বৃহস্পতিবার বিকেলে মৃত শিশুর বাড়িতে সমবেদনা জানাতে যান রাজগঞ্জ বিধায়ক খগেশ্বর রায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের ব্লক ও অঞ্চল স্তরের নেতারাও। কিন্তু সেই সমবেদনা জানাতে গিয়ে কার্যত গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় বিধায়ক সহ তৃণমূল নেতৃত্বকে। বিধায়ককে কাছে পেয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন গ্রামবাসীরা।
বিধায়ক গিয়েছিলেন সমবেদনা জানাতে, কিন্তু এ কী অবস্থা! ফুঁসে উঠল গোটা গ্রাম
বিধায়ক খগেশ্বর রায়
গত সোমবার অর্থাৎ দোলযাত্রার দিন জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের আমবাড়ি ফালাকাটার নয় নম্বর কলোনিতে বসন্ত উৎসবে যোগ দিতে গিয়ে মৃত্যু হয় এক শিশুর। পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় প্রাণ হারান চার বছরের শিশু। দ্রুত গতিতে আসা পিক আপ ভ্যান পিষে দেয় তাকে।
এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। উত্তেজনা তৈরি হয় এলাকায়। পিক আপ ভ্যানে আগুন জ্বালিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। খবর পেয়ে পুলিশ, দমকল যায় ঘটনাস্থলে। গ্রামবাসীদের সঙ্গে পুলিশের কার্যত খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। ঘটনায় কয়েকজন পুলিশ কর্মী আহত হয়।
অভিযোগ, এই ঘটনার পর থেকে গ্রামে ব্যাপক হারে ধরপাকড় চালাচ্ছে পুলিশ। যাকে পাচ্ছে তাঁকেই ধরে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। এই ঘটনায় গ্রাম কার্যত পুরুষ শূন্য হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীদের ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
সায়ন্তিকাকে বড় ‘উপহার’ দেওয়ার কথা ভাবছে দল
এহেন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে মৃত শিশুর বাড়িতে সমবেদনা জানাতে যান রাজগঞ্জ বিধায়ক খগেশ্বর রায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের ব্লক ও অঞ্চল স্তরের নেতারাও। কিন্তু সেই সমবেদনা জানাতে গিয়ে কার্যত গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় বিধায়ক সহ তৃণমূল নেতৃত্বকে। বিধায়ককে কাছে পেয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন গ্রামবাসীরা।
এলাকার বাসিন্দা অপর্ণা ব্যাপারী বলেন, “আমার ভাইপো মারা গিয়েছে। সেই শোকে আমরা পাথর হয়ে রয়েছি। কিন্তু পুলিশ এই পরিস্থিতির মধ্যে গ্রামে তাণ্ডব চালাচ্ছ, যাঁকে পাচ্ছে তাঁকে ধরে নিয়ে গিয়ে কেস দিয়ে দিচ্ছে। আমরা এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি চাই।”
বিধায়ক খগেশ্বর রায় বলেন, “মর্মান্তিক ঘটনা। আমি খবর পেয়ে গ্রামে এসেছিলাম। জানতে পারলাম সেদিন ওই গাড়িটিতে অগ্নি সংযোগ করা হয়েছে। পুলিশের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে, এরপর পুলিশ গ্রামে নির্বিচারে ধরপাকড় চালিয়েছে।” বিধায়ক জানিয়েছেন, তিনি পুলিশের সঙ্গে কথা বলে পরামর্শ দিয়েছেন যাতে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours