অভিযোগ উঠছে, মালদার মানিকচকের এনায়েতপুর হাইস্কুলে পরীক্ষা দিতে আসা মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মাধ্যমেই এই দু'দিন প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। যে স্কুল ঘিরে এত বিতর্ক জন্মাচ্ছে, সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক কী সাফাই দিচ্ছেন গোটা বিষয়টি নিয়ে?
মাধ্যমিক বিতর্ক: তৈরি হয়েছিল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ, ছিল মাস্টার প্ল্যান!
মালদার এনায়েতপুর হাইস্কুলের হেডমাস্টারের বিস্ফোরক দাবি!
মালদা: পরীক্ষা শুরু হতে না হতেই মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রথম দিন বাংলার প্রশ্ন। আর দ্বিতীয় দিন ইংরেজির প্রশ্ন। দু’দিনের ঘটনায় বাতিল করা হয়েছে মোট ১৩ জনের পরীক্ষা। দু’দিনই নাম উঠে এসেছে মালদার যোগ। অভিযোগ উঠছে, মালদার মানিকচকের এনায়েতপুর হাইস্কুলে পরীক্ষা দিতে আসা মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মাধ্যমেই এই দু’দিন প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। যে স্কুল ঘিরে এত বিতর্ক জন্মাচ্ছে, সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক কী সাফাই দিচ্ছেন গোটা বিষয়টি নিয়ে?
টিভি নাইন বাংলার প্রতিনিধি এই প্রশ্নপত্র ভাইরাল বিতর্ক নিয়ে যোগাযোগ করেছিলেন মালদার সেই এনায়েত হাইস্কুলের হেডমাস্টার বদিউজ্জামালের সঙ্গে। তিনি শোনালেন আরও বিস্ফোরক তত্ত্ব। জানাচ্ছেন, এক পরীক্ষার্থীর ফোনে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের কথা তিনি জানতে পেরেছেন। বললেন, ‘এক পরীক্ষার্থীর মোবাইলে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ পাওয়া গেল। সেই পরীক্ষার্থীকে হোয়াটসঅ্যাপ খুলতে বলা হল। তারপর দেখা গেল ‘MP 2024 QUESTION OUT’ এরকম নাম দিয়ে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ রয়েছে। সেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে একাধিক অ্যাডমিন আছে। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মেম্বার আছে ১৫১ জন। কোনও একটা কোচিং সেন্টারের নামও লেখা ছিল। নামটা এখন মনে আসছে না।’
এদিকে পর পর দু’ দিন মাধ্যমিক পরীক্ষা ঘিরে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তারপর সোমবার সব পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে আরও বেশি কড়াকড়ি দেখা গেল। আজ ছিল ইতিহাসের পরীক্ষা। বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে আজ তিন ধাপে পরীক্ষার্থীদের চেকিং করে, তারপর পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হচ্ছে। সব পরীক্ষাকেন্দ্রগুলির বাইরে মোতায়েন রয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। মোতায়েন আছে পর্যাপ্ত মহিলা পুলিশও। পরীক্ষার্থীদের টুপি থেকে শুরু করে জুতো পর্যন্ত চেকিং করা হচ্ছে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours