অতীতে 'ফাগুন বউ', 'শ্রীময়ী', 'কোড়া পাখি', 'খড়কুটো', 'গুড্ডি'র মতো ধারাবাহিকে দর্শক তাঁকে আবিষ্কার করেছেন এক মায়ের চরিত্রে। এক-এক মা এক-এক রকম। কিন্তু জানেন কি মালবিকা বাস্তব জীবনে মা হতে পারেননি? তাঁর এই মা না-হওয়াটাকে কীভাবে পূরণ করলেন অভিনেত্রী?
ঔরসজাত সন্তানের জন্ম হয়নি, কেন মা হতে পারলেন না মালবিকা সেন?
কত্থক, ভরতনাট্যম, কুচিপুডি নাচে পারদর্শী নৃত্যশিল্পী মালবিকা সেনকে দর্শক দেখেন সিরিয়ালের পর্দাতেও। তা-ও এক দশক পেরিয়ে গিয়েছে। মালবিকা এখন পুরোদস্তুর অভিনেত্রীও। বর্তমানে অভিনয় করছেন ‘জল থৈ থৈ ভালবাসা’ সিরিয়ালে। অতীতে ‘ফাগুন বউ’, ‘শ্রীময়ী’, ‘কোড়া পাখি’, ‘খড়কুটো’, ‘গুড্ডি’র মতো ধারাবাহিকে দর্শক তাঁকে আবিষ্কার করেছেন এক মায়ের চরিত্রে। এক-এক মা এক-এক রকম। কিন্তু জানেন কি মালবিকা বাস্তব জীবনে মা হতে পারেননি? তাঁর এই মা না-হওয়াটাকে কীভাবে পূরণ করলেন অভিনেত্রী?
এক ইউটিউব চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মালবিকা শেয়ার করেছেন সে কথা। নিজের চেয়ে ১০ বছরের বড় পেশায় সাংবাদিক সুমিত সেন-কে বিয়ে করেছিলেন মালবিকা। সুখী সংসার ছিল তাঁদের। স্ত্রী অন্তঃপ্রাণ ছিলেন সুমিত। স্বামীর মৃত্যুর পর মালবিকা মানসিকভাবে খুবই ভেঙে পড়েছিলেন (মৃত্যুর সময় সুমিত সেন ছিলেন ‘দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া’র কলকাতা ব্য়ুরো-র রেসিডেন্ট এডিটর)। ওই ইউটিউব চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মালবিকা বলেছিলেন, “আমার হাতের উপর মাথা রেখে তিনি চলে গেলেন। আমার কাছে ছোট বাচ্চার মতো ছিলেন তিনি। সেই শোক আমি খানিকটা অতিক্রম করতে পেরেছিলাম অভিনয়ের কারণে।” সেই সময় ‘ফাগুন বউ’ সিরিয়ালে অভিনয় করার সুযোগ আসে মালবিকার। অভিনেত্রীকে সেই সিরিয়ালে কাস্ট করেছিলেন লেখিকা-প্রযোজক লীনা গঙ্গোপাধ্য়ায়। মালবিকা বলেন, “ওই চরিত্রটা করতে গিয়ে আমি অনেকটাই শোক (সুমিত সেনের মৃত্যুশোক) ভুলতে পেরেছিলাম। আমাকে লীনাদি দারুণ ভাল করে চেনেন। আমার ভিতরের কষ্টগুলো বাইরে এসেছিল চরিত্রটা করার সময়।”
নিঃসন্তান মালবিকা। মা ডাকটা শোনেননি তিনি। কিন্তু অভিনয় করতে এসে মাতৃত্বও উপভোগ করেছিলেন মালবিকা। বর্তমানে পর্দায় এক গ্রহণযোগ্য মাতৃমূর্তি হয়ে উঠেছেন। কখনও গুনগুনের মা, কখনও খিলখিলের মা, রাধিকা-অঙ্কিতার মা, কখনও বা অয়নদ্বীপের মা। মালবিকা বলেছেন, “আমি যখন ‘ফাগুন বউ’তে বিক্রম (অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়)-এর মায়ের চরিত্রে অভিনয় করি, ছেলেটাকে আমার দারুণ মিষ্টি মনে হয়। মনে হয়, আমার যদি ছেলে থাকত, তা হলে হুবহু বিক্রমের মতোই হত। কিংবা আমি যখন একটি নেগেটিভ ধাঁচের মায়ের চরিত্রে ‘খড়কুটো’তে অভিনয় করি, গুনগুনকে আগলে রাখি। তৃণা (অভিনেত্রী তৃণা সাহা, যিনি ‘খড়কুটো’তে গুনগুনের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন)-র মধ্য়েও আমি আমার কন্যাকে খুঁজে পেয়েছিলাম।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours