এই বাড়তি লোডই বহু জায়গায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অন্যতম কারণ।


তবে কে শুনছে বিদ্যুৎ সংস্থার কথা। গরমে নাজেহাল সাধারণ মানুষ ক্ষোভে নেমে পড়লেন রাস্তায়। একজন বললেন, “কাল সারা রাত কারেন্ট ছিল না। ফোন তুলছে না সিইএসসি। কোনও উত্তরই দিচ্ছে না। এক সপ্তাহ ধরে এমন হচ্ছে। ঘরে অসুস্থ লোক রয়েছে। যদি কিছু হয়ে যায় সেই দায়িত্ব কে নেবে?” আরও একজন বললেন, “এক সপ্তাহ ধরে লোডশেডিং হচ্ছে। আমরা ফোন করছি। সিইএসসির লোক আসছে। কী যে সারাচ্ছে বুঝি না। তারপর চলে যাচ্ছে। কালকে ১২টার সময় কারণ গেছে। ফোন করলাম। লোকজন এল। সারালো। তারপর ফের কারেন্ট চলে গেল। আজ সকাল ৫টা থেকে ফোন করলাম। ৯টার সময় এল। লাইন দেখল। ১১টার সময় আবার কারেন্ট চলে গেল। আমরা বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছি। পুলিশের কথা শুনেও যদি সিইএসসির লোক না আসে তাহলে সাধারণ মানুষের কথায় আসবে?”

বস্তুত, সম্প্রতি ইডি-র দায়ের করা মামলায় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বর মিলে যায়। তবে এবার তাঁকে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলে জেরা করতে এসেছে সিবিআই। তবে শুধু কাকু নয়, এর পাশাপাশি অয়ন শীল ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কেও জেরা করবে তারা। তদন্তকারী আধিকারিকদের বক্তব্য তাদের কাছে নতুন কিছু তথ্য প্রমাণ উঠে এসেছে যার ভিত্তিতে তাঁকে জেরা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

কীসের খোঁজ পেতে চাইছে CBI, তড়িঘড়ি প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে জেরা 'কাকুকে'
এবার কাকুকে জেরা করতে চায় CBI

কলকাতা: ইডি-র তদন্তে কণ্ঠস্বরের নমুনা মিলে যাওয়ার পর সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে জেলে গিয়ে জেরা করার আবেদন জানাল সিবিআই। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলে গিয়ে তাঁকে জেরার আবেদন জানায় গোয়েন্দারা। নতুন তথ্যের ভিত্তিতে তাঁকে জেরা করতে চায় সিবিআই। সুজয় ছাড়াও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ও অয়ন শীলকেও জেরা করতে চায় সিবিআই। এরপরই আদালতের অনুমতি পাওয়া মাত্রই প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে ‘কাকুকে’ জেরা শুরু করল সিবিআই।


বস্তুত, সম্প্রতি ইডি-র দায়ের করা মামলায় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বর মিলে যায়। তবে এবার তাঁকে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলে জেরা করতে এসেছে সিবিআই। তবে শুধু কাকু নয়, এর পাশাপাশি অয়ন শীল ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কেও জেরা করবে তারা। তদন্তকারী আধিকারিকদের বক্তব্য তাদের কাছে নতুন কিছু তথ্য প্রমাণ উঠে এসেছে যার ভিত্তিতে তাঁকে জেরা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


অভিযোগ, কুন্তল, অয়ন, শান্তনু এরা যাদের মাধ্যমে টাকা নিয়ে নিয়োগের চেষ্টা করতেন সেই তালিকাটা সর্বশেষ যেত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কাছে। এই বিষয়ে আরও তথ্য পেতেই জেরা বলে মনে করা হচ্ছে। ফলত, একদিকে

লখনউ সুপার জায়ান্টস অধিনায়ক লোকেশ রাহুল নিজেও কিপিং করেন। মূলত ব্যাটিংয়ের জন্যই পরিচিত। গত কয়েক বছর নিয়মিত ভাবে কিপিংও করছেন। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কিপিং করা সহজ নয়। লোকেশ রাহুল ধীরে ধীরে দুর্দান্ত একটা জায়গা তৈরি করেছেন। গত ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে রাহানের অনবদ্য একটা ক্যাচ নিয়েছেন রাহুল। ঠিক যেন গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে এ মরসুমে নেওয়া ধোনির ক্যাচের মতোই।

ধোনির ক্যাপ নম্বরই টার্গেট ছিল রাহুলের! ফাঁস করলেন LSG ক্যাপ্টেন


মহেন্দ্র সিং ধোনির ক্যাপে কত নম্বর লেখা থাকে? অনেকের মনেই প্রশ্ন আসতে পারে। লোকেশ রাহুলদের মতো তরুণ ক্রিকেটারদেরও এসেছিল। সেটা কেরিয়ারের শুরুর দিকে। আর সেটাই যেন টার্গেট হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ওই নম্বরটা। যেটা মহেন্দ্র সিং ধোনির টুপিতে রয়েছে। মহেন্দ্র সিং ধোনি যে কয়েক প্রজন্মের কাছে আদর্শ, এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। এখনও দাপটের সঙ্গে খেলছেন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে। শেষ দিকে নেমে ব্যাটে ঝড় তুলছেন। আর তাঁর ক্যাপ নম্বর!


লখনউ সুপার জায়ান্টস অধিনায়ক লোকেশ রাহুল নিজেও কিপিং করেন। মূলত ব্যাটিংয়ের জন্যই পরিচিত। গত কয়েক বছর নিয়মিত ভাবে কিপিংও করছেন। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কিপিং করা সহজ নয়। লোকেশ রাহুল ধীরে ধীরে দুর্দান্ত একটা জায়গা তৈরি করেছেন। গত ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে রাহানের অনবদ্য একটা ক্যাচ নিয়েছেন রাহুল। ঠিক যেন গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে এ মরসুমে নেওয়া ধোনির ক্যাচের মতোই।

ধোনিকে নানা দিক থেকেই শ্রদ্ধা করেন লোকেশ রাহুল। তবে তাঁর বিশেষ পছন্দ ধোনির ক্যাপ নম্বর। আজ ঘরের মাঠে টেবল টপার রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে নামছে লখনউ সুপার জায়ান্টস। তার আগে ধোনির ক্যাপ নম্বরের ‘লোভ’-এর কথা ফাঁস করলেন লোকেশ রাহুল। বলছেন, ‘আইপিএল যখন শুরু হয়, তখন থেকেই দেখেছি, এটা কত বড় মঞ্চ। আমাদের মতো তরুণদের কাছে স্বপ্নের মতো ছিল।’


আইপিএলের পোস্ট করা ভিডিয়ো-তে রাহুল আরও যোগ করেন, ‘যখন আইপিএলে খেলা শুরু করি, অন্যান্য দলকে দেখতাম। বিশেষ করে এমএস ধোনির ক্যাপ। ওতে ১ নম্বর লেখা। ধোনি চেন্নাই সুপার কিংসের প্রথম প্লেয়ার, সে কারণেই ক্যাপে ১ নম্বর। আমাদের মতো তরুণদের মনে হত, কোনওদিনই ১ নম্বর লেখা ক্যাপ জুটবে না। এরপর লখনউ সুপার জায়ান্টস এল। টিমের তরফে আমাকে যখন প্রস্তাব দেওয়া হয়, নেতৃত্বের কথা বলা হয়, প্রথম যে বিষয়টা আমার মাথায় ছিল তা হল ক্যাপ নম্বর। মনে হয়েছিল, আমার ক্যাপেও তো ১ নম্বর লেখা থাকবে!’

এ মরসুমে দু-বার মুখোমুখি হয়েছে লখনউ ও চেন্নাই। দু-বারই জিতেছে লখনউ সুপার জায়ান্টস। গত ম্যাচটি অবশ্য রূপকথার চেয়ে কম নয়। মার্কাস স্টইনিসের অবিশ্বাস্য ইনিংসে চেন্নাই দুর্গ জয় করেছে লখনউ। আজ ঘরের মাঠে প্রতিপক্ষ টেবল টপার রাজস্থান।

মিনতিদেবী জানান, দুই যুবক এদিন সন্ধ্যায় তাঁর দোকানে আসেন। সিগারেট চান। মিনতিদেবী সামান্য ঝুঁকে সিগারেট বের করতে যাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, "হঠাৎই একটা ছেলে আমার গলার হারটা ধরে টান মারে। আমি হাতটা চেপে ধরেওছিলাম। কিন্তু ছিটকে চলে গেল।"

সিগারেটের ছুতোয় মহিলার দিকে হাত বাড়াল যুবক, চোখের নিমেষে ঘটনা ঘটিয়ে ধা...
দোকান থেকে হার ছিনতাই মিনতিদেবীর।


জলপাইগুড়ি: ক্রেতা সেজে সোনার হার ছিনতাই। শনিবার ভর সন্ধ্যায় সোনার হার ছিনতাই ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল জলপাইগুড়িতে। পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে মুহুরিপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। এলাকায় মিনতি পালের দোকান। চানাচুর, চিপস, বিস্কুটের পাশাপাশি বিড়ি-সিগারেটও বিক্রি করেন তিনি।


মিনতিদেবী জানান, দুই যুবক এদিন সন্ধ্যায় তাঁর দোকানে আসেন। সিগারেট চান। মিনতিদেবী সামান্য ঝুঁকে সিগারেট বের করতে যাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, “হঠাৎই একটা ছেলে আমার গলার হারটা ধরে টান মারে। আমি হাতটা চেপে ধরেওছিলাম। কিন্তু ছিটকে চলে গেল।”

প্রায় ১ ভরির সোনার হার ছিল মিনতি পালের গলায়। প্রথমে কিছুটা থতমত খেয়ে যান তিনি। পরে চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকেন। যা শুনে ছুটে আসেন আশেপাশের লোকজন। তবে ততক্ষণে দুই যুবক পালিয়ে যান। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় কাউন্সিলরই।


কাউন্সিলর উত্তম বোসের কথায়, “এর আগে ওনার স্বামীর সঙ্গেও এমন ঘটনা ঘটেছিল। হার ছিনতাইয়ের চেষ্টা করলেও অর্ধেকটা নিয়ে পালাতে পেরেছিল সেবার। আজ আবার সেই ঘটনা ঘটল। সন্ধ্যার সময় কেউ থাকে না, ওরা দেখে। এসব নেশাগ্রস্ত ছেলেরা। আমরা চাই পুলিশ উপযুক্ত তদন্ত করে চেন উদ্ধার করুক। মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, ভোটের সময় বলে প্রশাসন নির্বাচনী নানা কাজে ব্যস্ত। এরা সেই সুযোগই নিচ্ছে। ডিএসপি হেডকোয়ার্টার শেরপা দর্জে লেপচা জানিয়েছেন অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ম্যাচে বিশ্বরেকর্ড গড়ায় যেন বাড়তি উচ্ছ্বাস রোমালিয়ার। এমন হওয়াটাই স্বাভাবিক। মেয়েদের টি-টোয়েন্টিতে এতদিন সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ছিল ৩ রান দিয়ে ৭ উইকেট। নেদারল্যান্ডসের পেসার ফ্রেডেরিক ওভারডাইক। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইউরোপ আঞ্চলিক যোগ্যতাঅর্জন পর্বে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে এই রেকর্ড গড়েছিলেন ফ্রেডেরিক। ২০২১ সালে গড়া সেই রেকর্ড ভেঙে দিলেন রোমালিয়া।

 ০ রানে ৭ উইকেট! আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে 'মিরাকল' বোলিং পরিসংখ্যান


অভিষেক ম্যাচ। আর তাতেই মিরাকল রেকর্ড! তাও আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। এমনই বিশ্বরেকর্ড গড়লেন ইন্দোনেশিয়ার রোমালিয়া। কোনও রান না দিয়েই নিলেন সাত উইকেট! এও কি সম্ভব? আপাত দৃষ্টিতে অসম্ভব মনে হলেও এমনটাই হয়েছে। মেয়েদের ক্রিকেটে ক্রিকেটে ইন্দোনেশিয়া বনাম মঙ্গোলিয়া ম্যাচে। ইন্দোনেশিয়ার বালিতে সিরিজের পঞ্চম টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই দল। সেখানেই রেকর্ড।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ম্যাচে বিশ্বরেকর্ড গড়ায় যেন বাড়তি উচ্ছ্বাস রোমালিয়ার। এমন হওয়াটাই স্বাভাবিক। মেয়েদের টি-টোয়েন্টিতে এতদিন সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ছিল ৩ রান দিয়ে ৭ উইকেট। নেদারল্যান্ডসের পেসার ফ্রেডেরিক ওভারডাইক। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইউরোপ আঞ্চলিক যোগ্যতাঅর্জন পর্বে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে এই রেকর্ড গড়েছিলেন ফ্রেডেরিক। ২০২১ সালে গড়া সেই রেকর্ড ভেঙে দিলেন রোমালিয়া।

অফস্পিনার রোমালিয়া কেরিয়ারের প্রথম ডেলিভারিতেই উইকেট তুলে নেন। সেখানেই শেষ নয়। বরং শুরু। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫১ রান তুলেছিল ইন্দোনেশিয়া। তবে রোমালিয়ার বিধ্বংসী বোলিংয়ে মাত্র ২৪ রানেই অলআউট মঙ্গোলিয়া। ইনিংসের একাদশতম ওভারে বোলিংয়ে আসেন রোমালিয়া। তুলে নেন প্রতিপক্ষ ক্যাপ্টেনের উইকেট। সব মিলিয়ে ৩.২ ওভারে ০ রানে ৭ উইকেট।


রোমালিয়ার কীর্তিতে মঙ্গোলিয়ার কোনও ব্যাটারই দু-অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি। সাত জন ব্যাটার রানের খাতাই খুলতে পারেননি। মেয়েদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তৃতীয় বোলার হিসেবে সাত উইকেটের কীর্তি রোমালিয়ার। ডাচ বোলার ওভারডাইক, আর্জেন্টিনার অ্যালিসন স্টকসও ৭ উইকেট নিয়েছিলেন। তবে তাঁরা দু-জনই তিন রান দিয়ে সাত উইকেট নিয়েছিলেন।

আইএনএল-এর রাজ্য ও সর্বভারতীয় নেতৃত্বের সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করলেন মহম্মদ সেলিম। এই ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লিগ হল, কেরলে বাম জোট এলডিএফ-এর অন্যতম শরিক দল। এবার সেই আইএনএল-এর বঙ্গ-ইউনিট সমর্থন দিল মহম্মদ সেলিমকে।

সেলিম ভাইকে ভোট দিন...', নওশাদরা নেই তো কী! এসে গেল অন্য জোট সঙ্গী
মহম্মদ সেলিমকে পাশে আইএনএল


মুর্শিদাবাদ: নওশাদদের সঙ্গে সমঝোতা হয়নি। তাতে কী! লোকসভা ভোটে এবার অন্য একটি সংগঠনকে পাশে পেয়ে গেলেন মুর্শিদাবাদের বাম প্রার্থী তথা সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। মূলত সংখ্যালঘুদের নিয়ে তৈরি সংগঠন ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লিগ। আইএনএল-এর রাজ্য ও সর্বভারতীয় নেতৃত্বের সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করলেন মহম্মদ সেলিম। এই ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লিগ হল, কেরলে বাম জোট এলডিএফ-এর অন্যতম শরিক দল। এবার সেই আইএনএল-এর বঙ্গ-ইউনিট সমর্থন দিল মহম্মদ সেলিমকে।


ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লিগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে জানানো হয়, “আমরা আগেই আবেদন করেছিলাম তৃণমূল-বিজেপির বিরুদ্ধে আপনারা সেলিমভাইকে ও অধীর চৌধুরীকে সমর্থন করুন। আমরা কেরলে যখন থেকে এলডিএফ-এর সঙ্গে এসেছি… পর পর দু’বার এলডিএফ জিতেছে। এটা মুসলিম ও বাম মনস্ক কম্বিনেশন। মুর্শিদাবাদে আইএনএল-এর যাঁরা আছেন, সবাই সেলিমভাইয়ের জন্য কাজ করুন।”

আইএনএল-এর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও। তাঁর কথায়, “দেশে দুই দফায় ভোটের পর লড়াই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। বিজেপির হাওয়া পাতলা হচ্ছে। ২৫ হাজার চাকরি যাওয়ার পর তৃণমূলও ঘরে ঢুকে গিয়েছে। বাম-কংগ্রেস জোট কোথাও তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়ছে, কোথাও বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ছে। তাই বিজেপি-তৃণমূল বিরোধী শক্তিগুলি কাছাকাছি আসছে।”


এদিকে মহম্মদ সেলিমকে আইএনএল-এর বন্ধুত্ব প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র শান্তনু সেন বলেন, “রাজ্য কংগ্রেস, সিপিএম ও আইএসএফ – এদের প্রত্যেকের কাজ বিজেপিকে শক্তিশালী করা। আজ তার সঙ্গে আইএনএল যুক্ত হয়েছে। এদের প্রত্যেকের কাজ তৃণমূলকে দুর্বল করে বিজেপির হাত মজবুত করা। কিন্তু বাংলার মানুষ এটা বোঝেন।”

দর্শক আসনের গোল টেবিলে বসে ছিলেন করিনা। সেখান থেকে উঠে এসে পুরস্কার গ্রহণ করেছিলেন তিনি। এবং ওই গোল টেবিল থেকে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে পর্যন্ত উঠে আসার সময় করিনা যেভাবে হেঁটেছিলেন, তা নিয়ে হাসির রোল উঠেছে নেটপাড়ায়। ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়েছে সম্প্রতি।

অভিনয়ে আসার আগে কেমন ছিলেন করিনা কাপুর খান, 'পুরো ছেলেদের মতো!'
করিনা কাপুর খান।

সেই সময় অভিনয় জীবন শুরু হয়নি কাপুর খানদানের কন্যা করিনা কাপুর খানের। দিদি করিশ্মা কাপুরের একদা প্রেমিকা অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে ‘রেফিউজি’ ছবিতে ডেবিউ করেননি করিনা। ‘ফিজ়া’ ছবিতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য করিশ্মা পেয়েছিলেন একটি অ্যাওয়ার্ড। সেই অ্যাওয়ার্ড নিজে নিতে আসেননি করিশ্মা। তাঁর হয়ে পুরস্কার গ্রহণ করেছিলেন তাঁরই ছোট বোন করিনা কাপুর (তখনও খান হননি তিনি)। দর্শক আসনের গোল টেবিলে বসে ছিলেন করিনা। সেখান থেকে উঠে এসে পুরস্কার গ্রহণ করেছিলেন তিনি। এবং ওই গোল টেবিল থেকে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে পর্যন্ত উঠে আসার সময় করিনা যেভাবে হেঁটেছিলেন, তা নিয়ে হাসির রোল উঠেছে নেটপাড়ায়। ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়েছে সম্প্রতি।


ভিডিয়ো পোস্ট হতেই নেটিজ়েনদের মন্তব্য, “এ তো পুরো ব্যাটা- ছেলেদের মতো হাঁটে। এ কী কাণ্ড! এমন করে হাঁটছে কেন।” পরবর্তীকালে কিন্তু নিজেকে সম্পূর্ণ পাল্টে ফেলেছিলেন করিনা। তাঁর চলাফেরায় আসে নমনীয়তা, পেলবতা। ‘রেফিউজি’ সিনেমায় আত্মপ্রকাশের পর বেশকিছু ভাল ছবিতে নিজের অভিনয়ের সাক্ষর রেখেছেন করিনা। ‘জব উই মেট’ থেকে শুরু করে ‘চমেলি’ করিনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন দর্শক। এখন তিনি পতৌদি পরিবারের বধূ। এই নবাব পরিবারের পুত্র অভিনেতা সইফ আলি খানকে বিয়ে করেছেন তিনি। স্বামী এবং দুই পুত্র তৈমুর এবং জেহর জননীর দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু সমানতালে চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁর অভিনয়ও। খুবই বেছে কাজ করেন করিনা।