এই অভিনেতাকে দেখলে ভয়ে সিঁটিয়ে যেতেন আলিয়া। কুঁকড়ে থাকতেন সেটে। তাঁর সঙ্গে কথা বলা তো দূর, পাশে গিয়েও বসতে চাইতেন না। খুবই কঠিন পরিস্থিতি ছিল। আলিয়ার কেরিয়ারের গোড়ার দিকের ঘটনা এটা। কোন ছবি এবং কোন অভিনেতা বলতে পারবেন?
ভয়ে সিঁটিয়ে থাকতেন আলিয়া; শুটিং অভিনেতাকে দেখেই শিরদাঁড়া থেকে ঠান্ডা স্রোত বয়ে যেত রণবীর-পত্নির
আলিয়া ভাট।
সাউথ মুম্বইয়ের মেয়ে অভিনেত্রী আলিয়া ভাট। বাড়ি জুহুতে। তার উপর তিনি তারকা সন্তান। পরিচালক মহেশ ভাট এবং অভিনেত্রী সোনি রাজ়দানের কন্যা তিনি। যদিও সেই পরিচয় ছাপিয়ে নিজের স্বতন্ত্র পরিচিত তৈরি করেছেন আলিয়া। ১০ বছরের কেরিয়ার গোলে নিজেকে শূন্য থেকে রানির আসনে বসাতে পেরেছেন দর্শকের মনে। এই আলিয়া কেরিয়ারের শুরুতে অসম্ভব ভয় পেতেন এক অভিনেতাকে। শুটিং ফ্লোরে ভয়ে সিঁটিয়ে থাকতেন। পাশে গিয়ে বসতেনও না আলিয়া। কে সেই অভিনেতা?
আলিয়াকে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে লঞ্চ করেছিলেন পরিচালক-প্রযোজক করণ জোহর। ‘স্টুডেন্ট অফ দ্যা ইয়ার’ ছবিতে তাঁকে লঞ্চ করেন করণ। সেই ছবিতে আলিয়াকে দেখে কেউ বুঝতেই পারেননি পরবর্তীকালে তিনি ‘রাজ়ি’, ‘গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি’র মতো ছবিতে অভিনয় করবেন। ছোট থেকেই ফোকাস ঠিক ছিল এই তারকা সন্তানের। ছোট বয়সেই এক টকশোতে এসে আলিয়া বলেছিলেন তিনি অভিনেত্রী হতে চান। মাত্র ৮ বছর বয়স ছিল তাঁর। ওই বয়সেও ব্যক্তিত্বে অদ্ভুত গাম্ভীর্য ছিল আলিয়ার। তাই আদ্যোপান্ত বাণিজ্যিক ছবি ‘স্টুডেন্ট অফ দ্যা ইয়ার’-এ অভিনয় করার পরই অভিনেত্রী বেছেছিলেন ‘জব উই মেট’ ছবির পরিচালক ইমতিয়াজ় আলিকে। তাঁর পরিচালনায় তৈরি ‘হাইওয়ে’ ছবিতে অভিনয় করেন আলিয়া। সিনেমার পরিমণ্ডলে বড় হওয়া জুহুর সেই মেয়েটাকে দেখে দর্শক মেলাতেই পারেননি। তারকা সন্তানদের সংজ্ঞা পাল্টে দিয়েছিলেন আলিয়া। সেই ছবিতে তাঁকে অপহরণ করেন রণদীপ হুডা। এই রণদীপকে যমের মতো ভয় পেতেন আলিয়া। শুটিং চলাকালীন আলিয়া তাঁর সঙ্গে ভয়ে টানা ২০-২৫দিন কোনও কথাই বলেননি। এমনকী, তাঁর পাশেও এসে বসতেন না।
এটাই চেয়েছিলেন রণদীপ। সিনেমার চিত্রনাট্য় অনুযায়ী যা প্রয়োজন ছিল, আলিয়াকে ভয় পাইয়ে, তাঁর সঙ্গে কথা না বলে করিয়ে নিয়েছিলেন রণদীপ।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours