ওই অডিয়ো থেকেই জল্পনা সূত্রপাত। সম্প্রতি তমলুকে গিয়ে প্রকাশ্য় মঞ্চে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সম্পর্কে অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, "শুভেন্দু অধিকারী বরণ করে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে আসছেন তমলুকে।"
তমলুকে কি লড়বেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়? ঘোষণার আগে মাঠে নেমে পড়েছেন বিরোধীরা
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
পূর্ব মেদিনীপুর: প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে থেকেই তাঁর প্রার্থী হওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। বিজেপি তাঁকে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে টিকিট দেবে কি না, সে বিষয়ে কোনও উত্তর দেননি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে শোনা যাচ্ছে, পূর্ব মেদিনীপুরে তমলুক লোকসভা কেন্দ্র থেকে লড়তে পারেন অভিজিৎ। প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা হওয়ার আগেই বিরোধিতায় নেমে পড়েছেন শাসক দল তৃণমূল। সিপিএমও বুঝিয়ে দিচ্ছে, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ভোটে দাঁড়ালে তাঁর বিরোধিতায় কোনও ফাঁক রাখবে না তারা।
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার পর প্রকাশ্য়ে আসে একটি ভাইরাল অডিয়ো। তৃণমূলের মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী ফেসবুকে প্রকাশ করেন সেটি। সেখানে শোনা যায়, কেউ একজন ফোনের ওপার থেকে বলছেন, ‘আমার ছেলে নয়, তমলুকে টিকিট পাবেন অভিজিৎ গাঙ্গুলি।’ তৃণমূলের দাবি, ওই কন্ঠস্বর সাংসদ শিশির অধিকারীর। অডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি
ওই অডিয়ো থেকেই জল্পনা সূত্রপাত। সম্প্রতি তমলুকে গিয়ে প্রকাশ্য় মঞ্চে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সম্পর্কে অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী বরণ করে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে আসছেন তমলুকে।” নারদ দুর্নীতি প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীকে কার্যত ক্লিনচিট দিয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সে কথা তুলে দেবাংশ বলেন, “উনি নাকি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করেন।”
তবে জল্পনা থাকলেও টিকিট কাকে দেওয়া হবে, তা নিয়ে মুখ খুলছে না বিজেপি। ওই কেন্দ্রের বর্তমান সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। অন্য় কেউ টিকিট পেলে তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।
তমলুকে বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা হলদিয়ার বিধায়ক তাপসী মণ্ডল বলেন, প্রার্থী যে কেউ হতে পারে। তবে জিতবে বিজেপিই। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আইনি বিষয় আমি বুঝি না। তবে উনি যা রায় দিয়েছেন, তাকে মানুষ স্বাগত জানিয়েছেন।’
এদিকে, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ভোটে লড়লে কীভাবে লড়াই করা হবে তা নিয়ে প্রস্তুত সিপিএম। জেলা সিপিএমের সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি বলেন, আদর্শগত দিক থেকে উনি যাননি বিজেপিতে। যেখানে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, সেই মোদী সরকারকে বলছে সর্বোচ্চ দল? অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সত্যিই দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে চান কি না, সে প্রশ্নও তুলেছেন বাম নেতা।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours