আর্থিক সমস্যা নিয়ে কংগ্রেস নেতাদের এই অভিযোগ নস্যাত করে দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। যে আর্থিক অসহায়তার কথা বলছেন কংগ্রেস নেতারা, তা 'হাস্যকর' বলে দাবি জেপি নাড্ডার। দুর্নীতি নিয়ে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, ক্ষমতায় থাকার সময়, বিভিন্ন আর্থিক কেলেঙ্কারি থেকে তারা যে অর্থ সঞ্চয় করেছে, সেই অর্থ তারা নির্বাচনী প্রচারের কাজে ব্যবহার করতে পারে।

কংগ্রেসের টাকা নেই, মানছেন না নাড্ডা...আবার বললেন 'দেউলিয়া'ও
কংগ্রেসকে তীব্র কটাক্ষ নাড্ডার


নয়া দিল্লি: বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ), একসঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন তিন-তিনজন শীর্ষস্থানীয় কংগ্রেস নেতা – রাহুল গান্ধী, সনিয়া গান্ধী এবং মল্লিকার্জুন খাড়্গে। তাঁদের অভিযোগ, একদিকে বিজেপি নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা নিজেদের ঘরে তুলেছে। অন্যদিকে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্টগুলি ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে, নির্বাচনে বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে বিজেপি। তবে, কয়েক ঘণ্টাক মধ্যেই, কংগ্রেস নেতাদের এই অভিযোগ নস্যাত করে দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। যে আর্থিক অসহায়তার কথা বলছেন কংগ্রেস নেতারা, তা ‘হাস্যকর’ বলে দাবি জেপি নাড্ডার। দুর্নীতি নিয়ে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, ক্ষমতায় থাকার সময়, বিভিন্ন আর্থিক কেলেঙ্কারি থেকে তারা যে অর্থ সঞ্চয় করেছে, সেই অর্থ তারা নির্বাচনী প্রচারের কাজে ব্যবহার করতে পারে।


এদিন, রাহুল-সনিয়ারা অভিযোগ করেন, নির্বাচনের আগে, তাদের আর্থিকভাবে পঙ্গু করে দিতে মোদী সরকার এই পরিকল্পনা করেছে। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় এক দীর্ঘ জবাব দেন জেপি নাড্ডা। তিনি বলেছেন, কংগ্রেস আর্থিক সমস্যার অভিযোগ করছে। কিন্তু বাস্তবে, নীতি নির্ধারণ এবং বুদ্ধিবৃত্তিক দিক থেকে তারা দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে, আর্থিক দিক থেকে নয়।” তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, সকল ক্ষেত্রে দুর্নীতিতে জড়িয়েছে কংগ্রেস। জিপ, চপার, বোফোর্স কেলেঙ্কারির প্রসঙ্গ তোলেন তিনি। এর থেকে যে কালো টাকা তারা সংগ্রহ করেছে, তাই দিয়েোই কংগ্রেসকে নির্বাচন লড়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।



নাড্জা আরও বলেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে জনগণ কংগ্রেসকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করবে। এই ‘ঐতিহাসিক পরাজয়ে’র ভয়েই কংগ্রেস শীর্ষনেতারা ভারতীয় গণতন্ত্র ও প্রতিষ্ঠানগুলির বিরুদ্ধে মন্তব্য করা শুরু করেছেন। নিজেদের ভুল সংশোধনের পরিবর্তে, কর্তৃপক্ষকে দোষারোপ করছে। তিনি আরও জানান, দিল্লি হাইকোর্টও কংগ্রেসকে বকেয়া কর শোধ করতে বলেছে। কিন্তু তারা তা করার পরিবর্তে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে চলেছে।

এদিন, মল্লিকার্জুন খাড়্গে অভিযোগ করেন, বিজেপ এক বিপজ্জনক খেলায় মেতেছে। বিরোধী দলগুলিকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করে দিয়ে, নির্বাচনের আগেই বাজিমাত করতে চাইছে তারা। ভারত যে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র, এই ধারণাটিই বর্তমানে মিথ্যা হয়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেন রাহুল গান্ধী। তাঁর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ডেপি নাড্ডা বলেছেন, “একমাত্র ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সালের মধ্যে ভারত গণতন্ত্র ছিল না। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী।”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours