বর্তমানে তিনি অনেক বেশি সহজ, কখনও ব়্যাম্পে হাঁটছেন, কখনও আবার সিনেমার সংলাপ বলছেন, আর তাতেই মন ভরছে দর্শকদের। আবার কখনও কখনও নিজের জীবনের নানা অজানা কাহিনি সকলের সঙ্গে শেয়ার করে থাকেন তিনি।
দিনের পর দিন সৌরভকে ঠকাতেন তাঁর বাবা? ফোন পেতেই মন ভাঙত মহারাজের
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, দাদাগিরির মঞ্চে যাঁকে নতুন করে আবিষ্কার করেছেন দর্শকেরা। ২২ গজে যিনি ছক্কা হাঁকিয়েছেন, তিনি যে ক্যামেরার সামনে এভাবে তাক লাগাবেন, তা কে জানত? বরাবরই ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছে তাঁর মাঠে ময়দানে ছবি। এখন দর্শকদের ড্রইংরুমে তাঁর বাস। সকলের সঙ্গে চুটিয়ে আনন্দ করে সপ্তাহ শেষে পর্দায় হাজির হয়ে থাকেন তিনি। তিনি পর্দায় মানেই শো একপ্রকার জমে যায়। দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে এভাবেই দাদাগিরির মঞ্চ কাঁপিয়ে চলেছেন তিনি। সেলেব থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, প্রতিটা ক্ষেত্রেই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে খুব সাবলীলভাবে কথা বলতে দেখা যায়। সকলেই একবাক্যে প্রশংসা করে থাকে দাদার।
দেখতে দেখতে ১০ সিজ়ন পার। তবুও আজও দাদার শো সকলের কাছে নতুন। জি বাংলার পর্দায় প্রতি সপ্তাহে দাদাগিরি শনি ও রবিবার সম্প্রচার হয়ে থাকে। সিজ়ন শেষ হলেই যেন মন খারাপ দর্শক মনে। সকলের মন খারাপের পালা, দাদাগিরিতে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় দিনদিন নিজেকে ভেঙেছেন। বর্তমানে তিনি অনেক বেশি সহজ, কখনও ব়্যাম্পে হাঁটছেন, কখনও আবার সিনেমার সংলাপ বলছেন, আর তাতেই মন ভরছে দর্শকদের। আবার কখনও কখনও নিজের জীবনের নানা অজানা কাহিনি সকলের সঙ্গে শেয়ার করে থাকেন তিনি।
এবার যা বললেন, শুনে চমকে গেলেন সকলে। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাবা এ কী কাণ্ড করতেন। সে এক মজার গল্প। সৌরভের কথায়, ”আমি যখন বাড়িতে থাকতাম, ল্যান্ড ফোনে অনেক ভক্তের ফোন আসত। আমি ধরে যখন বলতাম আমি সৌরভ বলছি, কেউ বিশ্বাস করতেন না। অবাক হতাম। তারপর জানতে পারলাম আমি যখন থাকতাম না বাবা ফোন ধরতেন, এবং সকলের সঙ্গে সৌরভ হিসেবেই কথা বলতেন। মানে ধরুন কেউ যদি আমায় শুভেচ্ছা জানাতে ফোন করতেন, তাহলে বাবা জানাতেন যে- আমি গ্রহণ করলাম। ধন্যবাদ। শুনে হাসি পেত। ভাবতাম, যখন সত্যি সৌরভ ফোন ধরত, কেউ বিশ্বাস করতেন না।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours